মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ভূমি দখলের অভিযোগ এনে শেফালী বেগম নামে এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বাহেরঘাটা গ্রামবাসীর আয়োজনে মঙ্গলবার উপজেলার বয়রাগাদি ইউনিয়নের বাহেরঘাটা-ছোটপাউলদিয়া সড়কে ভুক্তভোগীসহ সহস্রাধিক গ্রামবাসী ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় মানববন্ধনে বয়রাগাদি ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী সদস্য শেফালী বেগম এবং তার লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করলে বিশৃঙ্খলাও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী মুরাদ হোসেন রেন্টু, সেলিম হাওলাদার, জাকির হোসেন, খন্দকার এমদাদুল আলম, জয়নাল মাঝি তারা জানান, বাহেরঘাটা মৌজার আর এস ৩১০, ৩১৩, ৩১৭, ৩১৮, ৩২০, ৩২৫, ৩৩৭, ৩০৯, ৩০৮, ৩১৪ ও ৩০৮ দাগের প্রায় এক একর জমি রাতের আঁধারে জোরপূর্বক ভাবে শেফালী বেগম মেম্বার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে। দখলকৃত জায়গায় টিনের ঘর ও জমিতে ফুটবল খেলার বার পোস্ট স্থাপণ করে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভূমি দস্যু শেফালী বেগম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে স্বার্থ হাসিলের জন্য এলাকার নিরীহ সহজ-সরল মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষের জায়গা জমি দখল করে আসছে। এলাকার লোকদের জিম্মি করে রেখেছেন তিনি। কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নারী নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে। অভিযুক্ত ইউপি নারী সদস্যকে অপসারণ ও সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বয়রাগাদি ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী সদস্য শেফালী বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ভূমি রেকর্ড সূত্রে জমির মালিক হয়ে নামজারিও করেছি। রেন্টু গংদের একাধিকবার পরিষদে ডেকেছিলাম বিষয়টি নিয়ে বসার জন্য। কিন্তু তারা না বসে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। এটা মোটেও ঠিক না।
বয়রাগাদি ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, এ বিষয়ে আমরা একাধিক বার দুই পক্ষকে নিয়ে পরিষদে বসেছি, এক পক্ষ মীমাংসা না করে আদালতে মামলা করেছে। আদালতে মামলা চলার কারণে এ বিষয়ে মীমাংসা করার কোন সুযোগ নেই। তবে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা অবনতি যাতে না হয় সেই লক্ষ্যে দুই পক্ষকে বলে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।