আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শিমুলিয়াঘাটে যানবাহনের দীর্ঘসারি, সব ফেরি সচল

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিনবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গত কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী যাত্রী চাপ থাকলেও শুক্রবার ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী ব্যাক্তিগত ও পন্যবাহী যানবাহন সংখ্যা বাড়তে থাকে শিমুলিয়াঘাট এলাকায়। সকাল থেকে ঘাট এলাকায় ৪ শতাধিক ব্যাক্তিগত ছোটগাড়ি ও ২ শতাধিক পন্যবাহী বড় গাড়ি অবস্থান করছে বলে বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানাগেছে।

আর এসব যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের বহরে থাকা সবগুলো (১৬টি) ফেরি বর্তমানে সচল রয়েছে।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে যাত্রী চাপ তেমনে বাড়েনি। কেউ কেউ আবার ঈদকে কেন্দ্র করে আগেই বাড়ি ফিরছে। এখন ছোটগাড়ি গুলো পারাপার করা হচ্ছে শুধু। পর্যায়ক্রমে সকল গাড়িই পারাপার করা হবে।

এদিকে লকডাউনে গনপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশনায় নৌরুটে লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে নিয়ম আমান্য করে নৌরুটিতে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু স্পীডবোট ও ট্রলার চলাচল করতে দেখা গেছে।


আরও খবর
বৃষ্টির আশায় নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




নির্বাচনের পর প্রথম ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। তিন দিনের সফরে আগামী ২১ এপ্রিল তাদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

মার্কিন এই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে থাকবে বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।

এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এটি হবে বাংলাদেশে প্রথম কোনো মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর।

প্রতিনিধিদলের এ সফরে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের জটিলতা দূর করতে দুই পক্ষ আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

এতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শ্রম সংস্কার, মেধাস্বত্ব ও তথ্য সুরক্ষা আইনের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।


আরও খবর



উদ্ধার হওয়া স্যাটেলাইট লাগানো কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত হবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের চিতলমারীর একটি মৎস্য ঘের থেকে  স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চিতলমারী উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের মোঃ হাসান শেখের মৎস্য ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।

ট্রাকে করে কুমির খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও)র কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়ছেন ডিএফও নির্মল কুমার পাল।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মৎস্য ঘেরে কুমিরটি দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কুমির দেখতে ভীড় জমায়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার রয়েছে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, কেউ যাতে কুমিরটির ক্ষতি না করে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর শোনার পর থেকে আমরা বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। খুলনা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্যর নেতৃত্বে একটি দল ট্রাকে করে কুমিরটিকে খুলনায় নিয়ে গেছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও) নির্মল কুমার পাল বলেন, আমরা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছি। কুমিরটি সুস্থ্য রয়েছে।পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে।

গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ জানার জন্য গত ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে চারটি কুমির সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে অবমুক্ত করা হয়। ৪টি কুমিরের ৩টি কুমিরের অবস্থান সুন্দরবনে পাওয়া গেলেও, অন্য একটি কুমিরের অবস্থান মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, পিরোজপুর এলাকায় পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়।


আরও খবর
বৃষ্টির আশায় নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভাড়া গুনবেন যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাড়ির টানে ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এই ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৯৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে এসব যাত্রীদের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তাদের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা গত ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী সেবার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু অসাধু বাস মালিক-চালকেরা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। সড়ক ও নৌ-পথের বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিল্যান্স টিমের অস্থায়ী অফিসে সদস্যরা বসে থাকলেও তারা এসব দেখার বা প্রতিকার করার প্রয়োজন মনে করছে না।

ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনও যাত্রী অভিযোগ দিলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সামনে ভাড়া নৈরাজ্য চললেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। তাদের জানিয়ে আর কী লাভ হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌ-পথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

রাজধানীতে চলাচলকাররী সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারি ২৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় প্রায় ৭০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ১৪০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

ইজিবাইক, মোটররিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারি প্রায় ১০ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশায় ১৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ২৮০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার লেগুনায় কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত পরিবহন প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের প্রায় ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হচ্ছে। এসব যানবাহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিজেদের পরিবহন ব্যবহার করলেও ১৫ লাখ যাত্রীকে ভাড়ায়চালিত যানবাহনে ঈদে বাড়ি যেতে ট্রিপ প্রতি গড়ে ৩৫০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ১১২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে ঢাকা থেকে বাসে দূরপাল্লার রুটে ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে বাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি সার্ভিস বাসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোনও গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৪ হাজার সিটি বাসে ৪৮ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।

গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ১২ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছেন। অন্যরা রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীপ্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া দিচ্ছেন। এতে ৮ লাখ ৪০ হাজার মোটরসাইকেল যাত্রীদের ২৫ কোটি ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে অতিরিক্ত কোচ, ঈদ স্পেশাল হিসেবে অতিরিক্ত রেল রেক যুক্ত করার পরে ঢাকা ৭ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। দৈনিক ৪০ হাজার যাত্রী নিয়মিত টিকিটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটসহ ৪৬ হাজার টিকিটধারী যাত্রী হিসেবে ১ সপ্তাহে ৩ লাখ ২২ যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। এর বাইরে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরও প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী। এত বড় সংখ্যক যাত্রী বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণে কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের রাজস্ব হারালেও চলমান ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি স্টুয়ার্ড, বেসরকারি কেন্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।


আরও খবর



জাতির জনকের সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নবনিযুক্ত ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদি পৈতৃক বাড়ি ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থান সমূহ পরিদর্শন করেন।

পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং উপাচার্য হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে ও দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বশক্তি নিয়োগ কথা উল্লেখ করে চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও শিক্ষায় বিশ্বমান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। এসময় তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চিকিৎসাসেবায় স্টেট অব আর্ট খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে দ্রুত চালুর ঘোষণা দেন।

এ সময় সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর, লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, অধ্যাপক ডা. এইচএম জহিরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক, অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. তোহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, স্বাচিপ নেতা সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন, অতিরক্তি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব, ডা. জাহান শামস নিটোল, ডা. সমরেশ চন্দ্র সাহা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আলবেলী অফিফা, উপাচার্যের জ্যেষ্ঠ সন্তান আসিফ মোহাম্মদ নূর, কন্যা জারা দীন নূর,  একান্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম পলাশ, জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার, আইন কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীবৃন্দ, স্বাচিপ এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক এর পিতা হলেন মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা মরহুমা আফজালুন্নেছা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ৫ সন্তানের পিতা। তাঁর সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন-পুত্র দীন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মোহাম্মদ নূর, ফার ইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রিসাত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট জাদিত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট তৌসিফ মোহাম্মদ নূর এবং একমাত্র কন্যা স্টুডেন্ট জারা দীন নূর। তাঁর সহধির্মিনী হলেন মিসেস রোজিনা হক। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী মধ্যপাড়া ও মিরাপাড়া গ্রামে।

 তিনি ১৯৫৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে এমবিবিএস, এফসিপিএস (চক্ষু), রয়েল আলেকজান্দ্রা হাসপাতাল, পেইজলী, ইউকে থেকে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ইত্যাদি দেশে আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৮১ সালে চকুরীতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি অধ্যাপক (চক্ষু), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা, অধ্যাপক (চক্ষু), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরিচালক ও অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা, লাইন ডাইরেক্টর, ন্যাশনাল আই কেয়ার (জাতীয় অন্ধ নিবারণ কর্মসূচী), মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে শিক্ষকতাসহ দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর



সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর
বৃষ্টির আশায় নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪