আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সিলেটে বন্যার পদধ্বনি: বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুইদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। টিানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট জেলার সবকটি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০। এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী সারীনদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আকস্মিক বন্যায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার আশঙ্কা নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাড়িতে পানি ঢুকার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান না করে অবশ্যই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া।

পাহাড়ি, টিলা এলাকায় ও এর পাদদেশে বসবাসকারীদের কেও অতি সত্ত্বর পাহাড় ধস ও মাটি ধসজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, আমাদের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায় মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাততো আমাদের দেশেও ছিল। তাছাড়া প্রাক বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আর বৃষ্টি হলে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াটাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অপরদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু প্রাক বর্ষাকাল চলছে তাই এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হবে। গত ২৪ ঘন্টায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন  বলেন, আগামী তিনদিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



১১ দফা দাবি না মানলে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউনে’র হুঁশিয়ারি প্রবাসীদের

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোনো প্রবাসীর বিদেশে মৃত্যু হলে রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে মরদেহ আনাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। দাবি বাস্তবায়ন না হলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওমান প্রবাসী কামরুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখলেও প্রবাসীদের দাবি কখনও বাস্তবায়ন হয় না। বিদেশে দূতাবাসগুলো পাসপোর্ট ছাড়া তেমন কোনো বিষয়ে ভূমিকা রাখে না। ফলে কোনো প্রবাসী মারা গেলেও তাদের কোনো ধরনের সহায়তা দেয় না দূতাবাসগুলো। বিগত সময়ের নিয়োগ করা সব দূতাবাসের কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিতে হবে।

আমিরাতে যারা জেলে আছেন সেটির জন্য কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনকে দায়ী করে তিনি বলেন, তার কারণেই প্রবাসীরা জেলে আছেন। তিনি তাদের জেলে পাঠিয়েছেন। মূলত দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অবিলম্বে সেখানে আটকদের কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় মুক্তি দিতে হবে। প্রবাসীরা এককালীন দেশে চলে এলে তাদের যুক্তিসংগত প্রবাসী অবসর ভাতা দিতে হবে।

> একজন প্রবাসী ছুটিতে দেশে এসে কিংবা প্রবাসে কোনো কারণে মারা গেলে বা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক পঙ্গুত্ববরণ করলে এককালীন তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

>প্রত্যেক প্রবাসীর পরিবারকে বিশেষ স্মার্ট কার্ড দিতে হবে। ওই স্মার্ট কার্ড দ্বারা বাংলাদেশের সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেকটি সেক্টরে যেমন মেডিকেল ট্রিটমেন্ট, ইউনিয়ন অফিস, থানা, সিটি কর্পোরেশন, ভূমি অফিস, পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সব নাগরিক সেবায় প্রবাসীর পরিবার যেন সুফল ভোগ করতে পারে।

>শুধু পাসপোর্ট, ভিসা কপি অথবা আকামা কপি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীকে সহজশর্তে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন অন্য ব্যাংক থেকে বিনা সুদে বা সহজ শর্তে হাউজ লোন, ব্যবসায়িক লোনসহ অন্য লোন দিতে হবে।

>কোনো কারণে বাংলাদেশে কোনো প্রবাসীর নামে মামলা-মোকাদ্দমা হলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধিবিধান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০-১২০ দিন হতে পারে।

>প্রবাসে কোনো সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা করবে। প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা সৃষ্টি করতে হবে।

>অসুস্থতার কারণে কোনো প্রবাসী দেশে এলে বাংলাদেশের সব সরকারি মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

>প্রতি প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে।

> প্রবাসী পরিবারের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

>প্রবাসী পরিবারের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র বা সরকার উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ করবে।

> বিমানবন্দরে কোনো ধরনের লাগেজের ক্ষতি হলে প্রতিটা খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা সাতদিনের মধ্যে দিতে হবে।

>অভিবাসনের ক্ষেত্রে এবং বিদেশ যাত্রায় হয়রানি প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরও খবর



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চার দফা দাবিতে সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট)  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সারাদেশে যেসব স্থানে আমাদের জাতীয় বীরেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি পালিত হবে। রোডমার্চে সংশ্লিষ্ট স্থানে জড়ো হয়ে আমরা এক মিনিট নীরবতা পালন করবো এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করবো।

কর্মসূচি অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে বিকেল ৩টায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হবেন শিক্ষার্থীরা।

ঘোষিত চার দফা দাবি হলো-

১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



পাবনায় এগারো বছরেও মেলেনি নৈশ প্রহরীর সন্ধান

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

পাবনা'য় নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণে করে নিয়ে যাওয়ার ১১ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক (৪০)'র। রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ এগারো বছরে নেওয়া হয়নি কোন মামলা। এমনকি ভুক্তভোগীর পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে করা হয়েছে অসহনীয় নির্যাতন, দেওয়া হয়েছে হত্যার হুমকি।

ঘটনাগুলো ঘটেছে আতংকের জনপদ খ্যাত পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চর-বলরামপুর এলাকায়। দীর্ঘ এগারো বছর পরে আশার আলো দেখতে পেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। অপহরণ হওয়া খবির প্রামাণিককে ফিরে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিবারের সদস্যরা।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চর-বলরামপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ হন পাবনা জেলার সদর উপজেলাধীন ভাঁড়ারা ইউনিয়নের অন্তর্গত  চর-বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের স্ত্রী চাম্পা খাতুন (৩৫) বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে মনছের প্রামাণিকের ছেলে রিপন (৩২) ও উম্বার প্রামাণিকের ছেলে ইকবাল (৩০) আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর ফিরে আসে নি। ওরা আমার স্বামীকে খুন করেছে নাকি গুম করেছে তা জানি না। ঐদিনের পর আমার স্বামী ফেরত না আসলে ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে আমাদের মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। বিগত সরকারের আমলে আমরা কথা বলতে পারি নি। এখন যেহেতু দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন দেশে  আমরা আমার স্বামীকে ফেরত চাই, আর যদি আমার স্বামীকে ওরা মেরে ফেলে তাহলে আমি ওদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।

অপহরণের কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান চর- বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদের নিয়োগ নিয়ে একই গ্রামের মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহাম্মদ (৫০)'র সাথে ঝামেলা ছাড়াও ইবাদুল ও মাবুদ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করায় আমার স্বামী কে অপহরন করা হয়।

পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য খবির প্রামাণিককে রিপন ও ইকবাল বাড়ি থেকে নিয়ে গেলেও এই অপহরণ ও গুমের সাথে মৃত রজব আলীর ছেলে আহসান (৪০), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহম্মদ (৫০),মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে আজাহার মন্ডল (৬০), মৃত রিকাত প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাকু (৪৮), নাদের প্রামাণিকের ছেলে কুদ্দুস (৪৫), নাদের প্রামাণিকের ছেলে শফিকুর (৩৬), ময়ছের প্রামাণিকের ছেলে শাহিন (৩৭),মৃত কাশেম প্রামাণিকের ছেলে নাহের প্রামাণিক (৪৫), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোতাহের মালিথা, আক্কাস মালিথার ছেলে শামছুর (৩৬), রজব খাঁ'র ছেলে রানু খান (৪৫), লুকাই খাঁ'র ছেলে বক্কার (৫৫), আকবার প্রামাণিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত কফিলউদ্দিন খন্দকারের ছেলে আতাউর রহমান (৫৫) সরাসরি জড়িত। অনতিবিলম্বে এই সকল অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি অপহরণ ও গুমের রহস্য উদঘাটন করে খবির প্রামাণিককে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে যা বলল বিএসএফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ জানিয়েছে বিএসএফ। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বিএসএফের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হলো।

শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বিষয়টি জানিয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমানার নিশ্ছিদ্র রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও বদ্ধপরিকর। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসএফ এই অবস্থান ব্যক্ত করেছে।

বিএসএফ জানিয়েছে, ১২ আগস্টের পর থেকে বিএসএফ ও বিজিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ৭২২ দফায় বৈঠক করেছেন। বিবৃতিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী দুর্বল সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে একযোগে এক হাজার ৩৬৭টি সমন্বিত টহল (এসসিপি) পরিচালনা করেছে।

বিবৃতিতে বিএসএফ বলেছে, এসব সীমান্ত বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিজিবি ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উভয় বাহিনীর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে করে চলেছেন এবং বাস্তব সময়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন অপারেশনাল তথ্য আদান-প্রদান করছেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএসএফের কলকাতা-সদর দপ্তর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাখাওয়াতকে স্বরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বর্তমান উপদেষ্টারদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

নতুন শপথ নেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ও সামলাবেন তিনি।


আরও খবর