আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

এসএসসি পর্যায়ে আইসিটি পরীক্ষার পূর্ণনম্বর ৫০ এবং অন্যান্য প্রতিটি বিষয়ে তিন ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে তিন ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছ।


আরও খবর



আবারও বিজিপির ২৯ সদস্য আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। সংঘর্ষ ঘিরে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা।

সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিজিপির মোট ২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।


আরও খবর



সড়কের গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান, জব্দ করলেন ইউএনও

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

চলছে সড়ক উন্নয়নের কাজ। উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের গাছ কেটে হরিলুটের রমরমা ফন্দি এটেছিলেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এমন সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির সদর উপজেলা ইউএনও। সমস্ত গাছ জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদ নেয়ার নির্দেশ ও সাময়িকভাবে সড়কের কাজ বন্ধ ঘোষণা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বড়গাঁও ইউনিয়নের ভুল্লি-ফাড়াবাড়ির সড়কে।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে ইউএনও বেলায়েত হোসেন কথা বলেন গাছ কাটা শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে। তারা জানান, বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানোর নির্দেশে গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে। এ সময় শ্রমিকরা জানান, প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার মজুরি চেয়ারম্যান দেবেন বলেও জানান শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের পাশে সরকারি জমিতে চুক্তিভিত্তিক গাছ রোপনের পর তা ৩০ বছর ধরে পরিচর্যা করে আসছেন স্থানীয় কয়েকজন উপকারভোগী নারী। ভুল্লি বড়গাঁও থেকে ফারাবাড়ি প্রায় ৮ কিলোমিটার এ সড়কে ১৯৯২ সালে গাছ লাগানো প্রকল্পের আওতায় প্রথম পক্ষ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ, দ্বিতীয় পক্ষ অরগানাইজেশন ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (ওআরডি) ও তৃতীয় পক্ষ বনলতা মহিলা উন্নয়ন দলের স্থানীয় ১০ জন নারীর সঙ্গে চুক্তি নামা হয়। এ চুক্তিনামায় প্রত্যেক নারী ১৫০ গাছ রোপন করলে মোট ১৫০০ গাছ রোপন করা হয়। যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকরের মেয়াদ রয়েছে। এ সময়ের পর গাছগুলো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কেটে মুনাফার একটি অংশ পাবেন সেসব নারীরা।

কিন্তু এরইমধ্যে সড়ক প্রসস্থকরণ কাজ শুরু করে এলজিইডি। তবে সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে উপকারভোগী নারীদের অভিযোগ।

তাদের অভিযোগ, আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। আমরা ইউএনওকে মুঠোফোনে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন। কিন্তু এরই মাঝে কিছু গাছ হরিলুট হয়ে গেছে বলে জানান নারীরা।

বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানের দাবি, গত শুক্রবার ঠিকাদার রাস্তার বক্সকাটিং করার সময় ভেকু মেশিন ব্যবহার করার ফলে গাছগুলো উপড়ে গেছে। গাছ যাতে লুট না হয় সেই জন্য ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়েছে।

তবে ঠিকাদারের দাবি, গাছ উপড়ে ফেলার মতো কোন নির্দেশনা ভেকু চালকের প্রতি তার ছিলো না। তিনি বলেন, যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে এর আগে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বক্স কাটিং করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে বক্সকাটিংয়ের কাজ চলছে। কোন গাছ কাটা বা উপড়ে ফেলা হয়নি।

সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার ক্ষেত্রে কি নিয়ম আছে জানতে চাইলে সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদের কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার প্রয়োজন হলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইউএনওকে চিঠি দেবেন। পরবর্তীতে ইউএনও বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে সেসব গাছ চিহ্নিতকরণ ও দাম নির্ধারন করতে বলবেন এবং নিলামে গাছ বিক্রি করবেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গাছ কার নির্দেশে কাটা হয়েছে বা উপড়ে ফেলা হয়েছে এগুলো তদন্তের বিষয়। তবে এতগুলো গাছ কাটার ঘটনায় যা হয়েছে তা অনৈতিক। আপাতত সড়কের বক্স কাটিং-এর কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে, তদন্ত হবে এবং দোষীরা আইনের আওতায় আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাত ইউপি সদস্য।

সোমবার (২৫ মার্চ) জেলা প্রশাসক কার্যালয় বিঘাই ইউনিয়নের সদস্য মাঈনুল আহসান জিয়া, মো. জামাল হোসেন মিন্টু মৃধা, মো. মিজানুর রহমান, মো. জামাল হোসেন হাওলাদার, মো. কাওসার আকন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. বিউটি বেগম ও মোসা. মনিরা আক্তার মিলে অনাস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলেদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল দেয়া, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বেশ কিছু প্রকল্প সম্পর্কে ইউপি সদস্যদের অবহিত না করাসহ বেশকিছু বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনে। অভিযোগের বিষয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপস্থিতিতে প্রতি জেলেকে ৮০ কেজি করেই চাল বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার।

তবে এ বিষয় কথা হলে উপস্থিত জেলেরা বলেন, আসলে ওই সকল ইউপি সদস্যরা তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আমাদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল বিতরণ করতে বলেছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি না মানায় তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়েই মূলত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে কতিপয় স্বার্থলোভী ইউপি সদস্য।

বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে টিসিবির মালামাল প্রকৃত কার্ড ধারিরা পেতো না কারন ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ছাড়িয়ে নিতো। যা তারা বাহিরে বিক্রি করত। আর এসবে বাঁধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন তারা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বিচ্ছেদের প্রশ্নে যা জানালেন জয়া

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমের ওই সাক্ষাৎকারে তার অভিনয়ে আসা, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা, নাটক ছেড়ে বড় পর্দায় নাম লেখানো, দুই বাংলায় বিভিন্ন চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এ সময় তাকে বিচ্ছেদ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।

ফিল্মফেয়ারের ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। গত বছর তিনি কড়ক সিং’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে বলিউডে নাম লিখিয়েছেন। তিনি নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছেন। তার অভিনয়দক্ষতা হিন্দি সিনেমার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।’

এতে আরও বলা হয়, তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশি পুরস্কার যেমন ঝুলিতে ভরেছেন, তেমনি ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।’

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জয়াকে প্রশ্ন করা হয়, এর আগেও বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি? জয়া জানান, বেশ কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কড়ক সিং’ দিয়ে শুরু করা তার কাছে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। ছোট হলেও চরিত্রটির নানা স্তর তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

অভিনয় শুরুর দিকে জয়ার তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে সৃষ্টিশীল মাধ্যমে কাজ করার অদম্য ইচ্ছা ছিল।

জয়া আরও জানান, তিনি পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলেন। পাশাপাশি গান ও ছবি আঁকায় আলাদা মনোযোগ ছিল। আবার শৈশব থেকে অভিনয়ও তাকে টানত। কিন্তু তার পরিবারের কারও সঙ্গে মিডিয়ার কোনও যোগসূত্র ছিল না। অভিনয়ের স্কুলেও তার পড়া হয়নি। নিজের মতো করেই একটু একটু করে অভিনয়ের পথে পা বাড়ান। যদিও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা এ এস মাসুদ চাইতেন, মেয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করুক। কিন্তু সেদিকে জয়ার আগ্রহ ছিল না।

ক্যারিয়ার নিয়ে নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ওই সাক্ষাৎকারে। পরবর্তী সময়ে তার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরে কাজের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় জয়া আহসান বলেন, উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে দৃষ্টি ঘোরাই। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও সরে যায়। কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই ভালোবেসেছি। আমি কখনওই কাজ থেকে দূরে সরিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষ আমার প্রশংসা করেন, আমি কাজকেই সম্মান করি।’


আরও খবর



২৩ নাবিককে মুক্ত করতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তাব, বিশেষজ্ঞদের ‘না’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে এম ভি আব্দুল্লাহকে ছিনতাই করে সোমালিয়া উপকূলে নেয়ার সময় পিছু নেয় ভারত ও ইউরোপীয় নৌবাহিনী। পরবর্তীতেও চেষ্টা চালায় জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে। এর মধ্যেই শনিবার কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ৩ মাস আগে ছিনতাই হওয়া মাল্টার জাহাজ এম ভি রুয়েন উদ্ধার করে ভারতীয় নেভি।

এমন বাস্তবতায় এম ভি আব্দুল্লায় বিশেষ অভিযান চালানো যৌক্তিক হবে কি না-উঠেছে এমন প্রশ্ন। এক্ষেত্রে সামনে এসেছে কয়েকটি বিষয়। এই যেমন, আব্দুল্লাহর অবস্থান তীর থেকে মাত্র ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে। যা পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। বিপরীতে রুয়েন ছিল ওপেন সি-তে। যেখানে বিদেশি নৌবাহিনীর অভিযানের সুযোগ ছিল। এছাড়া জাহাজে থাকা পণ্যের ঝুঁকির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। 

আব্দুল্লাহর বিষয়টি শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন, এমন একজন জ্যেষ্ঠ মেরিনার ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলছেন, ২৩ নাবিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিবেচনায় অভিযান চালানো সমীচীন হবে না। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান নেভি কমান্ড অপারেশন চালাতে চেয়েছিলো। এর জন্যে তারা অনুমতি চাইলে বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ সায় দেয়নি। কারণ এতে নাবিকদের জীবন রিস্কে পরে যেত।

তিনি আরও বলেন, জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, নিয়ন্ত্রণ আর জাহাজে থাকা পণ্যের ধরণ বিবেচনায় অভিযান চালানো কোনভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। মুক্তিপণের পথে হাটাই হবে সমীচীন। তা না হলে তৈরি হবে প্রাণহানির শঙ্কা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, হামলা চালানোর সময় বা এর পরপরই হয়ত অভিযান চালানো যেত। এখন মুক্তিপণের পথ এড়িয়ে জোরপূর্বক কিছু করতে যাওয়া হবে আত্মঘাতী। 

১২ মার্চ দস্যুদের হামলার সময় এমভি আব্দুল্লাহ থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা চেয়ে বার্তা দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ জাহান মণিও ছাড়া পেয়েছিল মুক্তিপণের বিনিময়ে।


আরও খবর