আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সিন্ডিকেটের ফাঁদে অসহায় ভোক্তারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হরহামেশা কারসাজি করে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। চক্রটি বেআইনিভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট থেকে প্রতি বছর হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার কোটি টাকা। বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবে সেটি হচ্ছে না। ফলে ওই অসাধু চক্র পণ্যকে টার্গেট করছে, বাড়াচ্ছে দাম। আর সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভোক্তারা। বাড়তি দরে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিত্যপণ্য নিয়ে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট একই সময় চাল থেকে শুরু করে ডাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, শাক-সবজি, চিনি, মসলা নিয়ে কারসাজি করছে। এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে অক্সিজেন, ইনজেকশন, কম্পিউটার সামগ্রীসহ মুখরোচক খাবারেও রয়েছে তাদের লম্বা হাত। এসব পণ্যের যখন উৎপাদন কম হয় এবং চাহিদা ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে, সেক্ষেত্রে অসাধুরা অহেতুক দাম বাড়িয়ে দেয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেই বাড়তি দাম অব্যাহত থাকে। ওই সময়ের মধ্যে ভোক্তার পকেট কেটে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বছরের পর বছর এ অপকর্ম চললেও রহস্যজনক কারণে সরকারের সংশ্লিষ্টরা একরকম নির্বিকার। মাঠপর্যায়ে কয়েকজনকে নামমাত্র জরিমানা করে দায়সারা গোছের দায়িত্ব সম্পন্ন করেন তারা। অধরা থেকে যায় সিন্ডিকেটের মূল নায়করা।

প্রতি বছর রোজার মাসকে কেন্দ্র করে চিনি, ছোলা, শসা, বেগুনের দাম হয় আকাশচুম্বী। কোরবানির ঈদ ও শীতে বাড়ে মসলার দাম। এভাবে একটির পর একটি পণ্যকে টার্গেট করে দাম বাড়ানো হয়। এভাবে প্রায় পুরো বছরই সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরেও কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো হয়।

এ বিষয় সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি একাধিকবার বলেছেন, পণ্যমূল্য বাড়ানোর নেপথ্যে সিন্ডিকেট জড়িত। অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চালের দাম বাড়ার বিষয়ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার একাধিকবার সিন্ডিকেটের কারসাজির কথা বলেছেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তারপরও কোনো সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তাছাড়া অনেক সময় পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি থাকলেও পণ্যের দাম বাড়ে। তবে অসাধু পন্থায় দাম বাড়ালেও দৃষ্টান্তমূলক কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। যার কারণে অসাধুরা বারবার একই পন্থায় ভোক্তার পকেট কাটে। তাই সংশ্লিষ্টদের এখনই কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। অসাধুদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এতে ভোক্তার উপকার হবে।

সূত্র জানায়, পণ্যমূল্য তদারকি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শহরে ৩২টি মোবাইল টিম রয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩৭টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা মাঠপর্যায়ে তদারকি করে। কিন্তু জনবলের অভাবে সব বাজারে সব সময় তদারকি করা সম্ভব হয় না। ফলে অনেকেই বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করে।

এ প্রসঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট ও বিভিন্ন সংস্থার আইনের আওতায় তদারকি করা হয়। এর বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ সংস্থাগুলোর হাতে নেই। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি জরিপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি হলে পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, আমদানি ইত্যাদি তথ্য বিশ্লেষণ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। পরে এক ঘণ্টা পর পর বাকি ৪টি জামাত হবে। শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে এগারোটায়।

রোববার (৭ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

প্রথম জামাত : সকাল ৭টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত : সকাল ৮টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান ।

তৃতীয় জামাত : সকাল ৯টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত : সকাল ১০টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী, মুফাসসির। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত : সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুরের মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মুকাররম মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

এই ৫টি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশননের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




মাথাপিছু ঋণ বেড়ে দেড় লাখ টাকা: সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত তিন বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, তিন বছর আগে মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, ফলে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য; মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, আশির দশকে অনেক আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকান দেশ স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছিল। সম্প্রতি এর বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে এ দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঋণের বড় বাধা এখন ঋণগুলোর শর্ত এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন।

আমরা যদি আশির দশকে ওপেকের সময় ঋণের সংকটের দিকে তাকাই, সেখানে দুটি পরিস্থিতি ছিল। একটি, লাতিন আমেরিকায় খুব বেশি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়া। তারা বিপদে পড়েছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণে, সেগুলো তাদের খুব সস্তায় দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা একসময় গিয়ে ঋণসংকটে পড়েছিল। একই ঘটনা শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকটের। শ্রীলঙ্কার অনেক ঋণ স্বল্পমেয়াদি। শ্রীলঙ্কার একই সময় অনেক আফ্রিকান দেশেও একই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’

ড. রেহমান সোবহান বলেন, একইভাবে বাংলাদেশও স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে সংকটের পথেই আছে। এটা খুবই উল্লেখ করার মতো, এ ধরনের ঋণ এখন বাড়ছে। যেহেতু আমাদের রপ্তানি আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো, তাই এ জায়গায় তেমন সংকট নেই।’

মূল প্রবন্ধে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমাদের বিদেশি ঋণ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। আমরা এখন যদি সতর্ক না হই, তাহলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সরকার যে সতর্ক তা আইএমএফের কাছে ৪.৭ বিলিয়নের জন্য যে গেল সেটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’

প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, বিদেশি ঋণ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, ১৯৮০ সালের দিকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ধরনের বড় সমস্যায় পড়েছিল। সাম্প্রতিক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া গ্রিস বড় উদাহরণ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও ঘানার মতো দেশের উদাহরণ তো আছেই।’

আন্তর্জাতিকভাবে এ প্রভাব পড়ার বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, বিশ্বে মালামাল ও সেবার চাহিদা কমে যাওয়া। দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কারণ—ঋণ ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল, অনেক দেশ অদূরদর্শী ঋণ নিয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন শর্তে ঋণ নেওয়া হয়েছে, মুদ্রার ওঠানামাও অনেক দেশে হয়েছে। এসব কারণ অভ্যন্তরীণ।’

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ও বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই এ কারণে তা উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ঋণের চাপে অনেকে আছে, অনেকে খেলাপি হয়েছে।

উন্নয়নশীল এসব দেশের সরকারি ঋণ ২০১০ সালে জিডিপির তুলনায় ৩৫ শতাংশ ছিল, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এর মধ্যে একই সময় দেশগুলোর বিদেশি ঋণ ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। এসব বিদেশি ঋণের মধ্যে ব্যক্তি খাতের ঋণও একইভাবে বেড়েছে। একই সময় ব্যক্তি খাতের ঋণ ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

বিশ্বব্যাংকের গবেষণার একটি অংশ তুলে ধরে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১০৯ শতাংশ, যেটি দেশগুলোর জিডিপির ৩৩ শতাংশ। পাবলিক অ্যান্ড পাবলিকলি গ্যারান্টেড (পিপিজি) ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আইএমএফের সতর্কবাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ এসব দেশকে সতর্ক করে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছে। আমরা কি আরেকটি ঋণ সংকটের দিকে যাচ্ছি?

তার মতে, বাংলাদেশের ঋণ ও পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে, যা সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা পাকলিক ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮.৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানিয়েছে, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরো কঠোর হচ্ছে।

বিশেষ করে জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতা দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এর সঙ্গে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেগাপ্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থপাচারের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বড় আকারের অনেক প্রকল্পই অতিমূল্যায়িত করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। আবার প্রকল্পের ভেতরে বাস্তবায়ন পর্যায়ে কোনো না কোনো স্বার্থগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অন্যান্য দেশে জনগণের প্রাথমিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে জনসাধারণের টাকা লুটের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠেছে। বিদেশি ঋণ নেওয়া প্রকল্পগুলোর মাধ্যমেও ব্যক্তি খাতে পুঁজি গড়ে উঠেছে। এটা বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের জন্যই প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুঁজি সঞ্চয়কারী অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক নেতারা যে আশায় এই প্রকল্পগুলো নিয়েছিলেন, সেটায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে সরকারের দায় বৃদ্ধির প্রবণতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১০ ডলার। আর অভ্যন্তরীণ উৎসর ঋণ মিলে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫০ ডলারে। স্বাধীনতার এত বছর পরে সরকারের মাথাপিছু ঋণ এক লাখ টাকায় উঠেছিল অথচ তা পরের তিন বছরেই দেড়গুণ হয়ে গেছে।

কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে ঋণ বেড়েছে বলে অনেকে দাবি করলেও প্রকৃত কারণ ভিন্ন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। ঋণ পরিশোধের চাপের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালেও সরকারের আদায় হওয়া রাজস্বের ২৬ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হতো। অথচ এই হার এখন ৩৪ শতাংশে উঠেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ ঋণ যাচ্ছে ২৮ শতাংশ আর বিদেশি ঋণ সাড়ে ৫ শতাংশ।

বিদেশি ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে অনেকেই দাবি করলেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মোডি বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস হিসেবে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমছে বলে দাবি করেন ড. দেবপ্রিয়। সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতাসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ফলাফলের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ ঋণে নেওয়া মেগাপ্রকল্প প্রকৃত সুফল দিতে পারছে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, বিনিয়োগ না বাড়লে প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩.৪ থেকে ২৩.৮ শতাংশে আটকে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। গত দেড় দশকের সাফল্য কেন বিনিয়োগে প্রতিফলিত হয়নি? এফডিআই কেন জিডিপির ১ শতাংশে আটকে আছে? প্রশ্ন রেখে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ২০২৩ সালের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে সরকারের হিসেবেই কমেছে। এ ছাড়া শিক্ষা, ট্রেনিং বা কর্মে নেই এমন মানুষের হার বেড়েছে, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঋণ করে চলে।

বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, শিক্ষায় গত ১৫ বছরে কোনোভাবেই জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং স্বাস্থ্যে ১ শতাংশের বেশি বরাদ্দ হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবহেলার প্রতিফলন এই এসভিআরএস প্রতিবেদনেও এসেছে বলে তিনি জানান। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যথাযথ কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য তিন মাস পর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কেবিনেটের সাব কমিটি ক্রয় কমিটিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ফের স্বর্ণের দামে রেকর্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কমানোর দুই দিনের মাথায় ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক লাফে ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  যা এর আগে ছিল এক লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৩ টাকা।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দেশের বাজারে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, গবেষণায় সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জন্মহার এতোটাই কমে যাবে যে দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বড় এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে গত সোমবার এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টি দেশের জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হবে। আর সেসময বেশিরভাগ শিশু জন্মের ঘটনা দরিদ্র দেশগুলোতেই দেখা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে বিশ্বে জন্ম নেওয়া প্রতি দুই শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর সেসময় কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া এবং তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির ধারা) বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

আইএইচএমই-এর সহ-প্রধান লেখক এবং প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী নাটালিয়া ভি ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রাপ্ত ফলাফলের অর্থগুলো অপরিসীম। জন্মহার এবং জীবিত জন্মের এই ভবিষ্যৎ প্রবণতাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করবে এবং সমাজগুলোকেও পুনর্গঠন করতে হবে।’

গবেষণার লেখকরা বলেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সেসময় দেশগুলোকে বেবি বুম’ এবং বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়াই করবে।

গবেষণার সহ-প্রধান লেখক এবং আইএইচএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অস্টিন ই শুমাখার বলেছেন, সর্বোচ্চ জন্মহারের কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা।’

তিনি আরও বলেন, জন্মের সংখ্যার এই বিশাল পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস অব্যাহত রাখা, পরিবার পরিকল্পনা এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি প্রতিটি সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য এবং ১৯৫০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডির অংশ হিসাবে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দশক-ব্যাপী হওয়া এই গবেষণায় বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন।


আরও খবর



চাকরি দিতে ইবি উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ প্রস্তাব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চাকরি দিলে ১০ লাখ টাকা দেবেনএমন মেসেজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন এক নারী।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেসেজটি আসে উপাচার্যের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আজ দুপুরে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান।

জিডিতে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরিপ্রদানের অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ দেন এক নারী। উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে অনুরোধও করেন ওই নারী। উপাচার্য কথা বলতে না চাইলে মেসেজ পাঠান। ওই মেসেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে উপাচার্যের মানহানি হবে। এমন অবস্থায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার অনুরোধ করা হয়।

উপাচার্যকে পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশটে লেখা ছিল, স্যার, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন। এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না। আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই। প্লিজ স্যার, চাকরিটা খুব দরকার।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারী বলেন, এরকম মেসেজ আমি দেইনি। আমার আইডিটা হয়তো হ্যাক হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। আমাদের এত টাকা নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটা কুচক্রী মহলের কাজ। এখানে একটা গ্রুপ আছে। এসব করে আমাদের ট্রাপে ফালাইতে চায়। আপাতত থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখবে।


আরও খবর