আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সিলেটে কাল থেকে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের দিন (৫ আগস্ট) সিলেটসহ সারা দেশের প্রায় প্রত্যেকটি থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অস্ত্র লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। এসব অস্ত্র ফিরে পেতে আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বর্তমান নির্দলীয় সরকার।

এছাড়া বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স গত ২৫ আগস্ট স্থগিত করেছে বর্তমান সরকার। এসব অস্ত্রও জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এসব সব অস্ত্র ফিরে না পেলে আগামীকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশে যৌথ বাহিনী অভিযানে নামবে।

এ বিষয়ে সতর্ক করে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সিলেটজুড়ে মাইকিং করা হয়েছে। সোমবার বিকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও বিশ্বনাথে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাটরিচালিত রিকশাযোগে মাইকিং করতে দেখা যায়।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানা গেছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারাদেশে বুধবার থেকে যৌথ অভিযান চালানো হবে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের পরিচয় দিতে হবে। পরিচয় না দিয়ে কোনো অবস্থাতেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যৌথ অভিযানসহ যে কোনো ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা মানতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সম্প্রতি থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়ে এতে জোর দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের (মঙ্গলবার) মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর (বুধবার থেকে) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হবে।

যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সিলেটসহ সারা দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর হাতে। তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।

এদিকে, ৫ আগস্ট সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার ৬টি পুলিশ স্টেশনে হামলা করে ১০১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এসবের মধ্যে ৮০টি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ২১টি এখনো উদ্ধার হয়নি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্যগুলো জানিয়েছেন। তিনি বলেন- উদ্ধার হওয়া ৮০টি অস্ত্রের মধ্যে এসএমজি, চায়না রাইফেল, পিস্তল ও শটগান রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য রোববার (২৫ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ  করার ঘটনায় তলবে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা। এই ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন,জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। সেদিন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের নির্ধারণ করা হয়।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

একইসঙ্গে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। ২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।

১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মিছিল সমাবেশও করে আসছে।

গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন-সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।

তিনি বলেন, ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত-এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্র চাই। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্র কী? শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। ভোট দিয়ে রাজা ও মন্ত্রীর পরিবর্তনই গণতন্ত্র নয়। যে গণতন্ত্র মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা, বেকারের চাকরির সংস্থান ও দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি ঘটাতে না পারে-বঙ্গবন্ধু সে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত হবে না, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উন্মেষ ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হবে না, শুধু ভোট দিয়েই এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছি, সে অবস্থায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আবহ ও প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সবকিছু মাথায় নিয়ে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‌সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?


আরও খবর



কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পিকআপভ্যানের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার বাতিসা নানাকরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চৌদ্দগ্রামের বাতিসা নানাকরা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকা লেনে একটি পিকআপভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল। ভোরে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই পিকআপভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস গিয়ে ওই মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)  মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিজিবির মূল দায়িত্ব।  তিনি এ সময় বিজিবিকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবির সদর দফতর রাজধানীর পিলখানায় সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ নির্দেশনা দেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)  মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিকে কোনও অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। যারা ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। তিনি বলেন, বিজিবিকে আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী-সহ বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভিডিও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে বিজিবির সব রিজিয়ন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বাউফলে সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সুশীল সমাজের মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

সরকার পরিবর্তনের পর সার্বিক বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় করেছেন জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল  মো. আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কনফারেন্স রুমে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম পিপিএম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বশির গাজী এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমসাময়িক বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন, বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অতুল চন্দ্র পাল,বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সোহাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত  কুমার সাহা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাজমুল হক, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মুনতাসির তাসরিফ ও সামিয়া আক্তার।

মতবিনিময়ে জিওসি পদাতিক ডিভিশন ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আব্দুল কাইয়ু মোল্লা বলেন,  ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। পুলিশ বিভাগের কর্মবিরতীর কারণে তারাও মাঠে থাকতে পারেননি। এখন ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে আসছে। সংখ্যালঘু ও তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, জমিদখল নিয়ন্ত্রণে আসছে। চাঁদাবাজি,  ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হাট-ঘাট দখল করলে সাথে সাথে সেনাবাহিনী কিংবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন। একাজে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। জন্মাষ্টমী ও দুর্গা পূজায় সকল ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। 

এসময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশকে আপনারাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনগণকে সেবা দিয়ে দেশ গঠনে সহায়তা করুন। 

নিউজ ট্যাগ: বাউফল

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে মতপার্থক্য দূর করার উপায় নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, এতে কোনো দেশেরই লাভ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী সরকারপ্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। শুক্রবার পিটিআই নিউজের ওয়েবসাইটে এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারকে সতর্কও করেন।

দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি (পানি বণ্টন) নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না। আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে শিগগিরই তাড়া বা চাপ (পুশ) দেবে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, নতুন সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।

নোবেলজয়ী এই সরকারপ্রধান বলেন, চাপ (পুশ) শব্দটি অনেক বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ২০১১ সালে ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।


আরও খবর