
রাজধানীর কদমতলীর
শ্যামপুর এলাকায় সাত বছরের শিশু আব্দুল্লাহ হত্যা মামলায় আসামির মধ্যে মো. হানিফকে
আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অপর আসামি জাহিদ হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় ঘোষণা
করেন।
এই মামলার আসামিরা
পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জারি করেছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী
অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। যেহেতু
মামলার ১ নম্বর আসামি হানিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ
সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম। প্রত্যাশিত রায় পাইনি, তাই আমরা উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে
আপিল করব।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায়
আব্দুল্লাহর মা আয়েশা আক্তার বলেন, আমার সাত বছরের ছেলে আব্দুল্লাহকে পাথর দিয়ে আঘাত
করে নির্মম হত্যা করে হানিফ ও জাহিদ। আমি ছয় বছর ধরে আদালতে ঘুরেছি ছেলে হত্যার বিচারের
আশায়। তারা এই মামলায় জামিন পেয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে অনেক ভয়ভীতি দেখিয়েছে। শেষমেশ
টাকার বিনিময়ে আপোস করতে চেয়েছে। আমি আপোস করিনি। এ রায়ে আমি মোটামুটি খুশি। যেহেতু
আসামিরা বাইরে তাই আমি আমার পরিবার নিয়ে শঙ্কায় আছি। তারা যেকোনো সময় আমাদের ক্ষতি
করতে পারে। তাই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
মামলার অভিযোগে
বলা হয়, ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিরা সাত বছর বয়সী আব্দুল্লাহকে কদমতলী থানাধীন
উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর পশ্চিম পাশের বাউন্ডারী ওয়ালের ভেতরে পতিত জায়গায় নিয়ে যান।
সেখানে পাথর দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর পাথর দিয়েই চাপা দিয়ে ফেলে
রেখে যায়। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় আব্দুল্লাহর বাবা গোলাম মোস্তফা মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ১৭
জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক এরশাদ হোসেন হানিফ ও জাহিদ হোসেন
নামে দুজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে
অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালীন আদালত বিভিন্ন সময়ে ১২
জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।