আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সিলেটে ৯১১ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৫৬টি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৯১১টি। মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়েছে। যা মূল আগ্নেয়াস্ত্রের মাত্র ৬ শতাংশ।

সিলেট মহানগর ও জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট মহানগর এলাকায় লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ২৪৮টি আর জেলার লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৬৬৩টি। তবে সব মিলিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে ৫৬টি। বাকিগুলা এখনো জমা হয়নি। ফলে বাকি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে বুধবার রাত ১২টা থেকে।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই আমরা থানাগুলোকে প্রচারণা চালানোর জন্য বলেছি। এসব আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো থানায় জমা না দিলে সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা আসার পর কাজ শুরু করবে পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয়ে সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার জানান, গত ১৫ বছরের লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র স্থগিত করেছে সরকার। সেইসঙ্গে সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে থানায় আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেশিভাগ অস্ত্রধারী আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেয়নি। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। যারা নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক: কঙ্গোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডি আর) কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ৫৭০ জন ছাড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যামুয়েল রজার কাম্বা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানী কিনশাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭০০ জন এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৭০ জন ছাড়িয়েছে। এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে পুরো আফ্রিকা মহাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন। অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে এ ইস্যুতে আমাদের আলোচনা চলছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডি আর কঙ্গোতে শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব। দেশটির মোট প্রদেশের সংখ্যা ২৬টি, জনসংখ্যা ১০ কোটি। এই ২৬ প্রদেশের মধ্যে দক্ষিণ কিভু, উত্তর কিভু, শোপো, একুয়াটিউর, উত্তর উবাঙ্গি, শুয়াপা, মঙ্গালা এবং সানকুরু প্রদেশে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি।

ইতোমধ্যে ডি আর কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডাতেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে জুলাই মাসে। রোগটির সংক্রমণ ঠেকাতে গত বুধবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


আরও খবর



ফের আলোচনায় দুদকের মামলার আসামি ঠাকুরগাঁওয়ের শহিদুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি বদলী হওয়া দুদক মামলার আসামি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির সাবেক অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শহিদুল ইসলাম পুনরায় ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরতে দপ্তরে দপ্তরে জোর তদবির চালাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

আর তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। হুমকি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এক সাংবাদিক।

জানা গেছে, দুর্নীতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে চলতি বছরের ১০জুন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: জাকির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শহিদুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে বদলী করা হয়।

তাঁর দুর্নীতি ও বদলীর সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফলাও করে যেসব সাংবাদিক প্রচার করেছিলেন তাদের নামে বিভিন্ন ফেইক একাউন্ট খুলে (ফেসবুক) বিভ্রান্তমুলক কথা বার্তা ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে শহিদুলসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির অভিযুক্ত ব্যক্তি শহিদুল আবারো ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র।

কর্মচারী শহিদুল ইসলামের বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়মে খোদ অতিষ্ট তাঁর অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও। তবে শহিদুল ইসমালের এমন কু-কান্ডের জন্য তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ  জানিয়েছেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।

তাঁরা জানান, শহিদুল ইসলাম ডিসি অফিসের সামান্য কর্মচারী হয়ে কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বনে যায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেই সংবাদ প্রকাশিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে একটি মামলা হয়। যা এখনো চলমান। দুদকে মামলা হওয়ার পরেও সে থেমে নেই। একের পর এক অনিয়ম দুর্নীতি করতেই থাকে। কোন সাংবাদিক কথা বললেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার মাধ্যমে হুমকি-ধামকি দেয়ায়।

তাঁরা আরো বলেন, শহিদুল ঠাকুরগাঁও ডিসি অফিসে চাকুরি করার সুবাদে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের গলায় চুরি চালিয়েছে টাকা আদায় করতেন। টাকা ছাড়া কোন কাজ করতেন না সে। আবার তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ করলে উল্টো সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বারা হয়রানী অপদস্ত করতেন। এবং বিভিন্ন ফেইক (ফেসবুক) একাউন্ট খুলে মিথ্যা বিভ্রান্তকর কথা বার্তা লিখে প্রচার করেন। শহিদুল যাতে পুনরায় ঠাকুরগাঁও ডিসি অফিসে যোগদান করতে পারে তা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। সেই সাথে দুর্নীতির টাকা আত্মসাত করে হাজীপাড়াস্ত বহুতল ভবনসহ সকল সম্পতি সরকারের কোষাগারে নিতে দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জেলার পীরগঞ্জে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে যেনে সেই নির্ধারিত জায়গা নিতে শহিদুল ইসলাম গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে জমি ক্রয় করে। এরপর সেই জমি সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েকগুন অর্থাৎ উচ্চমূল্যে বিক্রি করে সরকারের কাছে। শুধু তাই নয়, সরকারের টিসিবির পণ্য প্যাকেটজাত করণে লাখ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ায় তাকে বদলি করা হয় কুড়িগ্রাম জেলায়।  মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যায় কর্মচারি শহিদুল। হঠাৎ করেই এত সম্পদের মালিক হওয়ায় শহরজুড়ে চলে আলোচনা ও সমালোচনা।

ডিসি অফিসে সামান্য বেতনের কর্মচারী এখন ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠের পাশে নির্মাণ করেছেন বহুতল আলিশান বাড়ি। এছাড়াও শহরে ৮ শতক জমির উপর বসতভিটা, সদরের শিংপাড়া এলাকায় তার ৬০ শতক জমি ও আবাদি ১ একর জমি রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা চলমান রয়েছে। শুধু তাই নয় গত ৩ জুন  জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের সামনে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতা অপব্যবহার ও ঘুস বাণিজ্য সহ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেন জেলার সাংবাদিকরা। শহিদুলের দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হলে উপস্থিত জনতাও তাঁর বিরুদ্ধে দুদক সচীবকে অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

থানায় অভিযোগের বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, সংবাদকর্মীর নামে অপপ্রচারের বিষয়টি নজরে এসেছে আইনশৃখলাবাহিনী তাকে সনাক্ত করার চেস্টা করছে। পেলেই নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, যে যেমন করবে তার ফল পাবে। দুর্নীতির বিষয়ে কোন আপোষ নেই। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুদকে মামলা চলমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি গণশুনানীতে কর্মকর্তা বলেছেন দ্রুতই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে জামায়াতের আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদনটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

তিনি বলেন, ডিসমিস ফর ডিফল্ট হিসেবে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত (রেস্টর) করতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ডিসমিস ফর ডিফল্ট বলে আপিল খারিজের  আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


আরও খবর



ঢাকা মেডিকেলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ক্যাম্পাস ও হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়াও বৈঠকে আরও চার দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিচে সব সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হলো

ঢামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকঢামেকের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক

১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবৃন্দের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন;

২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সকল শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;

৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস, শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাস এবং ডা. আলীম চৌধুরী ছাত্রীবাসে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, অন্যান্য এবং নতুনভাবে গঠিত কোনো ছাত্র সংগঠন) স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;

৪. ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে ও হোস্টেলে প্রকাশ্যে বা গোপনে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি আনয়ন, চর্চা, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ও তাতে অন্যদের আহ্বান এবং তাদের সমর্থনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রচার/প্রচারণায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস ও হোস্টেল থেকে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;

৫. তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে স্মারক নম্বর: ৫৯.১৪.৪০০০.০২৫.২৬.০০০.২৪.২৪১৬ (৫) তারিখ: ১২/০৬/২০২৪ খ্রি. মোতাবেক একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসে অবস্থান, একাডেমিক ক্লাস ও ক্যাম্পাসে আগমনের নিষিদ্ধকরণ সিদ্ধান্ত আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা আজ থেকেই হতে বলবতযোগ্য।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরীসহ একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তবে ঢামেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৪৮ দিনের মাথায় বদলি সিলেটের পুলিশ সুপার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

নতুন কর্মস্থলে যোগদানের মাত্র ৪৮ দিনের মাথায় বদলি হলেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান। এ ছাড়াও বদলি হয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে উপসচিব মো. মাহবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সিলেটসহ ২৪ জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে সিলেটের এসপি আব্দুল মান্নানকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই আদেশে মৌলভীবাজারের এসপি মো. মনজুর রহমানকে নোয়াখালী ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এ বছরের ১০ জুলাই আব্দুল মান্নান সিলেটের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি কুমিল্লার পুলিশ সুপার ছিলেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগেও কাজ করেছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজারে পুলিশ ও বিজিবির ছোড়া গুলিতে ৯টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার হিসেবে এসব ঘটনার নেপথ্যে এসপি আব্দুল মান্নানকেও দায়ী করছেন আন্দোলনকারীরা।

অপরদিকে, রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান ও যশোরের এসপি মো. মাসুদুল আলমকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই আদেশে ভোলা জেলার পুলিশ সুপারকে হবিগঞ্জ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


আরও খবর