আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শিশুদের কিডনি রোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডা. আবু সাঈদ শিমুল

শিশুদের কিডনির সমস্যা হলে সেই শিশুর তো ক্ষতি হয়ই, সঙ্গে সঙ্গে পুরো পরিবারেই নেমে আসে উদ্বেগ আর হতাশা। সবচেয়ে উদ্বেগের কথা হলো, শিশুদের মধ্যে কিডনি রোগ দিন দিন বাড়ছেই। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয়ের ফলে অনেক বাচ্চাই এমন সময় চিকিৎসকের কাছে যায়, যখন আর করার কিছু থাকে না। শিশুদের কিডনি রোগের একটা অংশ জন্মগত। এসব ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় মায়েদের সচেতন হতে হবে। আবার জন্মের পরও বিভিন্ন রোগে কিডনি বিকল হতে পারে। এই ক্ষেত্রেও সামান্য সাবধান হলে শত শত শিশুকে বাঁচানো সম্ভব।

শিশুদের কিডনি রোগের কারণ: বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির কারণ রয়েছে। যেমন: একিউট কিডনি ইনজুরি বা হঠাৎ কিডনি বিকল। সাধারণত বাংলাদেশে যেই কারণে এই কিডনি ইনজুরি হয় সেগুলো হলো ডায়রিয়া, বমি, অপরিচ্ছন্নতা, মা শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ানো। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, হারবাল ওষুধ চিকিৎসকের চিকিৎসাপত্র ছাড়া ব্যবহার করা। অনেক সময় বিনা কারণে এক্স-রে করলে এক্স-রের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের জন্য কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত হলো ডায়রিয়া ও বমি। এর কারণেও কিডনি বিকল হতে পারে। শিশু যদি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডিতে আক্রান্ত হয়, কিডনি পুরোপুরি অক্ষম হয়, ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়, তবে চিন্তার কিছু নেই। দেশেই এখন কিডনি রোগের সুচিকিৎসা সম্ভব। এ ছাড়া নিয়মিত ফলোআপ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।

শিশুর কিডনি রোগের লক্ষণ: ঘন ঘন প্রস্রাব করা, প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব করা, বিছানায় প্রস্রাব করা (৬ বছরের অধিক বয়সে), প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের সময় তলপেট/কোমর ব্যথা করা, শরীরে পানি আসা/ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, কিডনিতে পানি জমা হওয়া, কিডনি ছোট-বড় হওয়া, উচ্চরক্তচাপ দেখা দেয়া, কিডনিতে জন্মগত ত্রুটি থাকা।  এসব লক্ষণ দেখা গেলে, পরিবারের কারও কিডনি রোগ থাকলে, শিশু সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করলে, জন্মের পর শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে দেরি না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

রোগ নির্ণয়: শিশুদের কিডনি রোগ শনাক্ত এবং যথাযথ চিকিৎসার জন্য একজন দক্ষ শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বা পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ প্রয়োজন। অভিজ্ঞ পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজিস্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রক্ত, প্রস্রাব এবং আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।

চিকিৎসা: কিডনি রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে তা কোন পর্যায়ে আছে বা কী কারণে হয়েছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে দ্রুত রোগ নির্ণয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জন্মগত কিডনি রোগের চিকিৎসায় কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হয়। তবে এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশুই বারবার প্রস্রাবের সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। তাই তাদের ক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়।

ডায়রিয়াজনিত কারণে কিডনি সমস্যা হলে, প্রয়োজনমতো পানিশূন্যতা এবং রক্তের লবণের তারতম্য ঠিক করা হয়। ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ওষুধের সাহায্যে এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তবে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়লে ডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন হয়।

শিশুর জ্বর, ডায়রিয়া ও কিডনি রোগ: জ্বর হলে শিশুরা খেতে চায় না । এ সময় তারা বুকের দুধ, পানি কিংবা তরলও কম খায় । এ বিষয়টিকে অনেক মা-বাবা গুরুত্ব দেন না। এর ফলে তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো বা একিউট কিডনি ইনজুরি হয়ে যেতে পারে। তাই শিশুর যেকোনো অসুস্থতায় প্রচুর তরল খাওয়াতে হবে। পানি বা বুকের দুধ খাওয়াতে পারলে খুব ভালো হয়, কিন্তু তা খাওয়ানো না গেলে ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের বাসায় তৈরি জুস, শরবত ইত্যাদি খাওয়াতে উচিত। ডায়রিয়ায় সঠিকভাবে স্যালাইন বানাতে হবে। আধা লিটার পানিতে এক প্যাকেট ওরস্যালাইন- এটাই হলো খাওয়ার স্যালাইন বানানোর একমাত্র পদ্ধতি। শিশুর বয়স কম কিংবা অন্য যুক্তিতে স্যালাইন বা পানির পরিমাণ কমবেশি করা যাবে না।

শিশুদের কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়: শিশুদের কৃত্রিম জুস ও প্রিজারভেটিভ মিশ্রিত ও টিনজাত খাবার দেয়া যাবে না। কারণ এতে কিডনি বিকল হতে পারে।

আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়েট্রিকসের গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো শিশু তিন বছর বয়সের পর যখনই ডাক্তারের কাছে যাবে, তখনই প্রেশার মাপাবে। শিশুদের প্রেশার বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ কিন্তু উচ্চরক্তচাপ। তাই শিশুদের প্রেশার বা রক্তচাপ বেশি হলেই কিডনি সুস্থ আছে কি না পরীক্ষা করে তা দেখতে হবে। শিশুর প্রস্রাবের সঙ্গে ব্যথাযুক্ত বা ব্যথাহীনভাবে রক্ত গেলে কিংবা এলবুমিন নামক প্রোটিন গেলে সঙ্গে সঙ্গে শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে। মাতৃগর্ভে থাকার সময় মায়ের যে আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়, তা দিয়েই প্রাথমিকভাবে শিশুর কিডনির জন্মগত রোগ আছে কি না, তা দেখা যায়। তাই আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার সময় চিকিৎসককে শিশুর কিডনি পরীক্ষার কথাও জানান। এ জন্য জন্মগত ত্রুটি নির্ণয় করতে পারে এমন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ দিয়েই পরীক্ষা করানো উচিত। শিশুর জন্মের পরেই লক্ষ করুন, ছেলেশিশুর পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিক আছে কি না, শিশুর মূত্রনালির বহির্মুখটি সঠিক স্থলে আছে কি না, ছেলেশিশুদের ক্ষেত্রে তার অণ্ডকোষ দুটি স্বাভাবিক অবস্থানে আছে কি না ইত্যাদি। না থাকলে বা কোনো সন্দেহ হলে অবশ্যই ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করান।

শিশু যাতে পর্যাপ্ত পানি পান করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন। যেমন- স্কুলে টিফিনের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ পানি দিন। কোথাও বেড়াতে গেলে সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি রাখুন। এ ছাড়া যেকোনো জ্বর কিংবা ডায়রিয়ায় শিশু যেন পর্যাপ্ত পানি খায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।  শিশুদের শরীরে খোসপাঁচড়া ও গলাব্যথা হলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া উচিত। কারণ এ দুটি রোগ থেকে কিডনি অকার্যকর হতে পারে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে নিরাময় ও জটিলতা প্রতিরোধ সম্ভব। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা। শিশুর প্রস্রাব কমে গেলে বা শরীর ফুলে গেলে দ্রুত শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।

ওপরের নিয়মগুলো মেনে চললে এবং সময়মতো চিকিৎসকের কাছে গেলে কিডনি রোগ থেকে আমাদের শিশুরা অনেকটা রক্ষা পাবে।

লেখক: শিশু বিশেষজ্ঞ, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল


আরও খবর



চতুর্থ ধাপের উপজেলা ভোটের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের তফসিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) হতে পারে।

এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভা শেষে এই ঘোষণা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় এই কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, সভার আলোচ্যসূচিতে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিলের বিষয়টি রাখা হয়েছে। বৈঠকে কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে, আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার নির্বাচন আগামী ২৯ মে হবে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান রেখে নতুন বিধিমালা করেছে ইসি। সেই অনুযায়ী প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২২ এপ্রিল।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহ: আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ সোমবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে আবহাওয়া অফিস গত ৩ এপ্রিল হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের তুলনায় দীর্ঘায়িত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা থাকায় এই হিট অ্যালার্ট আরও বাড়ানো হয়েছে।

আজ সোমবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অঞ্চলভেদে সামান্য হ্রাস-বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর
ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৭ এপ্রিল) ভোরের এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ইরানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা করছে ইসরায়েল।

লেবাননের পূর্বে বালবেক অঞ্চলে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় বেকা উপত্যকার দু’টি এলাকা, জান্তা এবং সিফ্রি লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।’

জান্তা সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি শুষ্ক, পার্বত্য অঞ্চল এবং সিফ্রি বেকা উপত্যকার কেন্দ্রে রয়েছে। লেবাননের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, রবিবার ভোরে ইসরায়েল পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির দু’টি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। লেবাননে একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরে গাজা যুদ্ধের শুরু থকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় করেছে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে, ইসরায়েল লেবাননের ভূখণ্ডের গভীরে গিয়ে ইসলামি গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।

শনিবার সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহ লেবাননের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৪৫০ ড্রোন ভূপাতিত করার ঘোষণা দেওয়ার পরে পূর্ব লেবাননে সর্বশেষ এই হামলা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে লেবানিজ আকাশসীমায় পরিচালিত একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল’। এটি ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়। এটি লেবানন ভূখণ্ডে পতিত হয়।

শুক্রবার একটি টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, তার আন্দোলন এখনও তার প্রধান’ অস্ত্র ব্যবহার করেনি এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, গাজার যুদ্ধ শেষ হলেই হিজবুল্লাহ তাদের আক্রমণ বন্ধ করবে।

এএফপির তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধে লেবাননে কমপক্ষে ৩৪৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, তবে কমপক্ষে ৬৮ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

যুদ্ধ দক্ষিণ লেবানন এবং উত্তর ইসরায়েলে কয়েক হাজার লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের ১০ সৈন্য এবং আটজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।


আরও খবর



যেভাবে মুক্তিপণের অর্থ পেল সোমালিয়ার জলদস্যুরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশে সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন। এরপরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ২৩ নাবিককেই অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেয়েছি।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

এদিকে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিন্টু রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় জিম্মি অবস্থার অবসান বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) নাবিক মুক্ত হবার সময় জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের নিরাপদ রেখেছে। আমার ধারণা, নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতও  সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর