আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিনহা হত্যা: ৬ষ্ঠ দফায় শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার চলমান বিচারকার্যের ৬ষ্ঠ দফার শেষদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ্কে দিয়ে শেষ দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। তিনি আসামি রাজিব হোসেন এর ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন।

তিনি ছাড়াও আসামি আবদুল্লাহ আল মামুন, এসআই শাহজাহন আলী, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীর জবানবন্দি রেকর্ডকারি অপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেন শামীমসহ ৬জন সাক্ষীর হাজিরা দিয়েছে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। গত ২৫ অক্টোবর ৬ষ্ঠ দফার তিনদিনের সাক্ষীর কার্যক্রম শুরু হয়। গত দু'দিনে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগে ওসি প্রদীপ কুমারসহ ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, মামলায় মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মাঝে পঞ্চম দফায় ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ৬ষ্ট দফার তিনদিনের প্রথম দুদিনে ২২ জনসহ সাক্ষ্য শেষ হয় ৫৭ জনের। শেষদিনে গুরুত্বপূর্ণ ৬জনের হাজিরা দেয়া হয়েছে। সবার সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হলে ৬৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া সম্পন্ন হবে।

পিপি বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি দ্রুত সম্পন্ন করতে আমাদের প্রচেষ্টা থাকলেও আসামি পক্ষ সবসময় তাতে ব্যাঘাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবার সহযোগিতা পেলে মামলার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন পিপি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে পুলিশের ৯ সদস্যরা হলেন, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

অপর আসামিরা হলেন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। আসামিদের ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

গত ২৭ জুন ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলাটির বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় টানা তিনদিনে মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছিল। এরপর ৬ষ্ট দফায় সাক্ষ্য চলছে।



আরও খবর



‘নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী’

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আয়োজিত 'জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলন' এর উদ্বোধনী  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাগেরহাট জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি শরীফা খানমের সভাপতিত্বে খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সদস্য জেসমিন আক্তার রিভা এবং হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, আরমা দত্ত, নাছিমা জামান ববি এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঝালকাঠির উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান সোনালী।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর আইনগত মডেল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে যেন ডিজিটাল সুযোগ প্রাপ্তিতে কোন ধরনের বৈষম্য তৈরি না হয়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এ দেশে নারী ভোটারের সংখ্যাও বেশি। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে যা ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

স্পিকার বলেন, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ৯ হাজার নারীর একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এক সঙ্গে কাজ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রেখে এই নেটওয়ার্ককে এগিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নেটওয়ার্ক নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে- যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

এ সময় ১৬ জেলার ১৬ জন নারীকে অগ্রগামী অপরাজিতা হিসেবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের পথিকৃৎ অপরাজিতা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনে দেশের ১৬টি জেলার ৩০০ জন অপরাজিতা, বিশিষ্ট নারী নেতৃবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বগুড়ায় বহুতল মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়া শহরের বহুতল বাণিজ্যিক বিপণিবিতান মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের সাতমাথার কাছে এম এ খান লেনে অবস্থিত ভবনটির ছয়তলায় এ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



রুমার পর এবার থানচিতে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ভল্ট থেকে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুটের পর এবার থানচি সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে থানচি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাহাড়ের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দুপুর ১টার দিকে এসে থানচি বাজারের সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করে। বিষয়টি নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের নজরে এলে তারা প্রতিহতে এগিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বান্দারবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান আল কাদেরি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন>> এখনো উদ্ধার করা যায়নি সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে

তিনি বলেন, একদল অস্ত্রধারী হামলা চালিয়েছে। তবে এটা ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা কিনা সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ও নিরাপত্তায় থাকা ১০ পুলিশ সদস্য ও ৪ আনসার সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে সবাইকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তারা সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকাসহ ডিউটি পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসার বাহিনীর ৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা চলে যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল জানান, কেএনএফের শতাধিক সদস্য এসে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে ব্যাংক লুট করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট করে। এসময় সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।


আরও খবর



টানা তিন দিন ধরে বায়ুদূষণে শীর্ষ দশের বাইরে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রোববার রাজধানী ঢাকাকে শীর্ষ ১০-এর বাইরে দেখা গেছে।

বেশিরভাগ সময় দূষণে শীর্ষে থাকা এই শহরের সকাল সোয়া ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৬। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য বলে নির্দেশ করে। অবস্থানের দিক দিয়ে ১৬ নম্বরে।

গত শুক্রবার ও শনিবার সকালেও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দশের বাইরে ছিল ঢাকা।

এদিকে দূষিত শহরের তালিকায় ১৬৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে চীনের বেইজিং। ভারতের দিল্লি ১৬৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং নেপালের কাঠমান্ডু ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর