প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান
পাকিস্তান (টিটিপি) এবং এর সহযোগী জামাত-উল-আহরার (জেইউএ)-এর প্রস্তুত করা নতুন তালিকায়
আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন।
ডানপন্থী ধর্মীয়-রাজনৈতিক দল জামায়াতে
ইসলামীর প্রধান সিরাজুল হক বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আত্মঘাতী বোমা
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার একদিন পরেই এটি তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন<< সুইজারল্যান্ডে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং
পিএমএল-এন সিনিয়র সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজের নাম সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপি ও জেইউএ-এর
‘হিট লিস্টে’ রয়েছে। এই দু’টি সংগঠন সশস্ত্র
বাহিনীর নেতা, গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
এমনকি সিনিয়র রাজনীতিবিদদের টার্গেট করা
ছাড়াও দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চেকপোস্টগুলোতে ধারাবাহিক
হামলার পরিকল্পনা করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন টিটিপি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, একটি
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইতোমধ্যেই জেইউএ নেতা রফিউল্লাহর তত্ত্বাবধানে পাঞ্জাবে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন<< সুদানে ৭ দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির
প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর দেশব্যাপী দাঙ্গা-সহিংসতায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের
প্রতি সমর্থন ঘোষণার পাশাপাশি তাদের প্রশংসা করেছেন টিটিপি কমান্ডার সর্বকাফ মোহমান্দ।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অবশ্য পাকিস্তানে
সন্ত্রাসবাদের ঘটনা বেড়েছে। তবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের পরাজিত
করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন<< পশ্চিমা দেশগুলো ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে: রাশিয়া
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি
স্টাডিজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে জঙ্গি হামলা এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী
অভিযানে ৮৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন। ২০২২ সালের একই সময়সীমায় এই পরিসংখ্যান
ছিল চলতি বছরের মোট নিহত বা আহত মানুষের সংখ্যার অর্ধেক।