আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সিলেটে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটে মাইক্রোবাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরের এয়ারপোর্ট-আম্বরখানা সড়কের মালনিছড়া চা বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহীর একজন হলেন- মো. মেহেদি আফনান (৩২)। তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বাসিন্দা।

অপর নিহতের নাম আশফাকুজ্জামান। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর এলাকার বড়াইল এলাকার ফিরোজ আহমদের ছেলে।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, বুধবার বিকেলে মালনিছড়া চা বাগান এলাকায় আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা মাইক্রোবাসের সাথে মেহেদির মোটরসাইকেলটি ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আশফাকুজ্জামানকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



বিএসইসির কমিশনার হলেন সাবেক দায়রা জজ আলী আকবর

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হিসেবে সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবরকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার (২৮ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. আলী আকবরকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন অনুসারে নিয়োগের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছরের জন্য বিএসইসির কমিশনার পদে নিয়োগ করা হলো। তার বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধাদি সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।


আরও খবর



১০ বছরেও সুপেয় পানির সংকট কাটেনি জয়পুরহাট পৌরসভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাট পৌরসভার বাসিন্দাদের সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় ওভারহেড ট্যাংক। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাননি বাসিন্দারা। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণের কথা থাকলেও সেটা করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক যুগ ধরে পড়ে রয়েছে ওভারহেড ট্যাংকটি। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট না থাকায় ১০ বছর ধরে সুপেয় পানি সংকটে রয়েছে পৌরসভার বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি, অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ওই প্লান্টটি এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমানে ট্যাংকটি পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১০ বছর ধরে তারা সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। দ্রুত ওই ট্যাংক চালু করে সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি তাদের।

জয়পুরহাট পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ জুন ওভারহেড ট্যাংক ও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মাঝারি শহরে পানি সরবাহ ও স্যানিটেশন (জিওবি-এডিবি) যৌথ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়। তবে প্রকল্প প্যাকেজের আওতায় তখন শুধু ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ করা হলেও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি সেখানে। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল কাজটি শেষ হয়। প্রকল্প বুঝিয়ে দিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বিল উত্তোলন করে নিলেও ১০ বছরে সুপেয় পানি সরবরাহ করা যায় নি।

এব্যাপারে জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, আমি বিষয়টি পৌরসভার বিভিন্ন বৈঠকে আলোচনা করেছি। কিন্তু কেউ তখন সেটাকে গুরুত্ব দেননি। এজন্য সমাধানও হয়নি।

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ শুরু হয়নি বলে মনে করেন পৌরসভার বাসিন্দারা। পরিত্যক্ত থাকায় ট্যাংকসহ ও অন্যান্য সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়েছে।

এপ্রসঙ্গে প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, এখানে অবশ্যই দুর্নীতি করা হয়েছে, না হলে এতদিনেও এটি চালু হলো না কেন? জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। এজন্য আমি চাই এটা দ্রুত চালু করা হোক, এতে জনগণের উপকার হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও পৌরসভার প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব। শিগগিরই ট্যাংকটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে ট্যাংকটি বন্ধ থাকায় পূর্ব এলাকার ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। দ্রুত পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ করে বন্ধ ট্যাংকটি চালুর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।

খঞ্জনপুরের খালেক উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক আব্দুর রহমান ও ফিরোজসহ কয়েকজন নাগরিক বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি। এখনো অনেকেই জানেন না, ট্যাংকটি চালু নেই। পানির ট্যাংকটি ১০-১২ বছর আগে নির্মাণের পর থেকে এখনো চালুই হয়নি, অকেজো পড়ে রয়েছে। ট্যাংকটি কোনোদিন চালু না হওয়ায় এখান থেকে সুপেয় পানির সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। সরকার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ট্যাংক নির্মাণ করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটি নির্মাণ না হওয়ায় যেসব পাম্প বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছিল, সেগুলো এখন হারিয়ে গেছে। ট্যাংক চালু না হওয়ায় শহরের পূর্ব এলাকার সিও কলোনি ও বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরের ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় পানের অযোগ্য পানি সরবরাহ করা হয়।

পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদুল ইসলাম সোহেল  বলেন, সবকিছুই বরাদ্দ ছিল, কিন্তু বিগত সময়ে মেয়রের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংকটি চালু হয়নি। যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) খালেদুল হক জানান, প্রকল্পের আওতায় শুধু ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি। এজন্য ওই ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। প্লানটি নির্মাণ করা হলে ওই অঞ্চলের অধিকসংখ্যক মানুষ সুপেয় পানি পাবে, পৌরসভার রাজস্ব আহরণও বাড়বে।

এপ্রসঙ্গে পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আমি সদ্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



রাজশাহীতে বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর বিএনপি নামধারী কতিপয় নেতা যারা এতোদিন দলের কোন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি দিবসগুলো পর্যন্ত পালন করেনি। তারাই নিজেদের অপরাধ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রম ধামাচাপা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। সেই সাথে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে  সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যারা এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে  সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলার তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মামা মরহুম ইমরান আলী মোল্লা তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বংশীয়ভাবেই শহীদ জিয়ার আদর্শের সাথেই আমরা সরাসরি জড়িত। আমি বার বার ঢাকা-রাজশাহীতে পুলিশ ও আওয়ামী বাকশালী কর্তৃক মামলায় প্রেপ্তার হয়েছি এবং কারাবরণ করেছি। তানোর পৌরনির্বাচনে বার বার আমাকে প্রতক্ষ্যভাবে ফলাফল কেড়ে নিয়ে পরাজিত করা হয়েছে। তবুও বিএনপির একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এমন কোন বিএনপির প্রোগ্রাম নাই যেখানে আমার উপস্থিতি ছিল না। প্রত্যেকটা জায়গায় আমার নেতৃত্বে তানোর উপজেলা ও তানোর পৌরসভা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। অথচ আমিসহ আমার কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলের কিছু নামধারী নেতা কেন্দ্রে অভিযোগ পাঠিয়েছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও মানহানিকর।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে সংবাদগ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কখনোই কোন সময় আমাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিযোগ উপস্থাপন হয়নি। আমাদের সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে কতিপয় কুচুক্রি মহল ঈর্ষাণ্বিত হয়ে জয়প্রিয়তাকে নষ্ট করতেই সাজানো মিথ্যা-বানোয়াট  ও উদ্দেশ্যণোদিত অভিযোগ কেন্দ্রে উপস্থান করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা দঢ় কণ্ঠে বলতে পারি শহীদ জিয়ার আদর্শচ্যুত কখনোই হইনি এবং আগামীতেও হবো না।  বরং যারা অভিযোগ করেছে তারাই বিভিন্ন নৈরাজ্য, হাট-ঘাট দখল, বালু মহাল দখল, পুকুর দখল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও দখল দারিত্বের সাথে জড়িত। তাদের অপকর্ম ঢাকতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, গোদাগাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম বাবু, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক লাইভে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ফেসবুক লাইভে আজ শহীদি মার্চ প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই সমন্বয়ক। এক পর্যায়ে তিনি লাইভ ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা গণভবনকে একটি জাদুঘর করার জন্য প্রস্তাব দেবো।

২০২৪ এর আন্দোলন নিয়ে একটি জাদুঘরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যে গণভবনটি ছিল, যেখানে ফ্যাসিজমের আখড়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে, আগে সবাই গণভবনমুখি হয়ে থাকতো। আমরা দেখেছি, কারও ডিভোর্স হয়েছে, সেও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পূর্বাচলে কারও প্লট লাগবে, সেও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পঞ্চগড়ে কারও একটা ব্যক্তিগত সমস্যা, সেও প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অর্থাৎ এই গণভবনটাই ছিল ফ্যাসিজমের একটা আখড়া। এই গণভবনকে স্থায়ীভাবে একটি জাদুঘর করার জন্য আমরা প্রস্তাব করবো এবং সেটা নিশ্চিত করতে চাই।

এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও গণভবনের জায়গায় গণহত্যা মিউজিয়াম তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৫ বছরের অনাচার অবিচার জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় স্থাপনা গণভবন ছিল বা দেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী স্মারক। গণভবন বা বর্তমানে স্বৈরাচারী হাসিনার দুর্নীতি দুঃশাসন, অনাচার, অপকর্মের প্রতীক। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে এই গণভবনকে গুম খুন অপহরণ এবং গণহত্যার মিউজিয়াম হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং গুম হওয়া মানুষদের স্মৃতিগুলো এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশে আর কোনো শাসক যাতে হাসিনার মতো বর্বরোচিত পথ অনুসরণ না করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মিউজিয়াম সেই বার্তাই বহন করবে।


আরও খবর



হারভেস্টার মেশিন নিয়ে যুবদল সভাপতি কারসাজি: বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

হারভেস্টার মেশিন প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য মোঃ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীরা। এতে পাকা আউশ ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। ধান মাঠে পেকে ঝড়ে গেলেও মেশিনের অভাবে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন না। দ্রুত যুবদল সভাপতি মোঃ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে অন্তত ৫ শতাধিক একর জমিতে কৃষকরা আউশ ধান চাষ করেছেন। ওই ধান গত ৮ দিন আগেই কাটার উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য মোঃ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগী শাহ নেওয়াজ, মাসুদ মৃধা ও আলাউদ্দিনসহ ৮/১০ বিএনপির সদস্যরা ওই এলাকায় হারভেস্টার মেশিন প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে। তাদের ভয়ে কেউ হারভেস্টার মেশিন প্রবেশ করতে সাহস পাচ্ছে না। কৃষকদের অভিযোগ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে দুইটি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ওই এলাকার ধান কাটছে। ওই দুইটি মেশিন দিয়ে পর্যাপ্ত ধান কাটতে পারছে না তারা। অন্য কোন মেশিন তারা এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ধান কাটতে না পারায় মাঠেই ধান নষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপনে জমি চাষাবাদ করতে পারছে না। জমির আউশ ধান কাটা ও আমন ধানের চারা রোপনে জমি চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা মহা বিপাকে পরেছেন।

কৃষক তুহিন হাওলাদার বলেন, দুই একর জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি। ধান মাঠে পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হারভেস্টার মেশিনের অভাবে কাটতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফিরোজা মৃধা ধান কাটার মেশিন এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

কৃষক মোকলেস মৃধা ও জহির মৃধা বলেন, জমির পাকা ধান জমিতেই পঁচে যাচ্ছে। মেশিন এনে ধান কাটার চেষ্টা করেও ফিরোজ মৃধা, মাসুম মৃধা, শাহ নেয়াজ ও আলাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি সদস্যদের বাঁধার কারনে কাটতে পারছি না। তারা আরো বলেন, একেতো ধান মাঠে নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে আমন ধান রোপনের জন্য জমি চাষাবাদ করতে পারছি না। দ্রুত প্রশাসনকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।

নান্না প্যাদা বলেন, আমি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতেছিলাম কিন্তু আমাকে ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীরা ধান কাটতে নিষেধ করেছে। আমি তাদের নিষেধ না শুনে ধান কেটেছি। এতে আমাকে তারা মারধর করে ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। 

সবুজ দর্জি বলেন, ধান কাটতে হারভেস্টার মেশিন এনেছিলাম কিন্তু ফিরোজ মৃধা, মাসুম মৃধা, আলাউদ্দিন ও শাহ নেয়াজ ধান কাটতে দেয়নি।

এ বিষয়ে আঠারোগাছিয়া যুবদল সভাপতি চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য মোঃ ফিরোজ মৃধা ধান কাটতে মেশিন প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে (০১৭৮৯৭৫৯৬৭৭) বলেন, আমি উল্টো ধান কাটতে মেশিন আনতে সহযোগীতা করছি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি কৃষকদের মাধ্যমে জেনেছি। দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ফিরোজ মৃধাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অফিযোগ পেয়েছি।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর