আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সোনারগাঁয়ে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী হত্যা, দুই আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরকিয়ার জেরে স্বামীর পরিকল্পনায় স্ত্রী হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গাড়ী উদ্ধার করে। রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো গোলাকান্দাইল এলাকার মৃত সামসুল ইসলামের ছেলে আরজু মিয়া (৩৫) ও মৃত নায়েব আলীর ছেলে গাড়ি চালক রাকিব হোসেন। এর আগে এ মামলার আরেক আসামি গোলাকান্দাইলের নেওয়াজ আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলাম রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের পর গাড়ি চালক মো রাজিব হোসেনের সনাক্তে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়ী উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, নিহত গৃহবধু মৌসুমীর সাথে রাসেলের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের এক ছেলের জন্ম হয়। দাম্পত্য জীবনে রাসেলের বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক হয়। এর প্রতিবাদ করায় রাসেল গত ১৯ এপ্রিল রাতে কৌশলে রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা শেষে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু গাড়ি চালক মো. রাজিব হোসেন ও পূর্ব পরিচিত আরজুদের সহযোগীতায় একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়িতে তুলে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের সিংলাবো এলাকায় লাশ ফেলে রাখে।

পরবর্তীতে ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক সাজানোর জন্য নিহত মৌসুমীর মৃতদেহ গাড়ি থেকে ফেলার আগে রাসেল ও তার সহযোগী আরজুকে দিয়ে আসামি শরিফুল ইসলাম রাসেল তার পিঠে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ডাকাতির নাটক সাজায়। জখম হওয়ার পর সে ভুলতা এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এ ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে নিহত মৌসুমী আক্তারের ভাই মোঃ শাহ জালাল বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানার মামলা দায়ের করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কান্তি দে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মৌসুমী আক্তার হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত সোমবার রাতে গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যকাণ্ডে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে।

নিউজ ট্যাগ: নারায়ণগঞ্জ

আরও খবর



বেইলি রোডে আগুন: কাচ্চি ভাইয়ের ব্যবস্থাপকসহ তিনজন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনায় চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার তাদের আটক করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাই নামে আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক মো. জিসান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবেন। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এই ঘটনায় যার যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকালের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছেন‌। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের লাশ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকী ছয়জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



ত্রিশালে মেয়র হিসাবে শামীমাকে পেতে চায় পৌরবাসী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ৯ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রথমবারের মতো এই পৌর এলাকার ভোটাররা ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট দিবেন। ত্রিশাল পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। নারী ও পুরুষ ভোটার মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৮২২।

ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে। কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ভোট সংগ্রহের চেষ্টা।পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থী ও কর্মীরা। পোস্টার, মাইকিং এবং বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থীরা দিচ্ছেন উন্নয়ন ও নানান ধরনের প্রতিশ্রুতি।

তবে প্রথমবারের মতো এই পৌরসভায় একজন নারী মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত হেভিওয়েট নারী প্রার্থী। নিবার্চনী মাঠে সর্বক্ষণিক বিচরণ করায় তিনি জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে নারী ভোটাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে তিনি ত্রিশাল পৌরসভার তিন তিন বারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র, সদ্য নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছের সহধর্মিণী হওয়ার কারণে সবাই তাকে মেয়র হিসেবে চাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে তার স্বামীর মতো পৌরসভাকে আরো উন্নত করবেন বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।

নেতাকর্মীরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৌর শহরের অলিগলিতে দল বেঁধে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনা করায় ভোটের ময়দানে শক্ত অবস্থানে আছেন বলে কর্মী সমর্থকদের দাবি।ভোটের দিন যেতই ঘনিয়ে আসছে শামিমার জনপ্রিয়তা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরেজমিনে নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের নিকট জানতে চাইলে ত্রিশাল পৌর সভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আনোয়ার হোসেন বলেন, এমপি আনিছুজ্জামানকে বিগত তিনবার মেয়র পদে ভোট দিয়েছিলাম। তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এখন তিনি এমপি হয়েছেন তাই তার স্ত্রী মেয়র হলে এই পৌরসভা একটি আলোকিত এবং সবেচেয়ে উন্নত পৌরসভা হিসেবে উন্নীত হবে বলে আমি বিশ্বস করি।

পৌরসভার ২ নম্বর ওর্য়াডে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুই নম্বর ওর্য়াডের অধিকাংশই ভোটার এমপির সহধর্মিনী শামীমা আক্তারের পক্ষে কাজ করছেন।

শরিফা বেগম নামের জনৈক ভোটার বলেন একজন নারী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেনে আমরা খুশি,তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

হান্নান মিয়া বলেন, আনিছ ভাই একটানা তিনবার পৌরসভার মেয়র ছিল। এখন তিনি পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য তার সহধর্মিণী মেয়র পদে প্রার্থী হন।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



নবাবগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মো. মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল (৪৬) ও মো. আইয়ুব (৩৮) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ((৭ মার্চ)) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর-রশিদ। এ ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল হোসেন আপেল গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ওসি মামুন অর-রশিদ জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা বাজারে দিয়া জুয়েলার্সের মালিক কৃষ্ণ সাহা গত বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে টিকরপুরের বাড়ি থেকে অটোরিক্সায় দোকানে যাচ্ছিলেন। আগলা পোস্ট অফিসের সামনে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতরা তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের সাওরাইল গ্রামের নির্জন খাদের কাছে কৃষ্ণ সাহাকে মারধর করে ২৫০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০০ ভরি রুপা ও নগদ টাকা লুট করে ডাকাতরা। সেখানেই তাঁকে ফেলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় মামলার পর অভিযানে নামে পুলিশ।

সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা সাত দিন ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লক্ষীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩৮৬ ভরি রুপা, একটি মাইক্রোবাস, দুটি অটোরিক্সাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে গ্রেপ্তারকৃত ১৩ জনের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মোজাম্মেল হোসেন আপেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২১ ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় ভরি রুপা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগি আইয়ুবকে।

ওসি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে।



নিউজ ট্যাগ: নবাবগঞ্জ

আরও খবর



বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তারের (১২) মৃত্যু হয়েছে। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর সেও মারা গেল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। মরদেহ নিয়ে আমি বাড়ি ফিরছি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয় এবং আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, মেয়ে সামিয়া, মেঝ মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েমের মৃত্যু হয় ও আহত সোনিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ান দস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন এমভি আব্দুল্লাহর ক্যাপ্টেন।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান গিয়েছিল। কিন্তু ওইদিন (১২ মার্চ) বিমানটি নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। মূলত এমভি আব্দুল্লাহ থেকে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি তাদের।

এরপর ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে গতকাল অবরুদ্ধ করে তাদের যুদ্ধজাহাজ। তখন নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে পারেনি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। ফলে ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজ।

বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে কেবিনে আটকে রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার।

জাহাজটি ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর