মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, আমাদের সমাজে এক ধরনের মানুষরূপী অসুর রয়েছে যারা সবসময় সমাজে নানা ধরনের নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে চলছে। সমাজের এসকল মানুষরূপী অসুরদের বধ করে ভালো জগৎ সৃষ্টি করতে হবে। আর এ জন্য ধর্ম বর্ণ ও দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক সম্প্রীতি সৃষ্টির বিকল্প নাই। সামাজিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধনকে আরো দৃঢ ও সুসংহত করবে। কোন অশুভ শক্তি যেন এ সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যকে ধ্বংস করতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার দুপুরে স্বরূপকাঠি মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণ ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকলের রক্তের বিনিময়ে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সকল ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে বাঙ্গালী নামে পরিচিতি দিয়েছেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর এদেশের সনাতন ধর্মেও লোকেরা নির্বিগ্নে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর সনাতনী সম্প্রদায় কোন প্রকার দুঃশ্চিন্তা ছাড়া নির্বিঘ্নে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ পূর্বক শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করছেন। রাজনীতি, প্রসাশনসহ সব জায়গায় সকল ধর্মের লোকদের সমান সুযোগ সৃষ্টি করে সমাজে সম্প্রীতি সৃষ্টি করেছেন যেটা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শশাঙ্ক রঞ্জন সমদ্দারের সভাপতিত্বে ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৌরভ সুতারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, স্বরূপকাঠি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুরঞ্জিত দত্ত লিটু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ন রায় চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি সুখরঞ্জন বেপারী, ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্ত ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বেপারী প্রমুখ। এসময় মন্ত্রী উপজেলার ১০১ টি পুজামন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকের নিকট সরকারি বরাদ্ধ প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি করে চালের বরাদ্ধ পত্র, প্রধানমন্ত্রী অনুদানের চেক, মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত তহবিল ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের ব্যক্তিগত অনুদান হস্তান্তর করেন।