তিনি বলেন,
অবশ্যই উস্কানি আছে। কারণ যারা একেবারে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম
অতীতে করেছে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না তারা এখন একেক দলের
ওপর, একেক গোষ্ঠীর ওপর ভর করেছেন। আজকে শিক্ষকদের আন্দোলনের ওপরে ভর করে একটি জায়গায়
নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তাদের থাকতেই পারে। শিক্ষকদের বলব, এ রকম কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।
সোমবার (২৪
জুলাই) আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টিও শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট নয়। কারণ যারা সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে সরকারি স্কুল ও কলেজে নিয়োগ পান আবার যারা বেসরকারি এমপিওভুক্ত তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে গেলে কি পদ্ধতিতে আনা যাবে, আদৌ আনা যাবে কিনা নানা প্রশ্ন রয়েছে। এটি হঠাৎ করে আন্দোলন করে আদায়ের বিষয় নয়।
আরও পড়ুন: সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন,
আমাদের দেশে নির্বাচনের আগের সময় আন্দোলনের মৌসুম। সবাই এই সময়ে সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার
কথা ভাবেন। কিন্তু সরকার কোন চাপ নিতে পারবে কোনটি পারবে না, কোনটি করা সম্ভব, কোনটি
একেবারে তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব নয় বরং সময় প্রয়োজন এগুলোও আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে।
দীপু মনি বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাতীয়করণের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরসহ সব শিক্ষক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। অনেক শিক্ষক বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকে রয়ে গেছেন। তারা হয়তো আরও কিছুদিন থাকবেন। কিন্তু শিক্ষকদের জায়গা শ্রেণিকক্ষে। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মসূচি পালন একেবারেই সঠিক নয়। যেহেতু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আশা করব, তারা যেন শ্রেণিকক্ষে ফেরত যান।
আরও পড়ুন: নুরের সঙ্গে কেএনফের সম্পর্ক খতিয়ে দেখা হচ্ছে : র্যাব
তিনি আরও বলেন,
জাতীয়করণ নিয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার
পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। কেননা জাতীয়করণের সঙ্গে বড় ধরনের আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে।
বিষয়টি অনেক জটিল।