আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

'সমস্যা সৃষ্টির মূল কারণ যোগ্য নেতৃত্বের অভাব'

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:

প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র এবং ব্যক্তিগত জীবনে নানা সময়ে দীর্ঘস্থায়ী ও অস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই সমস্যা সৃষ্টির মূল কারণ হচ্ছে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। কোনো সমাজে যদি যোগ্য নেতৃত্বের অভাব থাকে তাহলে ওই সমাজ থেকে শান্তি চলে যায়। চালু হয় খুন, রাহাজানি, ডাকাতিসহ নানা ধরের অবৈধ কর্মকান্ড।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামার খোলায় নিজ বাড়িতে দিনব্যাপী বায়রার ও গুলশান জগার্স সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত মিলন মেলা অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্যে নানা সমস্যা সৃষ্টি হওয়া নিয়ে ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. নূর আলী এসব কথা বলেন।

নূর আলী বলেন, আমরা একে অন্যকে দোষারোপ করতে গিয়ে দেশের স্বার্থকে ভুলে যাই। বিশ্বের বহু দেশ রয়েছে যেখানে তারা দেশের স্বার্থ রক্ষায় কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। আমি সকলকে জেলাসি বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।

দিনব্যাপী নূর আলী বায়রার ও গুলশান জগার্স সোসাইটির সদস্য নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি মহা আনন্দে উদযাপন করেন।

নূর আলী সকাল নয়টার দিকে দুই সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে গাড়ি যোগে কামার খোলা গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে বেলা সাড়ে এগারোটার  দিকে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে কামারখোলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে নূর আলীর গ্রামের বাড়ি আড়িয়াল ভিউতে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়।

নূর আলী বলেন, আমার বাবা যখন মারা যায় আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম। দিন রাত পরিশ্রম করেছি। কিন্তু কারো কাছে স্যালেন্ডার করিনি।

দেশ বরেণ্য শিল্পপতি বলেন, আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা দিবেন তারা যেনো কখনো পিছনে ফিরে না তাকায়। কারণ পিছনে ফিরে তাকানো মানেই লস। কে কি বললো তা দেখার বিষয় নয়, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অতীত মনে রেখে কখনো সামনে আগানো যায় না। অতীত থেকে শুধু শিক্ষা নিতে হবে কিন্তু অতীত মনে রেখে জীবন চালানো যাবে না।

নবনির্বাচিত বায়রার প্রধান উপদেষ্টা মোহা. নূর আলী তার বাল্যকালের স্মৃতি মনে করে বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম আমার মায়ের কাছে এলাকার শত শত মহিলারা এসে চিঠি লিখিয়ে নিতেন। আমার মা অনেক মহিলার মনের কথা, পরিবারের কথা জানতেন। এর মূল কারণ আমার মায়ের ভিতরে শিক্ষার আলো ছিলো। আমার মা ছিলেন একজন আদর্শ নারী। আমি এই আড়িয়াল বিলে বেড়ে উঠেছি। এই বিলের সাথে জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। এই বিল ৬ মাস পানির নীচে থাকতো। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী উন্নয়নের কাজ করে এই বিলকে বদলে দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ইউনিক গ্রুপের এমডি আরো বলেন, যখন যে কাজটি করবে সৎ ও আন্তরিকতার সাথে করার চেষ্টা করবে। যদি কোনো কাজে আন্তরিকতা না থাকে তাহলে সেই কাজটি সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ করা যায় না। তাই যে, যেই কাজটি করো না কেনো সবসময় আন্তরিকতার কমতি রাখবে না।

দিন ব্যাপী আয়োজনে বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাশার, ইউনিক গ্রুপের সিইও ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, ব্রাদার্স ফার্নিচার চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান সরকার, হায়দারি গ্রুপের এমডি সৈয়দ গোলাম সারওয়ার, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, সিনিয়র এডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান, ঢাকা ড্রামসের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, গুলশান জগার্স সোশাইটির সহ সভাপতি এম এ কামাল, রানার্স ক্লাব লিমিটেড সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট  এড.শাহজাহান তালুকদার, সাবেক জনতা ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম, এম টিপু সুলতান, মো. কামাল উদ্দিন দেলু, দি ফাতিহা ইন্টার ন্যাশনালের প্রোপাইটর জাহাঙ্গীর আলম রাজ, কানাডা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রশিদ, ল্যাব এইডের চিকিৎসক ডা. মো. লোকমান হোসেন, খাহ্রা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম, ঢাকা জেলা তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিকুর রহমান পলাশ, জগার্স গনতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্ট সভাপতি মুজিবুর রহমান মজিদ, গুলশান জগার্স স্পোর্টস সেক্রেটারি আমির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চেক ডিজঅনার কেন হয়, টাকা পেতে যা করবেন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়াও নানা সময়ে চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। সেই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা যায়। আবার কেউ চাইলে চেকের বিপরীতে নগদ টাকাও ব্যাংক থেকে নিতে পারেন। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকে জমা দিয়ে এই টাকা উত্তোলন করতে পারেন গ্রহীতা।

তবে অনেক সময় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মূলত চেকে নামের মিল না থাকা, অ্যাকাউন্টধারীর অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, চেকে অ্যাকাউন্টধারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা কিংবা চেকে টাকার পরিমাণ অঙ্কে ও কথায় মিল না থাকার মতো কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এটিকেই চেক ডিজঅনার বলা হয়ে থাকে।

অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে যদি চেক ডিজঅনার হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ দেন। আর চেক ডিজঅনার হলে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করতে হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুণ অর্থ জরিমানা হতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার বিষয়ে ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান জানান, আইনে তিন গুণ জরিমানার কথা থাকলেও বাস্তবে সাধারণত আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা করেন না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই দোষীকে জরিমানা করেন আদালত। আবার বিবাদী যদি স্বেচ্ছায় জরিমানার টাকা না দেয় তবে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে টাকা আদায় করা যেতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রথমেই স্লিপ নিতে হবে। এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হবে। বিবাদী ওই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।

এক্ষেত্রে মামলার সময় বাদীকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে মামলার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মামলার আবেদনের সঙ্গে প্রসেস ফি জমা দিতে হবে।

চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর ও ৬ মাসের আগে গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার সঙ্গে সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ অর্থ গ্রহীতাকে দিতে হবে।

মামলা হওয়ার ৬ মাস পর ও এক বছরের আগে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার এক বছর পর ও দুই বছরের আগে উল্লেখিত অর্থ গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকা ও এর তিন গুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি টাকা না দেন, তবে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা ছাড়াও প্রয়োজন মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।


আরও খবর
হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




শ্রমিক বিক্ষোভ: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্র মোংলা ইপিজেড

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মোংলা ইপিজেড। কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে; রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইপিজেড এলাকা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোংলা ইপিজেডের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়।

শ্রমিকরা জানান, মোংলা ইপিজেডে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভিআইপির। সেই কোম্পানির কয়েকটি কারখানা থেকে আজ সকালের শিফটে প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের কাছ থেকে কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়া তাদের কারখানা থেকে চলে যেতে বলেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ভিআইপি কর্তৃপক্ষ বলেন, একে একে ছাটাই করা শ্রমিকরা ইপিজেডের সামনে জড়ো হন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রধান গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মূলগেটে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শ্রমিকদের দাবি, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের ছাটাই করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।

এ নিয়ে ভিআইপি কর্তৃপক্ষ জানায়, রফতানি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় কিছু শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছে। তবে তাদের আগাম এক মাসের বেতন, ঈদ বোনাস ও তাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

অহেতুক কিছু শ্রমিক প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। এ সময় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা থেকে ৬ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে শ্রমিকদের দাবি, রমজান মাস চলছে, এ ছাড়া সামনে পবিত্র ঈদ। এই মুহূর্তে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ছাটাই করলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। গত বছরও একই সময় অহেতুক প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ছাটাই করেছিল এই ভিআইপি নামের প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, সমঝোতার জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, কিন্তু কিছু শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলে। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় এবং সবাইকে শান্ত হয়ে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



দাবদাহ : এবার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের স্কুল কলেজ সাতদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরমধ্যে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (ইংলিশ মিডিয়াম) শ্রেণি কার্যক্রম কোথাও কোথাও চলছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করার জন্য বলা হয়েছে।

শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শ্রেণিকার্যক্রম ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শ্রেণিকার্যক্রম চলবে।

রোববার (২১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরে দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ৫ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে যেহেতু এরপর শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধটা টানা ৭ দিনে গিয়ে ঠেকছে। ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল কলেজ।

দুই মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হতে পারে। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।


আরও খবর



খুলনায় সালাম জুট মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৬ ইউনিট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

খুলনার রূপসার নৈহাটি ইউনিয়নের জাবুসা এলাকার সালাম জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রূপসার জাবুসা এলাকার সালাম জুট মিলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট কাজ করছে।

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা মো. আব্দুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও ৪টি ইউনিট যুক্ত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে মোট ১৬টি ইউনিট কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



গ্রাহকদের আরও ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গ্রাহকের পাওনা আরও ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

টাকা ফেরত দেয়া গ্রাহকদের একটি তালিকা পোস্ট করে রাসেল লিখেছেন, আমরা আমাদের ক্যাম্পেইন মার্জিন (আগের) থেকে বিভিন্ন লংকাবাংলার কার্ড হোল্ডারদের ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। এসব গ্রাহকদের লংকাবাংলা দ্বারা নির্বাচিত করা হয়েছে। যদি তালিকায় আপনার নাম থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার ব্যাংক বা কার্ড চেক করুন।

এর আগে গত ৫ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় ইভ্যালি ১০০ জন গ্রাহককে তাদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়। তার আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি, জানুয়ারি মাসের আয়ের টাকার লাভের অংশ থেকে প্রথম দফায় ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দিয়েছিল ইভ্যালি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল। তারপর থেকেই গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইনসহ নানা অফার ও পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর চেক জালিয়াতি, টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়াসহ নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে অনেক মামলা হয়।


আরও খবর
হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪