বাংলাদেশে যে শিশু পর্নোগ্রাফি বা তাদের যৌন নিপীড়নসংক্রান্ত কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, এটা তো বিভিন্ন ওয়েবসাইটেই দেখা যায়। কিন্তু এগুলোর ওপর যথাযথ নজরদারি নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
শিশুদের দিয়ে যৌনদৃশ্য ধারণ
(শিশু পর্নোগ্রাফি) এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে বাংলাদেশের কারা জড়িত, সে
বিষয়ে পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধ,
শিশু পর্নোগ্রাফি নির্মূলসহ শিশুদের অধিকারসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠান যেমন ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট তাদের নেটওয়ার্কে
শিশুদের যৌনকাজে ব্যবহার, যৌন নিপীড়নসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য এনসিএমইসিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে
জানায়।
এনসিএমইসির তথ্য অনুযায়ী,
বাংলাদেশের আইপি অ্যাড্রেস (ইন্টারনেট প্রোটোকল-আইপি— কম্পিউটার বা মুঠোফোনের
মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে হলে যে পরিচিতি নম্বর বা ঠিকানা লাগে) ব্যবহার করে
চাইল্ড পর্নোগ্রাফি আদান–প্রদান হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এর মধ্যে
বাংলাদেশ থেকেই শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি করার পর কতটি আদান–প্রদান হয়েছে, সে তথ্য অবশ্য
ওয়েবসাইটে উল্লেখ নেই।
বাংলাদেশে যে শিশু পর্নোগ্রাফি
বা তাদের যৌন নিপীড়নসংক্রান্ত কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, এটা তো বিভিন্ন ওয়েবসাইটেই দেখা
যায়। কিন্তু এগুলোর ওপর যথাযথ নজরদারি নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
এনসিএমইসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে শিশু পর্নোগ্রাফি, শিশুদের যৌন নিপীড়নসংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং আদান–প্রদানের সর্বোচ্চ ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩০টি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানে ঘটেছে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯০টি, তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইরাকে ঘটেছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৮০৯টি, চতুর্থ অবস্থানে থাকা আলজেরিয়ায় ঘটেছে সাত লাখ ৫৩৫টি এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে ঘটেছে পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪২টি।
ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা
বিশেষজ্ঞ (চাইল্ড প্রটেকশন স্পেশালিস্ট) শাবনাজ জাহেরিন বলেন, বাংলাদেশে যে শিশু পর্নোগ্রাফি
বা তাদের যৌন নিপীড়নসংক্রান্ত কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, এটা তো বিভিন্ন ওয়েবসাইটেই দেখা
যায়। কিন্তু এগুলোর ওপর যথাযথ নজরদারি নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বিষয়গুলো
তদন্তের সক্ষমতাও সেভাবে এখনো হয়নি। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুরো বিষয়টি সরকারের
কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা দরকার।