আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সংকট কাটাতে কেনা হবে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে সরবরাহের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনি আমদানি করবে সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে তুরস্ক থেকে প্রায় ৮৩ টাকা কেজি দরে কেনা হবে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি। প্রতি কেজি চিনি কিনতে আগের তুলনায় সরকারের এবার ৬ টাকার মতো খরচ কম হচ্ছে। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এটিসহ মোট ১৪টি ক্রয়সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: আবারো ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

সভা শেষে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের স্মারটেক ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ বাড়ায় একটি ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের কিছু পূর্ত কাজের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এজন্য ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৩০১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু এবং এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্ক কমলো

যদিও ২০১৬ সালে এ-সম্পর্কিত প্রকল্প নেওয়া হয়। শুরুতে সরকারের পরিকল্পনা ছিল অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে একই দিন রেলও চালু করার। কিন্তু রেল প্রকল্পের অবকাঠামোসহ অন্যান্য কাজ পিছিয়ে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানোর পাশাপাশি স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ বাড়ানোর পরে এখন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।

গতকালের মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চার কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে তিন কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার বেশি। আর যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এলপির কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫১৬ কোটি টাকার বেশি। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একসঙ্গে সাত লটে মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার টন ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, ফসফরিক এসিড এবং মিউরেট অব পটাশ সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, কানাডা, তিউনিসিয়া এবং মরক্কো থেকে এ সার কেনা হবে। এ ছাড়া পৃথক লটে সৌদি আরব থেকে আরও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১০৫ কোটি টাকার মতো।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধারে লাগতে পারে দীর্ঘ সময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের কবলে পড়ে মঙ্গলবার দুপুরে। যা সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬'শ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায়। যা অবাক করেছে সাবেক মেরিনারদের। 

নিজের এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সাবেক মেরিনার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সাধারণত নিজেদের সমুদ্র সীমায় ছোট ছোট স্পিডবোটে ব্যবহার করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জলদস্যুরা। তবে আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এসে ছিনতাই করে এই জাহাজটিকে।

এখন বড় প্রশ্ন জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে কতদিন লাগবে? সাবেক এই মেরিনার বলছেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের ছাড়া পেতে লাগতে পারে ১ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত। কেননা, মুক্তিপণ দাবির পর তা নিয়ে দরকষাকষিসহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে এই কবির গ্রুপেরই জাহাজ জাহান মণি মুক্তি পেতে লেগেছিল ১০০ দিন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফির্সাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, নানা প্রক্রিয়া শেষ করে সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্ত করতে বেশ সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সমঝোতাই মুক্তির মূল উপায়।

সাবেক মেরিনারদের মতে, মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে কোন নাবিকেরই ক্ষতি করে না জলদস্যুরা। তাই, এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও যেহেতু মালিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু করতে আগ্রহী, তাই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। 


আরও খবর



আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এর আগে রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন ও মাধ্যমিক রমজানে ১৫ দিন খোলা থাকে।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, সারাদেশের কলেজগুলো রমজানে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছিল।

এছাড়া রমজান উপলক্ষে মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়।


আরও খবর



জলদস্যুর কবলে জাহাজ : জিম্মি ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী এম ভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এটিকে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জিম্মি জাহাজের ক্রুদের পরিচয় জানা গেছে। এদিকে, পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ।

আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজটির গন্তব্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে। ওই জাহাজের ক্রু লিস্ট থেকে জানা যায়, এম ভি আবদুল্লাহর মাস্টার বা ক্যাপ্টেন  হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রামের খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ এবং সেকেন্ড অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম।

সেই সঙ্গে থার্ড অফিসার হিসেবে রয়েছেন ফরিদপুরের ইসলাম মো. তারেকুল, ডেক ক্যাডেট হিসেবে আছেন টাঙ্গাইলের হোসাইন মো. সাব্বির।

চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রয়েছেন নওগাঁর শাহিদুজ্জামান এ এস এম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন খুলনার ইসলাম মো. তৌফিকুল, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নেত্রকোণার উদ্দিন মো. রোকন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের আহমেদ তানভীর, ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে আছেন লক্ষ্মীপুরের থান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে আছেন উল্লাহ ইব্রাহিম খলিল, এবিল সি-ম্যান (নাবিক) হিসেবে আছেন নোয়াখালীর হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল, চট্টগ্রামের রহমান মো. আসিফুর, চট্টগ্রামের হোসাইন মো. সাজ্জাদ, অর্ডিনারি সি-ম্যান (সাধারণ নাবিক) হিসেবে আছেন নাটোরের মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল, ওয়লার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের হক আইনুল, চট্টগ্রামের শামসুদ্দিন মোহাম্মদ, বরিশালের হোসাইন মো. আলী।

এছাড়া ফায়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের উদ্দিন মোহাম্মদ নূর এবং ফাইটার হিসেবে আছেন নোয়াখালীর আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ।

এদিকে, জিম্মি এক নাবিক জানিয়েছেন, জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নেয়া হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার উপকূল থেকে জাহাজটি ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।

জাহাজে থাকা ওই নাবিক আরও জানান, প্রায় শতাধিক সশস্ত্র জলদস্যু দ্রুতগতির ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে এম ভি আবদুল্লাহকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা জাহাজে উঠে এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি বলে জানান ওই নাবিক।

জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি নাবিকদের একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদকে দিয়ে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেনি বলেও জানান জিম্মি ওই নাবিক।

এ বিষয়ে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাহাজটি আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন।

ঘটনাটি জানার পর নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান ওই শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে যোগাযোগ না করেই কীভাবে  নাবিকদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।

গোল্ডেন হক নামের জাহাজটি কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশনের বহরে যুক্ত হওয়ার পরে এর নাম হয় এম ভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি ১৯০ মিটার লম্বা এই জাহাজটি গত বছর এসআর শিপিংয়ের বহরে যুক্ত হয়। এরপর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং ২০০৪ সালে তাদের প্রথম জাহাজ কেনে। এমভি ফাতেমা জাহান ছিল তাদের প্রথম জাহাজ। দেশে এখন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ৫২। এগুলোর মধ্যে ২৩টি কেএসআরএম গ্রুপের। আর এক দশকেই সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে জাহাজ পরিচালনা ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্রুপটি। কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কেএসআরএম।

এদিকে, ভারত মহাসাগরে কয়েক দশক ধরে বেশ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এ কারণে এ জলপথ ব্যবহার করে পরিচালিত পণ্য পরিবহন ব্যবসা হুমকির মুখে পড়েছে। তবে জলদস্যুদের কাছে বিষয়টি যতটা না ছিনতাই, তার চেয়ে বড় ধরনের আয়ের উৎস হিসেবে বিষয়টিকে দেখছে তারা। বিভিন্ন সময় দস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিকেরা এমনটাই জানিয়েছে।

এর আগে, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৬ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মনি। তিন মাস পর মুক্ত হয়ে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ওমানের সালালা বন্দরে যায়। একটি ছোট উড়োজাহাজে করে সোমালিয়ার জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছে দেয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর তা টেলিফোনে জানান জাহাজটির ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফরিদ।


আরও খবর



‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতলেন চেক রিপাবলিকের ক্রিস্টিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পালা শেষে জানা গেল মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৪-এর বিজয়ীর নাম। ৭১তম মিস ওয়ার্ল্ডর খেতাব জয় করলেন চেক রিপাবলিকের ক্রিস্টিনা পিসকোভা।

দীর্ঘ ২৮ বছর বিরতির পর ভারতে অনুষ্ঠিত হয় মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৪ প্রতিযোগিতা। শনিবার (৯ মার্চ) মুম্বাইয়ে দেশটির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফাইনাল রাউন্ডের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সেখানে এবারের মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ী পিসকোভাকে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিজয়ী পোল্যান্ডের করোলিনা বিয়েলস্কা। আর প্রথম রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন লেবাননের ইয়াসমিনা জায়তুন।

ক্রিস্টিনা পিসকোভা চেক রিপাবলিকের বাসিন্দা। ২৫ বছর বয়সী পিসকোভা পেশায় একজন মডেল। এর আগে তিনি মিস চেক রিপাবলিকের খেতাব জয় করেছেন।

এবার ২৮ বছর পর আবার ভারতে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১৫টি দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন প্রযোজক করণ জোহার ও সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড মেগান ইয়ং।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের প্যানেল ছিলেন ১২ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন কৃতী শ্যানন, পূজা হেগড়ের মতো নামী বলিউড অভিনেত্রীরা। এছাড়াও ছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশনের সিইও জুলিয়া এলভিন মর্লি, সমাজকর্মী অমৃতা ফাদনবিস, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা, হরভজন সিং, রজন শর্মা, জামিল সইদ, বিনিত জৈন। আরও ছিলেন ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড মানুষী ছিল্লার।

এবারের মিস ইন্ডিয়া বিজয়ী সিনি শেট্টি মিস ওয়ার্ল্ডের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি শীর্ষ ৮- এ জায়গা করে নেন। এই আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন শাম্মী ইসলাম নীলা।


আরও খবর