আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত সিইসির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন। দলটির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর ওপর সবার একটা আস্থা আছে। আপনারা সেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন- এর আগে সংলাপে প্রায় সবকটি দল একই কথা বলেছে। আমরা লক্ষ করেছি- সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য। তারা (সেনাসদস্যরা) দায়িত্ব পালন করলে সেটার ইতিবাচক দিক থাকবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠকে দলটির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আগামী নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনসহ ১২ দফা দাবি দলটির পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে।

বৈঠকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের সময় একটা সরকার থাকবে। অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকেন- সরকার নিরপেক্ষ থাকবে কিনা। সাংবিধানিকভাবেই সরকার নিরপেক্ষ থাকতে এবং নির্বাচনে সহায়তা করতে বাধ্য। তাই নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা সরকারের ওপর নির্ভর করবে। সরকারের যে সহায়তা, তার ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে। সরকার বলতে আমরা বুঝি- জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন। ভোটে লার্জলি (বড় পরিসরে) ডিপেন্ড (নির্ভর) করতে হবে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) বলব- এটা একটা খেলা। যদি আপনারা ঠিকমতো না খেলেন (ইটস এ গেম। ইফ ইউ ডু নট প্লে ওয়েল), তাহলে জেতার প্রত্যাশা করবেন না। আপনাদের সবাইকে বলছি- যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দিতে হবে। আপনাদের পক্ষ থেকে সহায়তা লাগবে। কারণ রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা বেশি। কী করে রাজনীতির মাঠে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হয়, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে আচরণ করতে হয়, সেই অভিজ্ঞতা আছে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি ঠিকভাবে এজেন্ট নিয়োগ দিতে পারেন, এজেন্ট যদি সাহসী ও অনুগত হয়, যদি তিনি শক্ত হয়ে দাঁড়ান, তাহলে আরেকজনের পক্ষে আপনার বিপক্ষে অনাচার ও কারচুপি করা কঠিন। তিনি বলেন, আমি কিন্তু ওখানে (ভোটকেন্দ্রে) পাহারা দিতে পারব না। ৪২ হাজার কেন্দ্রে তিন লাখ বুথে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। এটা ফেরেশতারা পারে। আমরাও পারব না।

বৈঠকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব বলেন, এ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এক হাজার ৩০০-এর বেশি নির্বাচন করেছে। নির্বাচনি অরাজকতায় একজনও মারা যায়নি। দু-একটি ছোট ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, ইসিতে যারাই আসেন দেশি হোক বিদেশি তাদের জিজ্ঞাসা করি- আমরা আর কী কী করলে এর থেকে ভালো নির্বাচন করতে পারতাম- কিন্তু তারা বলতে পারেন না। এটাই আমাকে শান্তি দেয়। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ ইমান, বিবেক ও আইনের সঙ্গে থেকে কাজ করব।

বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে দলগুলো অংশ নেবে- তাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে প্রধান বাধা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন- এসব নিয়ন্ত্রণে ইসির ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন- প্রথম হলো আইন ও সংবিধানের আলোকে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কমিশন সেই ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করবে। ক্ষমতা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে।

এদিকে বৈঠকের বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, দেশের জনগণ যাতে নির্বাচনমুখী হয়, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে পারে,  ফলাফল মেনে নিতে পারে- সেই ধরনের নির্বাচন প্রত্যাশিত।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা সংবিধান কাউকে দেয়নি। যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, সেই অধিকার আছে। কিন্তু কেউ কাউকে বাধা দিতে পারে না। সে অধিকার জনগণ কাউকে দেয়নি। যারা প্রতিহত করবে তারা কিন্তু সংবিধান লংঘন করবে, আইন লংঘন করবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কারও ছত্রছায়ায় আমরা নির্বাচন করছি না। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের থাকবে। সেভাবে আমরা কাজ শুরু করেছি। সময় বলে দেবে ভবিষ্যতে কী হবে।


আরও খবর



গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি।

যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি শুক্রবার বলেন, আমরা নিজেদের রক্ষা করা থেকে কখনও বিরত থাকব না। হেগ আদালতের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি পদক্ষেপের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।’


আরও খবর



তাপদাহের প্রভাব সবজির বাজারে, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আগে যেটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হতো সেটি আজকের বাজারে ৭০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি আমদানি করা এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল।

এ ছাড়া স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। প্রতি কেজি সজনে ডাটা ১৪৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে, বরবটি, করলা, কাকরোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে পটল ও ঢেঁড়স ছাড়া ৮০ টাকার নিচে ঢাকার বাজারে কোনো সবজি নেই।

তবে বাজারে গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শুধুমাত্র পেঁপেই সারাবছর কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখি পেঁপের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। অথচ, গত সপ্তাহে বাড়তি দামের মধ্যেও ৫০ টাকায় পেঁপে কিনেছিলাম। দেশে কি পেঁপের আকাল পড়েছে?

বিক্রেতারা বলছেন, গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির কারণে কারওয়ান বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। তার আগে প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে রোজার ঈদের পর থেকেই সবজির বাজার চড়া।


আরও খবর



নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরস্থিতি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের।  কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে অক্সফোর্ডঅ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে, এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

তেমনই একজন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। এ নিয়ে মামলা করেন তিনি।  একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এরপরই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।


আরও খবর



আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রায় সময়ই কেউ বোকামি করলেই আমরা তাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করি। আবার ভুল করলেও তুলনা এই প্রাণীটির সঙ্গেই আমরা হরহামেশাই করে থাকি। পরিশ্রমী এই প্রাণীটি আসলেই বোকা নাকি উপকারী সে কথা আজ নাই বলি। আজকের দিনটি গাধাকে সম্মান জানানো, ভালোবাসার। কারণ আজ ৮ মে গাধা দিবস।

২০১৮ সালে প্রথম এই দিবস পালিত হয় বিশ্বব্যাপি। এই দিবসের শুরু করেন বিজ্ঞানী ও মরুভূমির প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো গাধাকে নিয়ে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং তারা কীভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে তা তুলে ধরা। গাধা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। তারপরেও কোনো স্বীকৃতি নেই এই প্রাণীটির। এই ভাবনা থেকেই ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে আর্ক প্রচারণা চালান। অনেকেই সাড়া দেন আর শুরু হয় গাধা দিবস।

বিগত কয়েক শতাব্দীতে গাধা মানুষের জীবনের একটি অংশ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পণ্য পরিবহণে মানুষকে সাহায্য করে এসেছে, এমনকি তারা যুদ্ধেও ভূমিকা রেখেছে। তবে সময়ের সঙ্গে বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত এই প্রাণীটি। বাংলাদেশের সরকারি হিসাব বলছে দেশে কোনো গাধা নেই।

এক সংবাদমাধ্যমে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রশাসন ডা. পল্লব কুমার দত্ত বলেন, চিড়িয়াখানা ছাড়া দেশে কোনো গাধা নেই। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশে ভেড়া, গরু, ছাগল, মহিষসহ হাঁস-মুরগির সংখ্যা বাড়ছে। প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। 

পরিশ্রমী এবং উপকারী প্রাণী গাধাকে সম্মান দেখিয়ে আজকের বিশ্ব গাধা দিবস পালন করতে পারেন। গাধার ইতিহাস এবং আমাদের সমাজে এর ভূমিকা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এই শক্তিশালী প্রাণী সম্পর্কে কিছু লেখা করতে পারেন আজ। গাধা সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন বই পড়তে পারেন অথবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেও জানতে পারেন বহু চমকপ্রদ তথ্য।

এ ছাড়া গাধার তত্ত্বাবধানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করতে পারেন, যা এই প্রাণীটির যত্নে সহায়তা করে। অনেক সংস্থা ও এনজিও গাধার খাদ্য ও পরিচর্যা করে থাকে। তাদের অর্থ সাহায্যের প্রয়োজন হয়

নিউজ ট্যাগ: বিশ্ব গাধা দিবস

আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। চট্টগ্রাম জেলা এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর দুটি ইউনিট চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। এসময় বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ৩ জন চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ৪টি গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা। অন্য একটি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০০৩২ গাড়িকে জব্দ করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী। এ সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ ও বিআরটিএ চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন দুজন চালকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।এতে ফিটনেসবিহীন ৩টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৪টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজিস্ট্রেশনবিহীন তিনটি ট্রাক ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বৃহৎ দুই মহাসড়কে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিআরটিএ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর