আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী চিড়িয়াখানার কুমির

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কোস্টারিকার একটি চিড়িয়াখানায় একটি কুমিরের পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমিরটি একটি ভ্রূণ তৈরি করেছে যেটির তার সাথে জিনগত মিল ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

পাখি, মাছ এবং অন্যান্য সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে তথাকথিত কুমারী জন্ম এর ঘটনার কথা শোনা গেছে, তবে কুমিরের মধ্যে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশিষ্ট্যটি একটি বিবর্তনীয় পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া হতে পারে। ফলে ডাইনোসররাও স্ব-প্রজনন করতে সক্ষম হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পার্ক রেপ্টিলানিয়ায় ১৮ বছর বয়সী নারী আমেরিকান কুমিরটি ডিম পাড়ে। ভিতরের ভ্রূণটি সম্পূর্ণরূপে গঠিত হলেও, সেটি মৃত হওয়ায় শেষমেশ ডিম ফোটেনি। সেই কুমিরটিকে দুই বছর বয়স থেকে অন্যান্য কুমির থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এই কারণে, পার্কের বৈজ্ঞানিক দল ভার্জিনিয়া পলিটেকনিকের একটি মার্কিন দলের সাথে যোগাযোগ করে যারা কুমারী জন্ম বা পার্থেনোজেনেসিসে বিশেষজ্ঞ। তারা ভ্রূণটি বিশ্লেষণ করে দেখেন যে জেনেটিকভাবে মায়ের সাথে এটির ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশের বেশি মিল রয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে এর কোন পিতা নেই।

রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল বায়োলজি লেটার্স-এ গবেষকরা বলেছেন, কুমিরের মধ্যে কুমারী জন্ম বেশি হতে পারে এবং এটি এখন পর্যন্ত অলক্ষিত রয়েছে কারণ লোকেরা এগুলোর উদাহরণ খুঁজছে না।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাপত্রে বলেছেন, বন্দী সরীসৃপদের জন্য সঙ্গীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্নতার সময়কালে ডিম দেয়া অস্বাভাবিক নয়, এগুলো সাধারণত অকার্যকর এবং বাতিল বলে বিবেচিত হবে। এই ফলাফলগুলো তাই পরামর্শ দেয় যে, যখন পুরুষ অনুপস্থিত থাকে তখন ডিমগুলো সম্ভাব্য কার্যকারিতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিত।

অধিকন্তু, সম্ভাব্য সঙ্গীর উপস্থিতিতে (কুমারী জন্ম) ঘটতে পারে, পুরুষের সাথে সহবাস করা মহিলাদের মধ্যে প্রজনন ঘটলে এর উদাহরণগুলো অলক্ষ্যে থেকে যেতে পারে। বিভিন্ন প্রজাতিতে কেনও পার্থেনোজেনেসিস ঘটে তা স্পষ্ট নয়, তবে বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে এখন এ ধরণের ঘটনা প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, সম্ভবত গবেষকরা এখন এটি খুঁজছেন বলে। একটি তত্ত্ব বলে, যখন একটি প্রজাতির সদস্যের সংখ্যা হ্রাস পায় এবং তারা বিলুপ্তির পথে চলে যায় তখন তাদের মধ্যে পার্থেনোজেনেসিস হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নতুন প্রমাণটি কুমিরের বিলুপ্ত আত্মীয়, বিশেষ করে ডাইনোসরের সম্ভাব্য প্রজনন ক্ষমতা সম্পর্কে লোভনীয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

নিউজ ট্যাগ: চিড়িয়াখানা

আরও খবর



ট্রেনে ঈদযাত্রা: ঘণ্টা না পেরোতেই শেষ ১৪ হাজার টিকিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সূচি অনুযায়ী শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি, যেখানে আগামী ৮ এপ্রিলের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট। বিক্রি শুরুর পর ঘণ্টা না পেরোতেই শেষ হয়ে গেছে ১৪ হাজার টিকিট।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ ডটকমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন আগামী ৮ এপ্রিলের জন্য পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে সকাল ৮ থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রথম আধা ঘণ্টাতেই হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ। একেকটি টিকিটের জন্য গড়ে ৮০৫ জন যাত্রী চেষ্টা করছেন।

এ বছর ঢাকা থেকে ঈদযাত্রার উদ্দেশে ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের রেলের টিকিট বিক্রি। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে।

এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) আগামী ৮ এপ্রিলের ঈদযাত্রার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে; আগামীকাল (৩০ মার্চ) পাওয়া যাবে ৯ এপ্রিলের টিকিট।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে তারা অপহৃত হন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রৈক্ষং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।

অপহরণ হওয়া শাকিলের বাবা লেদু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে শাকিল গরু চরাতে যায় হোয়াইক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে। দুপুরে অপহরণকারী আমাকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি গরিব মানুষ মাটি কেটে সংসার চালাই। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। আমার ভাই ফরিদ আলমও অপহরণের শিকার। প্রশাসনের কাছে ভাই ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানাই। 

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, তিনি মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়টি জানেন না।

এর আগে ২১ মার্চ ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন পাঁচ কৃষক। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

জানা যায়, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।

নিউজ ট্যাগ: টেকনাফ

আরও খবর



হারের খুব কাছে থেকে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে হারের খুব কাছে থেকে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। লংকানদের দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। জিততে হলে বাংলাদেশের এখনও ২৪৩ রান করতে হবে। শ্রীলংকার চাই ৩ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দলীয় দশম ওভারে ২৪ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় বোল্ড হন প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাকির হাসান (১৯)। এরপর লাহিরু কুমারা বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২০)।

মুমিনুল হক হাফসেঞ্চুরি করে আর টিকতে পারেননি। ৫৬ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় দ্রুত ৫০ করে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তারা পঞ্চম উইকেটে ৯৯ বলে ৬১ রান তোলেন।

তবে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাকিব। এরপর লিটনও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। কুমারার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৭২ বলে ৩৮ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তরুণ শাহাদাত হোসেন ১৫ রান করে কামিন্দুরি বলে আউট হন।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৯ বলে ৭টি চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তাইজুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

শ্রীলংকার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন লাহিরু কুমারা, জয়সুরিয়া ও মেন্ডিস।

এর আগে শ্রীলংকা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে জিততে হলে বাংলাদেশকে ৫১১ রান করতে হবে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিফটি করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দিনের শুরুতে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। ম্যাথিউস ৭৪ বলে ৫টি চারে ৫৬ রান করেছেন।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলংকা। তাতে গতকালই লংকানদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৪৫৫ রান।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটিংয়ে নিজেদের হতশ্রী অবস্থা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার করা ৫৩১ রানের জবাবে মাত্র ১৭৮ রানে হয়েছে অলআউট।


আরও খবর