চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিটি রুমে
তালা লাগিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন
একই স্কুলের সাবেক সভাপতি শাহজালাল পাঠান।
বৃষ্পতিবার সকালে
(১০:৪০ মিনিট) এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ
করা সহ স্কুলের প্রতিটি ক্লাস রুম ও মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিচ্ছেন এমন ভিডিও ছড়িয়ে
পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে শাহজালালকে
বলতে দেখা যায় এই স্কুল আর কখনো খুলবেনা এবং অন্য স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা
দিতে বলা হচ্ছে। এসময় তিনি স্কুলের তালা খুললে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
জানা যায়, স্কুলটির
বর্তমান এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠনে অভিযুক্ত
শাহজালাল পাঠানকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনিত না করার সিদ্ধান্ত হয় ।
এমন সিদ্ধান্তে
ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় এস্যাইনমেন্ট জমা দিতে আসা এসএসসি পরিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের
স্কুল থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এসময় সিনিয়র শিক্ষক শাহদাত হোসেন
ও মাহমুদা বেগম সহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার জন্য হুমকি দেন।
এর আগে ইউনিয়ন
ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তার আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক শিরোনামে
তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর তদন্তে সরকারি কোষাগারে অর্থ আত্মসাৎ
ও হিসেব গড়মিলের সত্যতা মিলেছে মর্মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সর্বশেষ উপজেলার
আমিরাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন শাহজালাল পাঠান।
আবারো তিনি স্কুলে
তালা ঝুলিয়ে দেয়ার মত দুঃসাহস দেখিয়ে আলোচনায় আসেন বৃহস্পতিবার।
তবে এমন ঘটনার
কারণ জানতে শাহজালাল পাঠানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে
দেন।
স্থানীয় সূত্রে
জানা গেছে, অভিযুক্ত শাহ জালাল পাঠানের প্রয়াত পিতা হাজী ফজলুল হক মাষ্টার স্কুলের
সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যুর পর গত ৬য় মাস তিনি বিদ্যালয়ের
সভাপতির দায়ীত্ব পালন করে আসছিলেন।
এদিকে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে সভাপতি নির্বাচন
করতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে আহ্বান করা হয়।
গত শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনে শাহ
জালালকে না রাখার মৌখিক সিদ্ধান্ত দেয় এলাকা বাসী।
এরপরই মানসিক
উন্মাদনায় ক্ষেপে গিয়ে এমন কান্ড ঘটিয়ে বসেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম আজকের দর্পণকে জানান, ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের
জানিয়েছি । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে চাঁদপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী আজকের দর্পণকে বলেন , ঘটনাটি এখনো শুনিনি , তবে উপজেলা কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।