এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন বিরাট কোহলি। গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ, সুপার এইটের ৩ ম্যাচ ও সেমিফাইনাল খেলেও ফিফটির দেখা পাননি তিনি। তবে ফাইনালে হাসল ‘কিং কোহলি’র ব্যাট। ধীরগতির হলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হাল ধরে ফাইনাল ম্যাচে খেললেন ৭৬ রানের ইনিংস। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের বড় পুঁজি পেল ভারত। প্রথমবারের মতো শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে আজ টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে আগের ম্যাচগুলোতে রানের ফুলঝুরি ছোটালেও ফাইনালে ব্যর্থ রোহিত। রান পাননি তিনে নামা ঋশাভ পান্ত ও চারে নামা সূর্যকুমার যাদবও। ৩৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন অফফর্মে থাকা কোহলি। চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৫৪ বলে গড়েন ৭২ রানের জুটি।
এদিন ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন অক্ষর। তবে ভারতের সেমিফাইনালের নায়ক আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। নন-স্ট্রাইকে থেকে রান নিতে গিয়েও ফিরতে পারেননি। উইকেটের পেছন থেকে কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত এক থ্রোতে বিদায় নেন অক্ষর। ততক্ষণে ৩১ বলে ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেলেছেন তিনি।
অক্ষরের বিদায়ের পর শিভাম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন কোহলি। নিজের ফিফটি তুলতে ব্যয় করেন ৪৮ বল। ফিফটির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবারের বিশ্বকাপে পজিশন বদলে ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরার আগে করেন ৭৬ রান। ৫৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ২ ছক্কায়।
ছয়ে নামা শিভাম ১৬ বলে ২৭ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। আরেক পাশে হার্দিক পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে, খেলেছেন ২ বল। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রানে থামে ‘মেন ইন ব্লু’রা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন নিজের প্রথম ওভারেই রোহিত ও পান্তকে ফেরান স্পিনার কেশাভ মহারাজ। ৩ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল তিনিই। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে রান খরচায় ১ উইকেট নেন এনরিখ নোর্কিয়া। একটি করে উইকেট নেন মার্কো জেনসেন ও কাগিসো রাবাদা।