আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন মঙ্গলবার। সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দুইজনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করতে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা-এই দুয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে  দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে  দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা/মহানগর/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়নে মিলাদ ও দোয়া এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এদিকে বিকেলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সজীব ওয়াজেদ জয়র শুভ জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও তাঁর সু-স্বাস্থ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন করেছে।



আরও খবর



যুথির জামিন শুনতে বিব্রতবোধ: নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর আগাম জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতির দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই আগাম জামিন শুনানির জন্য এরই মধ্যে নথি পৌছে দেয়া হয়েছে। এর আগে (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি সাহেদ নুরুদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য গেলে বিব্রত বোধ করেন ওই বেঞ্চ। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু বলেন, আগাম জামিন আবেদন গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। একজন জামিন শুনানিতে বিব্রতবোধ করায় আবেদনপত্র ফেরত দেয়া হয়েছে। আমরা চারজনের জামিন আবেদন করেছিলাম।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির অভিযোগে করা মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও অন্যান্যরা। তিনি ছাড়া মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথীর আইনজীবী জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথী এক নম্বর আসামি।


আরও খবর



হলমার্কের তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি তানভীর মাহমুদ ও জেসমিন ইসলামকে ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহম্মেদ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগণ গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি আব্দুল মালেক এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান। যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সাবেক জিএম ননী গোপাল নাথ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, ডিএমডি মাইনুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হাসান খান ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মেরীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছিলেন। তবে ওইদিন রায় থেকে মামলাটি উত্তোলন করে আরও দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে গত ১২ মার্চ আদালত দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস নামে ভুয়া কোম্পানির হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাৎ মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান মামলার তদন্তকাজ শেষ করেন বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তৎকালীন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।


আরও খবর



জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে তামিমের দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। বেশ কয়েকমাস ধরে তার ফেরার বিষয়ে কাজ করছিল বিসিবি। এবার জানা গেল, শিগগিরই জাতীয় দলে ফেরা হবে না বাঁহাতি এই ওপেনারের।

গেল বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালে হুট করেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন তামিম। সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন এই ওপেনার।

কিন্তু ভারত বিশ্বকাপের আগে আবারো দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত দলের বাইরে রয়েছেন তিনি।

রোববার (১০ মার্চ) তামিম ইকবালের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের। সেখানে বোর্ডের পক্ষ থেকে দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও এনায়েত হোসেন সিরাজ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তামিম তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলবেন না। তবে এরপরে ঠিক কবে নাগাদ ফিরবেন, সেটি সম্পর্কে জানা যায়নি।

বিপিএল শেষেই মেরুদণ্ডের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন লন্ডন। শিরোপা উদযাপনটাও হয়নি ঠিকঠাক। দেশে ফিরেই মাঠে নেমেছেন তামিম ইকবাল। খেলছেন ডিপিএলে। এবারের আসরে তিনি খেলছেন প্রাইম ব্যাংকের জার্সিতে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গেলো দুই মৌসুমে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে খেলেছেন মোটে ৬ ম্যাচ। যদিও এই ৬ ম্যাচেই করেছেন ৩ সেঞ্চুরি। আপাতত জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা তামিমকে এবার তাই পুরো মৌসুমই পাবে ঢাকা লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

নিউজ ট্যাগ: তামিম ইকবাল

আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




২৭ বছর ধরে ফাঁকা বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৭ বছর ধরে ফাঁকা পড়ে আছে বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন। বিরোধীদলীয় নেতাদের কেউ বাড়ি বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি, কেউ বা আবার বরাদ্দ চেয়েও পাননি। বাড়িটি পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করতে পারেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে আড়াই একর জমির ওপর বাড়িটির পেছনের অংশে বেশ কয়েকটি আধাপাকা টিনশেড ঘর। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন পানির লাইনের মিস্ত্রী।

এ ছাড়াও সেখানে বসবাস করছেন কয়েকটি সরকারি দপ্তরের মালি, গাড়িচালক ও পাহারাদারদের পরিবার। আরও দুটি টিনশেড ঘরে ১০-১২ জন ব্যাচেলর থাকেন।

মূল ভবনটি বসবাস অনুপেযাগী। দরজা-জানালা ভাঙা। বেশিরভাগ আসবাবপত্র নষ্ট। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বাড়িটি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি দেশের বিরোধী দলের নেতার সরকারি বাসভবন।

১৯৯১ সালে প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বাড়িটিতে ওঠেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে ২০০১ সালে বরাদ্দ পেয়েও তিনি ওঠেননি। আর ১৯৯৬ সালে বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি খালেদা জিয়া।

তবে ২০১৪ সালে রওশন এরশাদ বাড়িটি বরাদ্দ চেয়েও পাননি। ২০১৮ সালে  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি। সবশেষ জিএম কাদের বরাদ্দ পেলেও বাড়িটিতে ওঠা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, অব্যবহৃত একটা বাড়ি আছে। আমরা গেলে হয়ত সেটা ব্যবহার করব। দেশের স্বার্থে যদি কিছু হয় আমরা সেটার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব ওখান থেকে অফিস মেইনটেইন করার। আবাসিক ছাড়াও ওই বাড়িতে কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে। ওই বাড়িতে আমাদের কাজের কিছু সুবিধা হবে বলে মনে করছি।

তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, বাড়িটি সংস্কার করতে ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হাসান বলেন, বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাড়িটির সংস্কার কাজের জন্য ঠিকাদার দেখা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে তিন থেকে চার মাস লাগতে পারে।

বাড়িটিকে ২০০৯ হেরিটেজ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। যে কারণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে বানানো যাচ্ছে না।


আরও খবর



গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল কলকাতা বিমানবন্দর!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কলকাতা বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক সিআইএসএফ জওয়ান। বৃহস্পতিবার ভোরে বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই জওয়ানকে চিনার পার্ক এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে হঠাৎই গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যান স্থানীয়রা। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিযুক্ত অন্য সিআইএসএফ জওয়ানরাও ঘটনাস্থলে যান। জানা গেছে, গুলি তার গলায় লেগেছে।

তারা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই জওয়ান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে অবশ্য চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কেন ওই জওয়ান আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

আত্মহত্যার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং সিআইএসএফ কর্মকর্তারা পৃথকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আহত জওয়ানের বাড়ি তেলেঙ্গানায়। ইতোমধ্যে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

নিয়মানুযায়ী, কর্তব্যরত অবস্থায় সিআইএসএফ জওয়ানরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। তবে জওয়ানের মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগতজীবনে তিনি হতাশ ছিলেন কিনা, কিংবা অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর