আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সিলেট-সুনামগঞ্জে পৌনে ২ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে। শুক্রবার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বৈদ্যুতিক খুঁটি তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার সিলেট সুনামগঞ্জে সব বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।  সুনামগঞ্জ জেলা ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।

এ অবস্থায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় পৌনে দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচইয়ার্ড প্লাবিত হওয়ায় বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট অঞ্চলও বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সিলেট অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে জেলা শহরে বিদ্যুৎ নেই। সকাল ৯টার দিকেও আসেনি বিদ্যুৎ। দুর্ভোগে মাত্রা যোগ করেছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কহীনতা। জেলা শহরে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা গেছে, বাসাবাড়ির মিটার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় নগরের উপশহর এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দক্ষিণ সুরমা বিদ্যুতের সাবস্টেশনে পানি ওঠায় পুরো দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২-এর জেনারেল ম্যানেজার দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী ও সঞ্জীব কুমার রায় শুক্রবার জানিয়েছিলেন, সমিতির সিলেট-১-এর অধীন ৪ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহক এবং সিলেট-২-এর অধীন ২ লাখ ১২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে অন্তত ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন আছেন।


আরও খবর



চার দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। এবারের ডিসি সম্মেলনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে আসা ৩৫৬টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রস্তাব উঠছে। শনিবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সচিব জানান, এবারের সম্মেলনের বিশেষত্ব হলো নতুন সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেবেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবার সম্মেলনে ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ২৫টি। এছাড়া একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। কার্য-অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/সিনিয়র সচিব/সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

এবার সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। অন্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে সেনাবাহিনীর অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হবে।

এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোয় জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এজন্য আজ (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উন্নয়নে মাঠ প্রশাসন শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ২২টি। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসরণ, স্বাস্থ্যসেবা পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ এবং উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত বছর অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে উত্থাপিত ২১২টি প্রস্তাবের ১৩০টি বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ৮২টি বাস্তবায়নাধীন। বাস্তবায়নের হার ৬২ শতাংশ। বাস্তবায়ন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সন্তুষ্ট। বাস্তবতা এবং বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে সাংবাদিকদের করা এমন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ডিসির অধীনে এমন কাজ হতেই পারে না। তবে প্রকল্পের বিষয় হলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এসি ল্যান্ড থেকে ভূমি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বস্তরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, তারপরও ভূমি নিয়ে এত সমস্যা কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এড়িয়ে যান সচিব।

ডিসির বাংলা অর্থ জেলা প্রশাসক কেন-এমন প্রশ্নের জবাবও তার জানা নেই বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া ডিসি সম্মেলনে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে, তাও সচিবের এ মুহূর্তে জানা নেই বলে জানান তিনি।

এবারের সম্মেলনে সর্বাধিক প্রস্তাব এসেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে, তাহলে দেশে সড়ক ব্যবস্থাপনার বেহাল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তা এখন বলা যাবে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিবরা আলোচনা করে কর্ম-অধিবেশন শেষে গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ডিসি সম্মেলন

আরও খবর



ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

সেরা পণ্যের সেরা অফার স্লোগানে সারাদেশে শুরু হলো ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। প্রতিবারের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। সিজন-২০ এ ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের জন্য ননস্টপ মিলিয়নিয়ার শীর্ষক সুবিধা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এর আগেও ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ৩০ জন ক্রেতা। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে আবারো এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং নির্দিষ্ট মডেলের ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী সিজন-২০ এর উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি। পাশাপাশি সিজন-২০ এর লোগো উন্মোচন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. তানভীর রহমান, আরিফুল আম্বিয়া, দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), ফিরোজ আলম, আমিন খান, শাহজালাল হোসেন লিমন, তোফায়েল আহমেদ, সোহেল রানা ও মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সদ্য নিযুক্ত জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি বলেন, ওয়ালটন পণ্য এখন আমাদের সবার ঘরে ঘরে। আমার ঘরেও আছে ওয়ালটন ফ্রিজ সহ নানান পণ্য। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওয়ালটন পণ্য এখন রপ্তানি হচ্ছে ৪০টিরও বেশি দেশে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ওয়ালটন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

পরীমনি আরো বলেন, ওয়ালটন শুধু বলার জন্যই বলে না; ওয়ালটন করেও দেখায়। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ইতোমধ্যে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩০ জন ক্রেতা। ওয়ালটন এদের জীবন পুরো পাল্টে দিয়েছে। ওয়ালটনের এই উদ্যেগ সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। এই কার্যক্রমের সাথে এবার আমাকে যুক্ত করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, সারাদেশে ইতোমধ্যে ক্যাম্পেইনের ১৯টি সিজন বেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের কাছ থেকে পেয়েছি অভূতপূর্ব সাড়া। এরই প্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে শুরু করা হয়েছে সিজন-২০। এর আওতায় ক্রেতাদের জন্য ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনও শতভাগ সফল হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এছাড়াও পাবেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দিবে।

বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের  স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন উপাচার্যকে বরণ করে নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে ওঠেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএসএমএমইউয়ে কার্যালয়ে গিয়ে  দেখা গেছে, ব্যান্ডপার্টি দলের বাজনার সাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে উঠেছেন। প্রায় অনেকটা সময় ধরে তারা এ আনন্দ উৎসব করেন। এ সময় সেখানে হাসপাতালের দায়িত্বরত অনেকে উপস্থিত হন। আবার  তারা হাততালি দিয়ে সবাই উৎসাহিত করেন।  

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) দেয়া এক প্রজ্ঞাপন বলা হয় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক ১২তম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ এর ১২ ধারা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হককে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের মেয়াদ হবে চার বছর। তিনি উপাচার্য পদে অবসর অব্যহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া বিধি অনুযায়ী উপাচার্যের পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলীম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এ চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়।

বিএসএমএমইউয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের তিন বছর মেয়াদ আগামী ২৯ মার্চ শেষ হবে। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ তিনি উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।


আরও খবর



ব্রহ্মপুত্রে গোসলে নেমে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধায় গোসল করতে নেমে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ)বেলা ১১টায় ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসি ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার আব্দুল বারী জানান, গাইবান্ধা শহরের আহম্মেদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছয়জন ছাত্র সাতরিয়ে বালাসি ঘাটে নদীর মাঝামাঝি গোসল করতে যায়।

এ সময় চারজন নদী থেকে পাড়ে ফিরলেও দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর নিখোঁজ নাহিদকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর নিখোঁজ তন্ময়ের লাশ প্রায় ৪ ঘণ্টা পর নদীর তলদেশ থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

নিহত দুশিক্ষার্থী শহরের আহম্মদ উদ্দীন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র এবং তাদের বাড়ি গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানি পাড়ায়।


আরও খবর



শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, আন্দোলনে সরগরম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা সানজানা আহসান যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গত রোববার (৩ মার্চ) সাজন সাহার অনৈতিক প্রস্তাবের একাধিক স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন ওই শিক্ষার্থী।

যৌন হয়রানির বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০১৯ সাল থেকেই ঐ শিক্ষক তাকে নানা ধরনের হয়রানি করাসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। সেখানে তিনি সাড়া না দিলে তাকে নানা দিক থেকে হেনস্থা করে আসছে সাজন সাহা। অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় বসতে জরিমানা নেওয়া, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কমে যাওয়া, থিসিস পেপার আটকে দেয়া সহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় ওই শিক্ষার্থীকে। এসব বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে মৌখিকভাবে ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে তিনি সমাধানের নামে একাধিক শর্ত বেঁধে দেন, যার মধ্যে অন্য দুই সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার ও সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা সুলতানার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে দেওয়া অন্যতম।

এসব বিষয়ে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র এবং অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন সাহাকে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা বিভাগে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভাগের নামফলক কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়াসহ অভিযুক্ত শিক্ষকের নামফলক পুড়িয়ে দেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা রেজুয়ান আহমেদের কাছে যাই। বিষয়টি আসলে অবরুদ্ধ করে রাখার মতো নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে রেজুয়ান আহমেদকে কক্ষ থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যে অভিযোগ তারা এটি বিভাগীয় প্রধান বরাবর জানালে ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু তারা সেটা করেনি। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে এ বিষয়ে কোন তথ্যপ্রমাণ থাকলে সবাই জানতো। অভিযোগ করলেই হবে না শুধু, ‍সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার হয়রানির ঘটনা বর্ণনা করেন। পরে বুধবার দিনব্যাপী মানববন্ধন করে এবং ছয় দফা দাবি পেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই দিনই ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক করে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মৌন মিছিল সহ শুক্রবার বাদ জুম্মা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি খুবই বিব্রতকর ব্যাপার। আমার কাছে ছেলেমেয়েরা এসেছে। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের পর একে একে আরো ত্রিশোর্ধ শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার নিশ্চিতের দাবি নিয়ে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠ্য কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর