আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সৈকতে ভেসে এলো আরেকটি তিমির মরদেহ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে আরও একটি মৃত তিমি। শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন এ মৃত তিমিটি দেখতে পান।

এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজারের রামুর হিমছড়ি পয়েন্টে সাগরের জোয়ারের পানি নেমে গেলে একইস্থানে প্রায় ৪৪ ফুট লম্বা বিশালাকার তিমিটি দেখতে পান স্থানীয়রা। যে তিমিটির ওজন আড়াই টনের বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে শুক্রবার রাতেই মৃত নীল তিমিটি বালুচরেই মাটি চাপা হয়েছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা জানান, শুক্রবার ভেসে আসা তিমিটি বিশাল আকৃতির হওয়াতে অনেক চেষ্টার পরও এটি বেশি দূর তুলে আনা সম্ভব হয়নি।

যেহেতু দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল সে কারণে নিরুপায় হয়ে নমুনা সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বালুচরেই এটি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এ কাজ শেষ করতে রাত প্রায় দু্ইটা বেজে যায়। কিন্তু এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ভেসে এলো আরেকটি বিশালাকার মরা তিমি। যোগ করেন  তিনি।

এ তিমিটিও একইভাবে মাটি চাপা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ইউএনও প্রণয় চাকমা।

বাংলাদেশ ফিসারিজ রিচার্স ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গবেষক মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, শুক্রবার ভেসে আসা নীল তিমিটি ব্রাইটস হোয়েল প্রজাতির (Bryde's Whale) বলে মনে হচ্ছে। এটি বেশ প্রাপ্ত বয়স্ক। মরা তিমিটির শরীর থেকে হাড় বের হয়ে গেছে। পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এটি ১০ থেকে ১৫ দিন আগে মারা গেছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

একইভাবে শনিবার ভেসে আসা তিমিটিও দেখতে একই রকম এবং একই প্রজাতির হতে পারে।

বার্ধক্যজনিত কারণে তিমিটি মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর



যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোটা দেশ গিলে খাবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব গিলে খাবে, গণতন্ত্র গিলে খাবে, মানুষের নিরাপত্তা গিলে খাবে, গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মতিঝিল টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন গলার জোড় আর মুখের বিষ ছাড়া শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। শক্তি যখন কমে যায় তখন মুখের বিষ বেড়ে যায়। শক্তি কমে গেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথা ব্যথার কারণ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা নিরাপদ থাকবে এই কথা আমি গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে চাই।

তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে উঠে পত্রিকায় তাকালেই দেখি মির্জা ফখরুল বলছেন দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে, কোথায়? বাংলাদেশের একটা লোক না খেয়ে মরেছে? সংকট আছে, কষ্ট আছে। দুনিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভাল আছি, আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের সংকট কেটে যাবে আশা করি।

শেখ হাসিনা মানবিক নেত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কত মানবিক নেত্রী, যেখানে আওয়ামী লীগের মত বড় দলের বড় বড় পার্টি করার কথা। আমরা পার্টি করছি না, শেখ হাসিনা বলেছেন ইফতার গরিবের মাঝে বিতরণ করতে হবে। অথচ বিএনপি-জামায়াত এক সাথে ইফতার পার্টি করে, আওয়ামী লীগের গীবত গায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বালুবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মাহবুব হোসেন (৩৫) এক মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচবিবি  উপজেলার দানেজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার দানেজপুর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।

পাঁচবিবি থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মাহবুব হোসেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকার গরুর খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পথে একটি বালুবোঝাই ট্রাক্টর মোটরসাইকেলেটিকে সামনের থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৭ এপ্রিল) ভোরের এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ইরানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা করছে ইসরায়েল।

লেবাননের পূর্বে বালবেক অঞ্চলে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় বেকা উপত্যকার দু’টি এলাকা, জান্তা এবং সিফ্রি লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।’

জান্তা সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি শুষ্ক, পার্বত্য অঞ্চল এবং সিফ্রি বেকা উপত্যকার কেন্দ্রে রয়েছে। লেবাননের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, রবিবার ভোরে ইসরায়েল পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির দু’টি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। লেবাননে একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরে গাজা যুদ্ধের শুরু থকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় করেছে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে, ইসরায়েল লেবাননের ভূখণ্ডের গভীরে গিয়ে ইসলামি গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।

শনিবার সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহ লেবাননের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৪৫০ ড্রোন ভূপাতিত করার ঘোষণা দেওয়ার পরে পূর্ব লেবাননে সর্বশেষ এই হামলা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে লেবানিজ আকাশসীমায় পরিচালিত একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল’। এটি ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়। এটি লেবানন ভূখণ্ডে পতিত হয়।

শুক্রবার একটি টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, তার আন্দোলন এখনও তার প্রধান’ অস্ত্র ব্যবহার করেনি এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, গাজার যুদ্ধ শেষ হলেই হিজবুল্লাহ তাদের আক্রমণ বন্ধ করবে।

এএফপির তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধে লেবাননে কমপক্ষে ৩৪৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, তবে কমপক্ষে ৬৮ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

যুদ্ধ দক্ষিণ লেবানন এবং উত্তর ইসরায়েলে কয়েক হাজার লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের ১০ সৈন্য এবং আটজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।


আরও খবর