সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে মৌসুমি ফল জলপাইয়ের হাট। প্রতিবছর মৌসুমের তিন মাস প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই হাট। জলপাইয়ের মৌসুম আসলে প্রতি হাটেই দূরদূরান্ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসে জলপাই সংগ্রহ করতে। আর এই জলপাই সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন পাইকাররা। এদিকে এই জলপাইয়ের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাগবাটিতে প্রতিবছরের মতো এবারও ব্যাপক ভাবে জলপাই চাষাবাদ হয়েছে। আর জলপাইকে ঘিরেই প্রতিদিন বসে এই ফলের হাট। মৌসুম শুরুর আগেই এলাকার বাগান মালিকদের অগ্রিম টাকা দিয়ে বাগান কিনে রাখেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। পরে বাগান থেকে জলপাই সংগ্রহ করে বিক্রি করেন তারা। প্রতিকেজি জলপাই বিক্রি করেন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে। আর প্রতি হাটে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার জলপাই কেনাবেচা হয়।
স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন এখান থেকে জলপাই সংগ্রহ করে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই জলপাই বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় জলপাইয়ের আমদানি কম।
পাইকাররা জানান, হারিয়ে যাওয়া ফলগুলোকে ধরে রাখতে ও জলপাইয়ের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আনোয়ার সাদাত বলেন, এ বছর শুধু মাত্র সদর উপজেলাতে ৩১ হেক্টর জমিতে জলপাই চাষবাদ হয়েছে যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৯১০ মেট্রিকটন।