আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

সমাবেশ করতে দুই দলকে মানতে হবে একই শর্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই শর্ত মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রাস্তায় কোনো ঝামেলা করা যাবে না, জনদুর্ভোগ করা যাবে না। যদি তারা আইন মেনে সমাবেশ না করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

শুক্রবার বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না, আর যদি থেকে থাকে, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলি রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালন করতে সরকারিভাবে কোনো বাধা নেই। তারা যেন নিয়ম-শৃঙ্খলা ও আইন মেনে চলে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে, সেই আহ্বান রাখব।  তারা কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে যেন লিপ্ত না হয়, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে। সেজন্যই আমি বলেছি রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালন করবে, এখানে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তারা যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কিংবা জানমালের ক্ষতি, ভাঙচুর করে, জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ায়, শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে, তখন আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী যে কাজ বা অর্পিত দায়িত্ব, সেটা তারা পালন করবে। 

আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত ফোর্স থাকলে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেবে ডিএমপি

তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এখন সুদক্ষ, অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে একটা সুন্দর জায়গায় আনার জন্য সবসময় তারা সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছেন। সেজন্য জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় কাজ করছে। আমরা সে কথাটাই স্মরণ করিয়ে দিতে চাইব। তারা যেন জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে, রাস্তায় চলাচল বন্ধ না করে, কোনো রকমের ভাঙচুরে লিপ্ত না হয়। আমরা সেই আহ্বান রাখব আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে। 

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের কোথাও কোনো বাধা নেই। আজ বিএনপি সমাবেশ করতে চেয়েছিল, আমরা বলেছি কোনোক্রমেই রাস্তার মধ্যে সমাবেশ করতে দেব না। তারা সেটা সরিয়ে নিয়ে আগামীকাল করবে বলে জানিয়েছে। সেটাও আমরা বলব রাস্তা পরিহার করে করার জন্য। তারা যেন জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে। যদি জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাজ করবে। যে দলই করবে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবে, এটিই আমাদের মূল কথা। 

আপনি বলেছেন রাস্তায় সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ হয়। তাহলে রাস্তায় সমাবেশ করতে দিচ্ছেন কেন, বন্ধ করছেন না কেন? আজ আওয়ামী লীগের সমাবেশ, কাল বিএনপির সমাবেশ, এভাবে দিলে তো জনদুর্ভোগ হতো না। কেন এই পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এখানে আমার তেমন কিছু বলার নেই। যারা রাজনৈতিক নেতা তাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি তো হোম মিনিস্টার কাজেই আমার কাছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করবেন। আর এই প্রশ্নটা তাদের কাছে জিজ্ঞেস করুন। আমরা যখন পারমিশন দিই, তখন জনদুর্ভোগ যাতে না হয়, সে কথাটা বলে দেই। তাদের কর্তব্যটা কী, তা জানিয়ে দিই। আমরা সব সময় কিছু শর্ত দিয়ে দিই যে, তারা কী করতে পারবে, আর কী করতে পারবে না। তারা যদি সেগুলো পূরণ করতে না পারে, তখন আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। 

আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই আ.লীগের সমাবেশ

দুই দলের প্রোগ্রাম কাছাকাছি হয়ে যাওয়ায় সহিংসতার কোনো শঙ্কা আছে কি না বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা আসবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সবসময় পুলিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করছি, তারা যেন সভা-সমাবেশের জন্য রাস্তাগুলো বর্জন করে। তারপরও তারা যদি করে, তাহলে আমাদের অনুরোধ থাকবে, তারা যেন সহিংসতায় না যায়।

বিএনপি শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের করবে এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, তারাও দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবেন, এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা শুনেছি, এটা নিয়ে বসবো। তারা এটা যদি করে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা কিছু শর্ত দিয়ে দেব। শর্তে বলা থাকবে, তারা কীভাবে সমাবেশ করবে এবং তারা কী করতে পারবে না। দুই দলের জন্য একই নির্দেশনা থাকবে। এখন পর্যন্ত কাউকে অনুমতি দিইনি। আমাদের কমিশনার এখন বসবেন। মেট্রোপলিটনের যে পুলিশ কমিশনার, তিনি এটা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তিনি বসে সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবেন। 

তাহলে কি রাস্তায় ঝামেলা ঘটতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আপনারা জানেন। কারণ আপনাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় প্রস্তুত আছে। যদি ঝামেলা করে তাহলে তাদের ওপর অর্পিত তারা দায়িত্ব পালন করবে।

ডিএমপি কমিশনার গতকাল বলেছেন, রাজপথে কোনো দলকেই সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার বার্তা হলো, রাজপথে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোনো জায়গায় কর্মসূচি পালনের বিষয়ে আমরা সবসময় মানা করে আসছি। এটা আমাদের সবসময় অনুরোধ থাকবে এবং আমরা অনুরোধ করছি। তারপরও কোন দল যদি করে, তারা রিস্ক নিয়ে করবে।

আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয় ঘিরে পুলিশ

কোন দল কোথায় সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি জানি না কারা কোথায় সমাবেশ করছে। আমরা অফিসিয়ালি এখনও বলি মাঠে করতে। মাঠে যদি করতে পারা না যায়, যদি কোনো অসুবিধা থাকে, পরবর্তী সিদ্ধান্তে তারা যেটা করবে, আমরা তা বিবেচনা করব।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।

রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলায় যেসব ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।


আরও খবর



সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর



উদ্ধার হওয়া স্যাটেলাইট লাগানো কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত হবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের চিতলমারীর একটি মৎস্য ঘের থেকে  স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চিতলমারী উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের মোঃ হাসান শেখের মৎস্য ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।

ট্রাকে করে কুমির খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও)র কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়ছেন ডিএফও নির্মল কুমার পাল।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মৎস্য ঘেরে কুমিরটি দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কুমির দেখতে ভীড় জমায়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার রয়েছে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, কেউ যাতে কুমিরটির ক্ষতি না করে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর শোনার পর থেকে আমরা বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। খুলনা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্যর নেতৃত্বে একটি দল ট্রাকে করে কুমিরটিকে খুলনায় নিয়ে গেছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও) নির্মল কুমার পাল বলেন, আমরা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছি। কুমিরটি সুস্থ্য রয়েছে।পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে।

গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ জানার জন্য গত ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে চারটি কুমির সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে অবমুক্ত করা হয়। ৪টি কুমিরের ৩টি কুমিরের অবস্থান সুন্দরবনে পাওয়া গেলেও, অন্য একটি কুমিরের অবস্থান মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, পিরোজপুর এলাকায় পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের বিষয়টি জানিয়েছেন।

আবু নাছের বলেন, আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে।

এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


আরও খবর