আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ ফেব্রুয়ারী 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ ফেব্রুয়ারী 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণের কারণে আর যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে না হয়, সেজন্য অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে। করোনার কারণে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে আমরা চাই না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা নিজেরা করে করে শিখবে। যতটা সম্ভব ভালোভাবে তারা শিখবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থী দক্ষ, যোগ্য হবে, মানবিক বোধ সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে। আমাদের প্রচেষ্টা স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাবো।

সরকারের উদ্দেশ্য তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য- যতগুলো জাতীয় লক্ষ্য আছে তা অর্জন করা, শান্তিপুর্ণ সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়া। শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার প্রতি আমার আহ্বান-পাইলটিং হচ্ছে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে তা যেনও আমাদের জানানো হয়, আমরা যেন সঠিকভাবে প্রণয়ন করে সবচেয়ে ভালো কারিকুলাম প্রণয়ন করতে পারি। একবারেই যে পুরোপুরি লক্ষ্যে পৌছেঁ যাবো তা নয়। আমরা চেষ্টা করবো সবচেয়ে ভালো শিক্ষাক্রম যেন প্রণয়ন করতে পারি, শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতে পারে এই কারিকুলামে।

প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর প্রথম দিনে নতুন কারিকুলামের আওতায় ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বইয়ে পাঠদানের পাইলটিং শুরু হলো। এর আওতায় দেশের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। 


আরও খবর



গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে খাবার ও পোশাকের প্রতি সবারই বিশেষ নজর থাকে। এ সময় শরীর আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। খাদ্য তালিকায় দই রাখলে নিজেকে কিছুটা শিথিল লাগবে। এটি মুড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এ সময় খুব ক্লান্ত লাগলে একটু দই খেয়ে নিন।

এই গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস।

শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরও উপকারী গুণ। দইয়ের কিছু উপকারী গুণ এবং গরমে দই খাওয়া কেন ভালো- এ বিষয়ে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

দইয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

দুধ খেতে ভালো না লাগলে দই খেতে পারেন। এতে দুধের মতোই পুষ্টি থাকে। হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখে দই। এটি হাড়ে অসুখ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে। গরমের সময় ডিসেনটির সমস্যা অনেকের হয়। এক কাপ দই খাওয়া ডিসেনটির সমস্যা উপশমে অনেকটাই কাজ করবে।


আরও খবর



ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাস চাপায় শ্যালক–দুলাভাই নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাস চাপায় ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার হাইওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতরা হলেনউজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের হাবুল সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদার (২৭) ও তাঁর শ্যালক বাকেরগঞ্জ উপজেলার গুয়াখোলা এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে দিন ইসলাম (১৮)।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো গোলাম রসুল মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাত সাড়ে ৯টার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত পৌনে ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা উজিরপুরগামী একটি মোটরসাইকেল চাপা দেন।

এতে ঘটনাস্থলেই উজ্জ্বল সরদার ও তাঁর শ্যালক দিন ইসলাম নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঈদের ছুটিতে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চেয়ারম্যান পরিবহন বাসটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আজ বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

 


আরও খবর



মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে আলিফ প্রধান (১৭) নামের এক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। সে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মোহাম্মদ ফয়সাল প্রধানের ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার দুপুর ১টার দিকে আরেক বন্ধুকে নিয়ে নিখোঁজ আলিফ মেঘনা সেতু সংলগ্ন তেতুইতলা এলাকায় গোসলে নামে। পরে সে ঢেউয়ের তোরে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রথমে সনাতন পদ্ধতিতে জাল দিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে এই সংবাদ লিখার সময় দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তার সন্ধান মিলেনি।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১ মে ৯৬ স্কোর নিয়ে ১৬ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর