আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সংসদ নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আবদুল হামিদের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের। সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের শেষ দিকে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেই আগামী বছরের এপ্রিলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করতে যাচ্ছেন আবদুল হামিদ। প্রসঙ্গত, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আবদুল হামিদের আবারও রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধানের ৫০ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, একাধিক্রমে হউক না হউকদুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতি পদে কোনো ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না। ফলে সংসদ নির্বাচনের বেশ কয়েক মাস আগেই, অর্থাৎ আগামী বছরের ২৪ এপ্রিলের মধ্যেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নতুন কারো শপথ নেওয়ার কথা। পরবর্তী রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। ফলে আগামী বছরের শুরুতেই সবার দৃষ্টি থাকবে ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে। যদিও পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নিয়ে এখনই রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

আবদুল হামিদই একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি এই দেশে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি পদে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো ব্যত্যয় না ঘটলে এবং দ্বিতীয় মেয়াদের পুরোটা পার করতে পারলে আবদুল হামিদই হবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সে হিসাবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। তবে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন কেবল আবদুল হামিদই। সংবিধানে সর্বোচ্চ দুই বার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ থাকায় এটাই তার শেষ মেয়াদ।

এক নজরে আবদুল হামিদ: এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম ও প্রথম মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন আবদুল হামিদ। মরহুম রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তখন স্পিকার আবদুল হামিদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় মেয়াদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরার পর শুধু ১৯৯১ সালেই রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হয়েছিল। এরপর সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

পেশায় আইনজীবী আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ থেকে সাত বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ারও রেকর্ড গড়েছিলেন। স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন দুই দফা। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সালে, ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্য দিয়ে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তাকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, যেটি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসন। এছাড়া দীর্ঘ ৩৭ বছর কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে তার ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।

আবদুল হামিদ সপ্তম জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ১৩ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১০ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ১২ জুলাই ২০০১ থেকে ২৮ অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি ২০০১ সালের ১ নভেম্বর থেকে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মত স্পিকার হন। আবদুল হামিদ তিন পুত্র ও এক কন্যার জনক। বিভিন্ন দেশের সংবিধান ও ইতিহাসগ্রন্থ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সংকলিত পুস্তক পাঠ করা তার শখ।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জে পৌরসভার কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের আধিপত্য বিস্তার ও জোড়পূর্বক বাড়িঘর দখলের অভিযোগ এনে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেছে হাটলক্ষীগঞ্জের এলাকাবাসী।

গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকাবাসীর আয়োজনে মুন্সিগঞ্জ শহরের প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

মানববন্ধনে বক্তৃতা বলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মকবুল হোসেন ও তার ভাই মনির, আনোয়ার, দেলোয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন, অত্যাচার ও জোড়পূর্বক বাড়িঘর দোকান ও জমি দখল করে আসছে।

এলাকার নিরিহ মানুষ তাদের জিম্মি থেকে বাঁচতে এবং অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধের দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা।

মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিউদ্দিন শেখ, মুন্সিগঞ্জ ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো: সোহেল, মোঃ শাহ আলম, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমীক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক ইসলাম, মনির হোসেনসহ হাটলক্ষীগঞ্জের এলাকার শতাধিক জন নারীপুরুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

এই বিষয়ে জানতে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন জানান, এই অভিযোগ মিথ্যে এইরকম ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।


আরও খবর



বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল তেঁতুলতলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বিল্লাল হোসেন রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকার আলী আহমদের ছেলে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আহত বিল্লাল হোসেন চোরাই মাল নামানোর কাজের শ্রমিক। ভারত থেকে অবৈধপথে আসা চিনি ও অন্যান্য পণ্য ওঠা-নামার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। সোমবার রাত ৮টার দিকে তেঁতুলতলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে আসা চিনি নামানোর সময় বিএসএফের সদস্যরা গুলি চালায়। তাদের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হন বিল্লাল। তার শরীরে ৩০টির মতো ছররা গুলি লেগেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কামান্ডার ফারুক কামাল বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমরা এ বিষয়ে কোনো তথ্য বা বক্তব্য দিতে পারব না।

কুমিল্লা বিজিবির সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ না করায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূলে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আগামীতে আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, নিজেদের কৌশল অবলম্বন করে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা সাইবার হামলার চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের নিজস্ব কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রুমা থেকে অক্ষত অবস্থায় ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরি পথে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র‌্যাব। একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র‌্যাব তাকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ড লাইনে যাইনি। তবে আজকে থেকে আমরা সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করব বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায়।

তিনি বলেন, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরও বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না, সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




গরম বাড়ছে, সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাড়ছে তাপমাত্রা। এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। গরমে একটু অসতর্ক হলেই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই এসময় নিজের প্রতি থাকতে হবে বাড়তি যত্নশীল। গরমের তীব্রতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ। প্রতিদিনের সেসব ছোট ছোট কাজের দিকে খেয়াল রাখলেই সুস্থ থাকা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন-

পর্যাপ্ত পানি পান করুন : তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরে একটি শুষ্ক প্রভাব ফেলে, যা শরীরের তাপমাত্রায় ডিহাইড্রেশন এবং ব্যাঘাত ঘটায়। তাই পানির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে আপনার প্রতিদিনের তালিকায় আরও পানি যোগ করুন। মনে রাখবেন, মাত্র ৪% পানির ক্ষয় ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং ১৫% হলে, এটি মারাত্মক হতে পারে।

মৌসুমী খাবার খান : সাধারণত বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর শরীর বজায় রাখতে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার যোগ করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের এই সময়ে এই জাতীয় খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এগুলো হজম হতে সময় নেয়। গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যকর হজম বাড়াতে এবং অন্ত্রের সমস্যা, বদহজম, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি এড়াতে মৌসুমী খাবার, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার এবং তাজা শাক-সবজি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় সঙ্গে রাখুন : গ্রীষ্মের অসহনীয় তাপেও কিন্তু কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই সারাদিন সতেজ থাকার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর মতে, বাতাসে তাপ ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বৃদ্ধি করে, যা খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞরা হালকা এবং শীতল খাবার, আস্ত ফল এবং সাইট্রাস পানীয় সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন। এই খাবার এবং পানীয়গুলো প্রচণ্ড গরমেও আপনার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

টাটকা রান্না করা খাবার খান : আগেই বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের মৌসুমে খাদ্য দূষণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন তাটকা রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো খাবার প্যাক করার আগে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই করুন।


আরও খবর



বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিবসহ কয়েকজন।

সূত্র বলছে, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে যান সংবাদকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও বক্তব্যের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার নক দেবার পর মাসুদ রানা দরজা খুললে ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোশাররফ সহ কয়েকজনকে দেখতে পান সংবাদকর্মীরা।

এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখা যায় এবং এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক সেখানে হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সাথে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে সন্দেজনক মনে করে পুলিশকে জানালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় দুদকও তদন্ত শুরু করেছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুনামগঞ্জের হাওড়ে বাধ নির্মাণকাজে দুর্নীতির দায়ে বার বার প্রত্যাহার হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা ও এসডি মোশাররফের সহযোগিতায় ডিপিএম ও আরএফকিউ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাত করা হয়েছে। রাফি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার এবং ঠিকাদার কনকের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এসব তদন্তে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, দুই কর্মকর্তাকে আটক করাসহ টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত টাকা দুদকের কর্মকর্তারা গণনা করছেন। টাকার উৎস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর