টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, বৌলাই, রক্তি নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা কমেছে। সকাল ৯টা থেকে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ায় ইতোমধ্যে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর,
বড়পাড়া, সাহেববাড়ি ঘাট, পুরানপাড়ার সড়ক প্লাবিত হয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি
হলে যাতে মোকাবিলা করা যায়, এজন্য আগাম প্রস্তুতি সভা আহ্বান করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার
সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা শুরু হবে।
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলার চার পৌরসভাকে ২৫
মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ
পৌরসভাকে ৭.৫, ছাতক পৌরসভা ৭.৫, জগন্নাথপুর পৌরসভা ৫ ও দিরাই পৌরসভাকে ৫ টন
চাল দেওয়া হয়েছে।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর
সড়কের শক্তিয়ারখলা ডুবন্ত সড়ক ডুবে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা
পরিষদ, ফতেপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণ বাধাঘাটসহ দুটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দোয়ারাবাজারের ৬ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাইদুর
রহমান চৌধুরী জানান, আগামী তিনদিন সুনামগঞ্জে ও সুনামগঞ্জের উজানে টানা বৃষ্টিপাতের
আশঙ্কা আছে। এতে আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর
পানি গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার
৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।