আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ গুণীজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৯ ও ২০২০ সালের শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ গুণী ব্যক্তিত্ব।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ পদক হস্তান্তর করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিল্পকলা পদক-২০১৯ ও ২০২০ নিয়ে জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে শিল্পকলা পদকের অনুষ্ঠান স্থগিত থাকায় ২০১৯ ও ২০২০ সালের পদক একসঙ্গে দেওয়া হবে। ২০১৯ সালে ১০ জন ও ২০২০ সালে ১০ জনসহ মোট ২০ জনকে এ পদক দেওয়া হবে।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তৃতা করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে শিল্পকলা পদক দেওয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতিবছর পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকেন।

পদক প্রদানের জন্য তালিকাভুক্ত ১২টি ক্ষেত্র রয়েছে- কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন/সংগঠক এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক। তালিকাভুক্ত ক্ষেত্র হতে নির্বাচিত ১০টি ক্ষেত্রে প্রতিবছর শিল্পকলা পদক দেওয়া হয়। মনোনীত ব্যক্তি/ব্যক্তির প্রত্যেককে স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং নগদ এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: শিল্পকলা পদক

আরও খবর



সিপাহি রইশুদ্দীন হত্যা টার্গেট কিলিং নয় : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সিপাহি রইশুউদ্দীন নিহতের ঘটনা টার্গেট কিলিং নয় বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

অন্যদিকে বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেছেন, ওই দিন কী ঘটেছিল, ইতিমধ্যে বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএসএফ। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না।

আজ শনিবার সকালে বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান এ কথা বলেন।

এই হত্যাকাণ্ড বিএসএফের টার্গেট কিলিং ছিল কি নাসাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএসএফ। ওই দিন কী ঘটেছিল তা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না না। এটি বিজিবিকে জানানো হয়েছে।

এরপর বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ঘটনার সময় কুয়াশাচ্ছন্ন ও অন্ধকার ছিল। তাই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিল।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের এখন মূল লক্ষ্য যাতে সীমান্তে হত্যা না ঘটে। পোশাকধারী বা সাধারণ নাগরিক যিনিই হোক, কোনো প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সে জন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাজ করছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের প্রধান বলেন,সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। চোরাকারবারিরা সাধারণত দা দিয়ে খুব কাছ থেকে বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন প্রাণ রক্ষায় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করেন, তাঁরা দেখেন না গুলিটা বডির কোন পার্টে লাগছে।

সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে সেটি দিয়েও মৃত্যু হতে পারে। যখন বিএসএফ সদস্যদের ওপর দা দিয়ে হামলা করা হয়, তখন তাঁরা অনেক কাছে চলে আসে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা কখনো গুলি করতে বাধ্য হন। এর বাইরেও বিপুল চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তার করা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে। এ জন্য জয়েন্ট বর্ডার পেট্রলিং, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এবারের ডিজি পর্যায়ের যৌথ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং একমত হয়েছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে একমত হন তাঁরা।

সীমান্তবর্তী খাল হয়ে ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ায় ভেসে আসা শিল্পবর্জ্য মিশ্রিত পানির ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বিজিবির মহাপরিচালক যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের ওপর জোর দেন। উভয় পক্ষ যৌথ জরিপ পরিচালনা এবং সীমান্তবর্তী পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতীরবর্তী ৫ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য ফসলি জমির সেচ সুবিধা ও সীমান্তবর্তী জনগণের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে মানবিক দিক বিবেচনায় অবিলম্বে কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে বন্ধ থাকা রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় খুলে দেওয়ার জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান। বিএসএফ মহাপরিচালক উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় দ্রুত রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্তকরণের আশ্বাস দেন।

ঢাকায় ৫-৯ মার্চ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন। বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আজকেই তাঁরা দেশে ফিরে যান।


আরও খবর



আফগানিস্তানে যানবাহনে আগুন, নিহত ২১

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে তেলের ট্যাংকার ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ৩৮ জন। সংঘর্ষের ফলে যানবাহনগুলোতে আগুন ধরে যায়।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র মোহাম্মদ কাসিম রিয়াজের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলমান্দ প্রদেশে তেলের ট্যাংকার ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ২১ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছে। রোববার ভোরে হেলমান্দের গ্রিশক জেলার রাজধানী কাবুল ও উত্তর হেরাত শহরের মধ্যবর্তী একটি প্রধান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ফলে যানবাহনগুলোতে আগুন ধরে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেলমান্দের তথ্য বিভাগের শেয়ার করা ছবিগুলিতে পোড়া, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ধাতু এবং ট্যাংকারের চূর্ণ কেবিন দেখানো হয়েছে।

প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র মোহাম্মদ কাসিম রিয়াজ বলেছেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, একটি যাত্রীবাহী বাস, একটি ট্যাংকার ও একটি মোটরসাইকেলের মধ্যে দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে আরও ৩৮ জন আহত হয়েছেন।

এএফপি বলেছে, আফগানিস্তানে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিয়মিত বিষয়। দুর্বল রাস্তা, হাইওয়েতে বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানো এবং নিয়ন্ত্রণের অভাব এর পেছনে দায়ী।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান তৃতীয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা কারণে বিশ্বে বেড়েই চলছে বায়ুদূষণের মাত্রা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঢাকার বায়ুদূষণও। আজ সোমবার (১৮ মার্চ) বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ওঠে পাকিস্তানের লাহোর। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এই তথ্য জানা যায়। এসময় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ছিল তিন নম্বরে।

আজ দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা লাহোরের স্কোর ২৩৮। অর্থাৎ সে সময় ওই শহরের বায়ু ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি। শহরটির দূষণ স্কোর ২১২, অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর। তৃতীয় অবস্থানে রাজধানী ঢাকা। এই শহরের দূষণমাত্রার স্কোর ২০৬। অর্থাৎ ঢাকার বাতাসও খুবই অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলো তার এ ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এই দিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল।

ওই দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইট-এর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট।


আরও খবর



সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দা ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় শ্রম সম্পর্ক তৈরির জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আজ বুধবার (১৩ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত রোড ম্যাপ (২০২১-২৬) এর আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম সংক্রান্ত পরিদর্শন এবং শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকারে চারটি ক্ষেত্রে শ্রম সংস্থার অধিবেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রস্তাবিত বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অনায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশু শ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথাও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহণ খাতে এবং নৌপরিবহণ খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজীকরণ সংক্রান্ত বিধান সংযুক্ত করার কথাও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিভিন্ন কনভেনশনের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে বলে তিনি অধিবেশনকে অবহিত করেন। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে শ্রম আইনের সংশোধন বিল আকারে উপস্থাপিত হতে পারে বলে মন্ত্রী জানান।

প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী জানান। এর ফলে তৈরি পোশাক খাতে গত ৯ বছরে নিবন্ধন ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত হয়েছে। তাছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনভুক্তি আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আনিসুল হক আরও বলেন, কারখানা পরিদর্শকের পদ আড়াই গুণ বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় পরিদর্শন মডিউল চালু করা, পরিদর্শকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শনে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। কেবল গত ২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসে ২০ হাজারেরও বেশি পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি তথ্য প্রদান করেন। এ ছাড়া ইপিজেডগুলোতে নিজস্ব উন্নত পরিদর্শন ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরও পরিদর্শন শুরু করেছে। ছয়টি নতুন শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার ফলে বর্তমানে মোট ১৩টি শ্রম আদালত কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি উচ্চক্ষমতার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সেল চালু করা হয়েছে। এটি অদ্যাবধি প্রাপ্ত ৯০ শতাংশের বেশি সালিশ আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ সহজে দায়ের করার জন্য সরকার কর্তৃক চালু করা হেল্পলাইন সফলভাবে কাজ করেছে বলেও তিনি জানান।

ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের প্রতি বৈষম্য বন্ধের লক্ষ্যে সরকার গত তিন বছরে প্রায় ৩৬ হাজার শ্রমিক, ব্যবস্থাপক, মালিক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী, আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। সরকার এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


আরও খবর