আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সমাবেশস্থল থেকে বিএনপি-আ’লীগের নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলেছে ডিএমপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে দল দুটির নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অনুমতির আগ পর্যন্ত কোনো দলের নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে পারবেন না।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এসময় সাংবাদিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে জানতে চান- বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেও আওয়ামী লীগ সমাবেশের জন্য স্টেজ করা শুরু করেছে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন। এখনো যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়নি সেক্ষেত্রে তারা কীভাবে এ কাজ করছে?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দুটি দলকেই অনুরোধ করেছি তারা যেন এ কাজটি না করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ডিএমপি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে দলটির স্টেজের কাজ স্থগিত করে রেখেছে। নয়াপল্টন থেকেও বেশিরভাগ চলে গেছে।

নয়াপল্টন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সমাবেশের প্রস্তুতির জন্যই কি ক্যামেরাগুলো বসানো হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা সেইফ সিটি ঢাকা চাই। যেখানে প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকবে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রোগ্রাম হয় সেখানেও সিসি ক্যামেরা থাকে। ডিএমপির দায়িত্বের জায়গা থেকে স্ব-প্রণোদিত হয়ে নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আশংকা নোটিশ করে আসবে না। যদি কেউ মাস্টারমাইন্ড থেকে থাকে সেটিকে ঘিরেই আমাদের নিরাপত্তা থাকে। সবকিছু সুন্দর করে হয়ে গেলে আমাদের আর প্রয়োজন ছিল না।

আওয়ামী লীগের সমাবেশসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশে সিসি ক্যামেরা আছে কি না। জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, অবশ্যই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেও সিসি ক্যামেরা আছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। আগামীকালের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, শুধু আজকে নয় এর আগেও লাগানো হয়েছিল।

ঢাকার প্রবেশ পথে তল্লাশিতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়। আগামীকাল এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রবেশপথগুলোতে যথেষ্ট চেকপোস্ট রয়েছে। কারণ এই মেগা সিটিতে কোনো দুষ্কৃতিকারী প্রবেশ করবে এটি কাম্য নয়। অপরাধী মানুষকে চেক করতে গিয়ে কখনো কখনো ভালো মানুষকেও চেক করতে হয়। এয়ারপোর্টেও সবাইকে চেকিংয়ের আওতায় আনা হয়। থ্রেট থেকে সেভ থাকার জন্য চেক পয়েন্টে সবাইকে চেক করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার অনেকের মোবাইল চেক করা হয়েছে। বিএনপির ফেসবুক পেজে লাইক দেওয়াকে কেন্দ্র করে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছেন। পুলিশ এ কাজটি করতে পারে কি না জানতে চাইলে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, কেউ যদি অপেশাদার কাজ করে এবং আমাদের কাছে রিপোর্ট আসে ডেফিনেন্টলি আমরা ব্যবস্থা নেবো। অপেশাদার কাজকে কেউ জায়েজ করে দিতে পারে না।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দেন হাফেজ আবু রায়হান। তিনি আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থী।

গত ডিসেম্বরে লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাছাইপর্ব। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচিত করে রায়হানকে। মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে মিসর ও সেনেগালের প্রতিযোগী।

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশনভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন রায়হান।

আবু রায়হানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। তার কোরআন পড়ার সূচনা হয় মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসরাহ একাডেমি মাদরাসায়। তিনি মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার ছাত্র।


আরও খবর



সিডনির শপিং মলে ছুরি হামলা, নিহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনির একটি শপিং মলে ছুরি হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর- সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।

শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার কিছু আগে বন্ডি জাংশন শপিং সেন্টারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী একজন পুরুষ এবং তাকে থামাতে পুলিশকে গুলি করতে হয়েছে। সে এখনো বেঁচে আছে কি না-নিশ্চিত নয়।

শপিং মলটির অবস্থান সিডনির ওয়েস্টফিল্ড এলাকায়। হামলা ঘটার পর পুলিশ মলটির আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ ইস্যুতে আরো তথ্য জানতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এখন এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।


আরও খবর



রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে স্কুল কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মাউশি অধিদপ্তরের একজন পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আমরা সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরর পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। আমরা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা যায় সে বিষয়ে ভাবছি। সেটা অনলাইন হতে পারে বা মর্নিং শিফটে হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে পরিস্থিতি ওপর।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

এদিকে সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ভারতের কাছে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে এবার প্রথম ম্যাচে হারমানপ্রীত কৌরদের সামনে কোনো পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানার দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৫ রানে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল। ভারতের দেয়া ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে টাইগ্রেসরা।    

লক্ষ্যতাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে গোড়াপত্তন করেন দিলারা আক্তার। তবে পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান রেণুকা সিং ঠাকুর। শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোবাহানা মোস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। তবে সেই সুযোগ দেননি রেণুকা। পঞ্চম ওভারে সোবাহানাকে বোল্ড করেন তিনি।

১৮ বলে ১৩ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন মুর্শিদা। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে।

১১ রান করে রাধার বলে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে একদমই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। উইকেটের একপ্রান্তে নিগার লড়াই করে গেলেও হারটা তখন সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।

৪৮ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন নিগার। তবে এই রান হার এড়ানো তো দূরের কথা, লড়াইটাকে কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেনি। ১০০ রানে থামে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে মান্ধানাকে বড় রান করতে দেননি তৃষ্ণা। পরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন মান্ধানার উইকেট।

মান্ধানা না পারলেও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন আরেক ওপেনার শেফালী ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তাকে মুর্শিদার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাবেয়া খাতুন। তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।

বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল ভারত, এমন সময় এসে জুটি ভাঙেন ফাহিমা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের ওভারে ইয়াস্তিকাকে ফেরান রাবেয়া। ২৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শেষদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। রিচা ঘোষের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।


আরও খবর
বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




মাথাপিছু ঋণ বেড়ে দেড় লাখ টাকা: সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত তিন বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, তিন বছর আগে মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, ফলে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য; মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, আশির দশকে অনেক আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকান দেশ স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছিল। সম্প্রতি এর বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে এ দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঋণের বড় বাধা এখন ঋণগুলোর শর্ত এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন।

আমরা যদি আশির দশকে ওপেকের সময় ঋণের সংকটের দিকে তাকাই, সেখানে দুটি পরিস্থিতি ছিল। একটি, লাতিন আমেরিকায় খুব বেশি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়া। তারা বিপদে পড়েছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণে, সেগুলো তাদের খুব সস্তায় দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা একসময় গিয়ে ঋণসংকটে পড়েছিল। একই ঘটনা শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকটের। শ্রীলঙ্কার অনেক ঋণ স্বল্পমেয়াদি। শ্রীলঙ্কার একই সময় অনেক আফ্রিকান দেশেও একই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’

ড. রেহমান সোবহান বলেন, একইভাবে বাংলাদেশও স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে সংকটের পথেই আছে। এটা খুবই উল্লেখ করার মতো, এ ধরনের ঋণ এখন বাড়ছে। যেহেতু আমাদের রপ্তানি আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো, তাই এ জায়গায় তেমন সংকট নেই।’

মূল প্রবন্ধে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমাদের বিদেশি ঋণ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। আমরা এখন যদি সতর্ক না হই, তাহলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সরকার যে সতর্ক তা আইএমএফের কাছে ৪.৭ বিলিয়নের জন্য যে গেল সেটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’

প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, বিদেশি ঋণ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, ১৯৮০ সালের দিকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ধরনের বড় সমস্যায় পড়েছিল। সাম্প্রতিক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া গ্রিস বড় উদাহরণ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও ঘানার মতো দেশের উদাহরণ তো আছেই।’

আন্তর্জাতিকভাবে এ প্রভাব পড়ার বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, বিশ্বে মালামাল ও সেবার চাহিদা কমে যাওয়া। দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কারণ—ঋণ ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল, অনেক দেশ অদূরদর্শী ঋণ নিয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন শর্তে ঋণ নেওয়া হয়েছে, মুদ্রার ওঠানামাও অনেক দেশে হয়েছে। এসব কারণ অভ্যন্তরীণ।’

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ও বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই এ কারণে তা উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ঋণের চাপে অনেকে আছে, অনেকে খেলাপি হয়েছে।

উন্নয়নশীল এসব দেশের সরকারি ঋণ ২০১০ সালে জিডিপির তুলনায় ৩৫ শতাংশ ছিল, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এর মধ্যে একই সময় দেশগুলোর বিদেশি ঋণ ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। এসব বিদেশি ঋণের মধ্যে ব্যক্তি খাতের ঋণও একইভাবে বেড়েছে। একই সময় ব্যক্তি খাতের ঋণ ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

বিশ্বব্যাংকের গবেষণার একটি অংশ তুলে ধরে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১০৯ শতাংশ, যেটি দেশগুলোর জিডিপির ৩৩ শতাংশ। পাবলিক অ্যান্ড পাবলিকলি গ্যারান্টেড (পিপিজি) ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আইএমএফের সতর্কবাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ এসব দেশকে সতর্ক করে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছে। আমরা কি আরেকটি ঋণ সংকটের দিকে যাচ্ছি?

তার মতে, বাংলাদেশের ঋণ ও পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে, যা সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা পাকলিক ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮.৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানিয়েছে, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরো কঠোর হচ্ছে।

বিশেষ করে জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতা দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এর সঙ্গে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেগাপ্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থপাচারের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বড় আকারের অনেক প্রকল্পই অতিমূল্যায়িত করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। আবার প্রকল্পের ভেতরে বাস্তবায়ন পর্যায়ে কোনো না কোনো স্বার্থগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অন্যান্য দেশে জনগণের প্রাথমিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে জনসাধারণের টাকা লুটের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠেছে। বিদেশি ঋণ নেওয়া প্রকল্পগুলোর মাধ্যমেও ব্যক্তি খাতে পুঁজি গড়ে উঠেছে। এটা বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের জন্যই প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুঁজি সঞ্চয়কারী অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক নেতারা যে আশায় এই প্রকল্পগুলো নিয়েছিলেন, সেটায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে সরকারের দায় বৃদ্ধির প্রবণতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১০ ডলার। আর অভ্যন্তরীণ উৎসর ঋণ মিলে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫০ ডলারে। স্বাধীনতার এত বছর পরে সরকারের মাথাপিছু ঋণ এক লাখ টাকায় উঠেছিল অথচ তা পরের তিন বছরেই দেড়গুণ হয়ে গেছে।

কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে ঋণ বেড়েছে বলে অনেকে দাবি করলেও প্রকৃত কারণ ভিন্ন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। ঋণ পরিশোধের চাপের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালেও সরকারের আদায় হওয়া রাজস্বের ২৬ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হতো। অথচ এই হার এখন ৩৪ শতাংশে উঠেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ ঋণ যাচ্ছে ২৮ শতাংশ আর বিদেশি ঋণ সাড়ে ৫ শতাংশ।

বিদেশি ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে অনেকেই দাবি করলেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মোডি বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস হিসেবে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমছে বলে দাবি করেন ড. দেবপ্রিয়। সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতাসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ফলাফলের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ ঋণে নেওয়া মেগাপ্রকল্প প্রকৃত সুফল দিতে পারছে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, বিনিয়োগ না বাড়লে প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩.৪ থেকে ২৩.৮ শতাংশে আটকে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। গত দেড় দশকের সাফল্য কেন বিনিয়োগে প্রতিফলিত হয়নি? এফডিআই কেন জিডিপির ১ শতাংশে আটকে আছে? প্রশ্ন রেখে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ২০২৩ সালের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে সরকারের হিসেবেই কমেছে। এ ছাড়া শিক্ষা, ট্রেনিং বা কর্মে নেই এমন মানুষের হার বেড়েছে, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঋণ করে চলে।

বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, শিক্ষায় গত ১৫ বছরে কোনোভাবেই জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং স্বাস্থ্যে ১ শতাংশের বেশি বরাদ্দ হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবহেলার প্রতিফলন এই এসভিআরএস প্রতিবেদনেও এসেছে বলে তিনি জানান। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যথাযথ কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য তিন মাস পর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কেবিনেটের সাব কমিটি ক্রয় কমিটিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর