আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সংঘাতে সুদান থেকে পালাতে পারে ৮ লাখ মানুষ : জাতিসংঘ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সেনা ও বেসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের কারণে বহু মানুষ সুদান ছাড়ছেন। চলমান সংঘাতের কারণে সম্ভবত ৮ লাখ মানুষ সুদান ছাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। ইতোমধ্যে ৭৩ হাজার মানুষ দেশটি ছেড়েছেন। শনিবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইচসিআরের সহকারি হাই কমিশনার রাউফ মাজউ এক ব্রিফিং-এ বলেন, আমরা ধারণা করছি ৮ লাখ ১৫ হাজার মানুষ সুদান ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।

এদিকে ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক টুইট বার্তায় বলেন, আমরা আশা করি এমন পরিস্থিতি দেখতে হবে না, তবে সহিংসতা বন্ধ না হলে আরও বেশি মানুষকে নিরাপত্তার কারণে সুদান থেকে পালিয়ে যাওয়া দেখতে হবে।

আরও পড়ুন >> ইংল্যান্ড পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল

আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বলেছে, গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ের পর থেকে ইতোমধ্যে একটি বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সুদানে।

সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কত কয়েদিন বেসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট আরএসএফের সংঘর্ষ চলছে। এই সশস্ত্র আরএসএফের নেতৃত্বে রয়েছেন ক্ষমতাধর জেনারেল হামদান দাগালো। সুদানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সেনা ও আরএসেফের মধ্যে এই সংঘাত।

আন্তর্জাতিক চাপে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও থেমে নেই পাল্টাপাল্টি হামলা। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পেছনে একে অপরকে দুষছে সেনা ও আরএসএফ। এ পরিস্থিতিতে শহরে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে সরকারগুলো।

নিউজ ট্যাগ: সুদান জাতিসংঘ

আরও খবর



কোনো দুর্নীতি না করার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের অবস্থান সব সময় সেন্টারে থাকবে, প্লাস-মাইনাস হবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

তিনি বলেছেন, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করবো না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন। আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নূরুল হক বলেন, আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রতিটি মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, এতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে, তারাই আমার লোক।

এসময় সাবেক উপাচার্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান উপাচার্য শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করবো। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।


আরও খবর



লাদাখকে কেন্দ্র করে ফের প্রকট চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ছয় দশক পর ফের তীব্র হয়েছে ফের চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা। চীনের ঘনিষ্ট মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডর ঘিরে দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের ঝুঁকি দেখছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধপূর্ণ পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে পারমাণবিক শক্তিধর এই দু'দেশ। সংবাদমাধ্যম দ্য ইউরোএশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্লেষকদের দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের আশঙ্কার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চীন এখন এ ব্যাপারে সতর্ক যে, নতুন ভারতকে সহজে পরাজিত করা সম্ভব নয় এবং তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের আগে তারা কোনো সংঘাতের ঝুঁকি নেবে না।

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে ভারত শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়। সম্প্রতি সীমান্ত উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীনের সরকারি গণমাধ্যম বারবার ওই যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে বলা হচ্ছে, ১৯৬২'র অবস্থা থেকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা।

এর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে চীনা সেনাদের হামলায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এতে চীন-ভারত সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। ওই সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত অবস্থান সংঘর্ষের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বহু বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনো তা পুরোপুরি পুরোনো অবস্থায় ফেরানো যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়েই চলেছে। চলতি বছর (২০২৪) প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। তাইওয়ানে আক্রমণ করে দেশটিকে চীনা মূল ভূখণ্ডের সাথে একীভূত করার লক্ষ্যে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

চলতি সপ্তাহে (৫ মার্চ) প্রকাশিত চীন সরকারের এক কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে এমনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে চীন বলেছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বাইরের হস্তক্ষেপ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।

তাইওয়ানকে চীনের সাথে একীভূত করার ব্যাপারে বহুদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পূণঃএকত্রীকরণ বলে একটা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে আসছিল চীন। নতুন প্রতিবেদনে তা সরিয়ে জোরপূর্বক একত্রীকরণ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চীন পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দৃঢ় থাকবে।

চীনের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যেই লন্ডনভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (আরইউএসআই) একটি মন্তব্য কলাম প্রকাশ করেছে। ওয়ার ক্লাইডস ওভার দ্য ইন্ডিয়ান হোরাইজন শীর্ষক ওই কলামে লেখক ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল রিস্ক অ্যানালিটিকসর প্রেসিডেন্ট সমীর টাটা একটি ভয় উদ্রেককারী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধ সম্ভবত ২০২৫ ও ২০৩০-এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পূর্ব লাদাখে সংঘটিত হবে। লেখক দাবি করেছেন, বেইজিং পূর্ব লাদাখকে (যেটি ভারতের অন্তর্গত) জ্বালানি সুরক্ষার লেন্সের মাধ্যমে দেখে যা চীন-ভারতকে অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।

বিষয়টির ব্যাখা করে লেখক বলেছেন, পূর্ব লাদাখ হলো একমাত্র পথ যেখান থেকে কোনো শত্রুশক্তি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ শিনজিয়াংয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস কাশগরে আক্রমণ ও দখল করতে পারে।

চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো একটি পরিকল্পিত স্থল-ভিত্তিক পাইপলাইন যা ইরানের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে কাশগরের সাথে সংযুক্ত করেছে এবং পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মধ্যদিয়ে গেছে।

ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে এই যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে পূর্ব লাদাখ ও কারাকোরাম পাস চীনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ। কারণ এগুলো তাদের সিপিইসি প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ইউরোএশিয়ান টাইমসকে জেনারেল নারাভানে বলেন, কিন্তু যদি চীনারা মনে করে যে আমরা সিপিইসি বা পাকিস্তান-অধিকৃত-কাশ্মীর বা তিব্বতে তাদের বিচ্ছিন্ন করার অবস্থানে আছি, তবে এটি ১৯৬২ সালের (ভারত ও চীনের মধ্যে প্রথম যুদ্ধের বছর) পর একটি বড় পরিবর্তন।

নিউজ ট্যাগ: চীন-ভারত লাদাখ

আরও খবর



খাতনায় শিশু আহনাফের মৃত্যু : মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ (ভিডিও)

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগে জে এস হাসপাতালে সুন্নতে খাতনা করাতে গিয়ে শিশু আহনাফ তাহমিদ আইহামের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। এছাড়া মামলার তদন্তে ধীর গতি বলেও অভিযোগ করেন তারা। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন করে এই অভিযোগ করে আহনাফের সহপাঠী, স্বজন ও প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকরা।

তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অসাধু চক্র মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে সহযোগিতা করছে না প্রশাসন ও পুলিশ। অন্যদিকে আদালতে এ মামলা পরিচালনায় আইনজীবীরাও পক্ষপাতিত্ব করে অনিহা দেখাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খাতনা করাতে গিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহনাফ তাহমিদ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মোহাম্মদ ফখরুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহনাফ তাহমিদকে সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম হাতিরঝিল থানার জেএস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি ওই সময় কিছু টেস্ট লিখে দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। সুন্নতে খাতনা করতে কোনো সমস্যা নেই। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলের সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামিরা জানান, তাদের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আহনাফের বাবা-মা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ৩০-৩৫ মিনিট পর ওটি রুমের দরজায় নক করলে তাঁরা জানান, আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এভাবে এক ঘণ্টা পার হওয়ার পর আহনাফের বাবা ফখরুল ওটি রুমে প্রবেশ করতে চাইলে তাঁকে নিষেধ করে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।

পরবর্তীতে সন্দেহ হলে ফখরুল জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান, তাঁর ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আহনাফের বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করছে এবং নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি। ছেলের এই অবস্থা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা কর্ণপাত না করে নিজেরাই তার বুকে চাপাচাপি, হাত-পা মালিশ করতে থাকেন।

তখন জোর করে তাকে ওটি রুম থেকে বের করে দেন তারা। দুই ঘণ্টা পার হলেও তারা ছেলের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে আবার জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে ফখরুল জানতে পারেন তার ছেলে আহনাফ তাহমিদ মারা গেছে। এরপরই দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



রমজানেও থেমে নেই বর্বরতা: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯৩

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছেই। এতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহতসহ মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার ৮১৯ জন। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৭৩ হাজার ৯৩৪ ফিলিস্তিনি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এতে ৯৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফা এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

এর মধ্যে মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন মারা গেছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে ফের পরিবারের আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার ভাই শামীম ইস্কাদার। গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন।

আজ রবিবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

ওই আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। এছাড়া স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৩ মার্চ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। একদিন পর বৃহস্পতিবার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় আনা হয় তাকে।

সে সময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। হার্টের এখনো বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব তাকে বাইরে নিতে হবে।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসহ নানা রোগে ভুগছেন।


আরও খবর