আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়রের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নিতে মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা, মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব।

মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর বিকালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

সদ্য পদত্যাগকৃত মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিক তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। পরে বিকাল ৩টার দিক মেয়র পদ শূন্য ঘোষণার প্রজ্ঞাপন হাতে পান।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি বিধায় মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর



যেখানে বেগুনের কেজি এক টাকা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রংপুরের পীরগাছায় বেগুন এক টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। তাই তোলার খরচ না ওঠায় ক্ষেতেই পঁচে যাচ্ছে কষ্টের ওই ফসল।

তবে কৃষক নেতারা জানান, রাজধানীতে বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা হলেও মধ্যসত্বভোগীর লোভের কারণেই নিঃস্ব হচ্ছেন চাষিরা। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার দাবি করেন তারা।

রংপুরের পীরগাছার কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, ২০ শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন বেগুন। এতে খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। শুরুতে কিছুটা দাম থাকায় ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে এখন ক্রেতা না থাকায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে কষ্টের ফসল। বেগুন বাজারে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা বস্তা অথবা এক টাকা কেজি দাম বলে। তাই এখন ক্ষেতেই বেগুন থাকছে। মাঝে মাঝে কিছু বেগুন তুলে গরুকে খাওয়াই নিজে খাই।

গ্রামটির অন্য চাষিরাও বলে একই কথা। তারা জানান, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে এক টাকায়। ক্ষেত থেকে তোলার খরচ না ওঠায় গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছেন ওই সবজি।

এ বিষয়ে রংপুর জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, প্রান্তিক গরিব কৃষক যখন উৎপাদন করেন; তবে সরাসরি তারা বাজারে বিক্রি করতে পারেন না। প্রতিটি শহরে কৃষকের বাজার ব্যবস্থা যদি প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাহলে একদিকে ভোক্তারা যেমন লাভবান হবেন; তেমনি কৃষকরাও লাভবান হবেন।

কৃষক সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজধানীতে বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা হলেও মধ্যসত্বভোগীর লোভের কারণে মাঠের কৃষক পাচ্ছেন মাত্র এক টাকা। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় নিঃস্ব হচ্ছেন চাষিরা।

ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না করলে চাষিরা উৎপাদনে আগ্রহ হারাবেন বলেও মনে করছেন কৃষক নেতারা।


আরও খবর



ব্রয়লারের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৪০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ঈদের আরেক প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পোলাওয়ের চাল। রমজান মাসের শুরু থেকে ১-২ টাকা করে বেড়ে এখন খোলা চিনিগুড়া ১২৫ থেকে মানভেদে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চাল ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ওদিকে পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৩০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি বিক্রি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ৯৬৭৩৬

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদ রয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে এনটিআরসিএর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টায় এনটিআরসিএ ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ওইদিন থেকেই প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনকারীর যোগ্যতা গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদে আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী এনটিআরসিএর নিবন্ধন সনদধারী হতে হবে। ৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন এবং ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। আবেদনের জন্য সর্বস্তরের প্রার্থীকে এক হাজার টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদন বাতিল বলে বিবেচিত হবে।

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ৩৫ বছর বা তার চেয়ে কম হতে হবে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়েছে, তারা কোনোভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।

কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন। তাহলে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবচেনা করা হবে। এমপিওভুক্ত প্রার্থীর এক পর্যায়ের (স্কুল বা কলেজ) একাধিক নিবন্ধন সনদ থাকলে ওই প্রার্থী একই পর্যায়ে আবেদন করতে পারবেন না।

সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) পদে চাকরিপ্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সেই ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে তা বাতিল করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া, ফি পরিশোধসহ বিস্তারিত নিয়মাবলী গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির যেকোনো শর্ত এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ যেকোনো সময় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন এবং স্থগিত করতে পারবে। একইসঙ্গে মামলা বা আইনগত অন্য কোনো জটিলতার কারণে অনলাইনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হলে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: এনটিআরসিএ

আরও খবর



আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর