মোংলা থেকে নূর আলম(বাচ্চু),
মোংলা ইপিজেডের
ভিআইপি কারখানায় এখনো থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত
ফ্যাক্টরিতে থেমে থেমে আগুন জ্বলছিল। চলছে ডাম্পিং ডাউনের কাজ।
মঙ্গলবার (৩১
জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ১১ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের সাড়ে ৯ ঘণ্টার চেষ্টায়
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট শুরু করে ডাম্পিং ডাউনের কাজ।
তবে, আগুন ছড়িয়ে
পড়া বা ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে আগুনে ১৫০
কোটি টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে দাবি করে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন
ফ্যাক্টরির সহকারী ব্যবস্থাপক আশীস কুমার কর্মকার।
জিডি তিনি উল্লেখ
করেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত
হয়েছে। আগুনে ফ্যাক্টরির কাঁচামাল ও মেশিনারিজ পুড়ে ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আশীস কুমার কর্মকার
বলেন, ফ্যাক্টরিতে থাকা ট্রাভেল ব্যাগ তৈরির ফেব্রিক্স, ট্রলি, হুইল, ফোম, সুতা সব
পুড়ে গেছে। মেশিনারিজও শেষ হয়ে গেছে। এতে আমাদের প্রায় ১৫০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের
ফ্যাক্টরিতে শতভাগ পণ্য বিদেশে রপ্তানি হতো।
খুলনা বিভাগীয়
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, ১১টি ইউনিটের চেষ্টায়
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ১১ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ড্যাম্পিং ডাউনের কাজ
শুরু হয়।
মোংলা ইপিজেড
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আরদেশ আলী বলেন, আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে
রয়েছে। তবে কাপড় বা স্তূপের ভেতরে থেমে থেমে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানে ভেতরে
প্লাস্টিক ও ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন পণ্য থাকায় আগুন থেমে থেমে জ্বলছে। এখন ৬টি ইউনিট
ড্যাম্পিংডাউনের কাজ করছে। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ চলবে।
বাগেরহাট ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, এখনো আগুন জ্বলছে।
তবে আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানোর জন্য ফায়ার ফাইটাররা কাজ করছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার
বিকেল সাড়ে ৩টায় মোংলা ইপিজেডে থাকা ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড
নামের ভিআইপি-১ ব্যাগ কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে খুলনা, বাগেরহাট ও
মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। তবে ফ্যাক্টরির ভেতরে
পলেস্টার টাইপের ফেব্রিক্স, ফোম ও ক্যামিকেল থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েন ফায়ার
ফাইটাররা।
এদিকে আগুনের
কারণ জানতে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।