আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সোনারগাঁয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৪ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সোনারগাঁও প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানা পুলিশের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু ও পিরোজপুর এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে ডাকতদের আদালতে প্রেরণ করেন।

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এসআই সিরাজুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ও পিরোজপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ সময় বিভিন্ন পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে হাবিবুর রহমান হাবিব, মনিরুল ইসলাম মুন্না, সোহেল, মোঃআক্তার, প্রদীপ, সুজন, নুরুল হক ও আলী আজগর নামে ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ সময় তাদের থেকে সুইচ গিয়ার রামদা, ছোরা, লোহার রড, টর্চ লাইট, মুখোশ, মোবাইল ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।


আরও খবর



বগুড়ায় প্রায় ৬০ মেট্রিক টন মধু আহরণের লক্ষ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় তিন কোটি টাকার ৬২ মেট্রিকটন মধু উৎপাদন হয়েছে। তবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা মূলের ৬০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বগুড়া বেসরকারিভাবে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি রবি মৌসুমে সরিষা থেকে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করেছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে মধু উৎপাদনের লক্ষ্য থাকলেও কয়েক বছর তা বন্ধ আছে। এরপরেও বিসিক বগুড়া নানাভাবে মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোক্তদের সহযোগিতা করে আসছে।

এরমধ্যে অন্যতম হলো সরিষা থেকে সংগৃহীত মধু। এছাড়া লিচু ও কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করবেন মৌমাছি প্রতিপালনকারী উদ্যোক্তরা।

বিসিক সূত্রে আরও জানা গেছে, সরিষা ফুলে উৎপাদিত মধুর কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লিচুর মধু ৫০০ এবং কালোজিরা থেকে উৎপাদিত মধু বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি মধুর গড় দাম ৪শ টাকা ধরলে বগুড়ায় এ মৌসুমে উৎপাদিত মধুর মূল্য দাঁড়ায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া সূত্র বলছে, গত বছর রবি শস্য চাষ মৌসুমে সরিষার ফুল থেকে সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়। আর চলতি মৌসুমে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

মোট ১৪২ জন উদ্যোক্ততা বগুড়ার মাঠে থাকা সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহে তাদের প্রতিপালিত মৌমাছি নিয়ে কাজ করছেন।

মধু উৎপাদনকারী উদ্যোক্তরা বলছেন, সরিষা চাষ মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল থাকতে হয়। আগাম ও নাবী সরিষা চাষের ফলে প্রায় তিন মাস শুধু সরিষার ফুল থেকে সর্বাধিক পরিমাণ মধু সংগ্রহ হয়। সরিষার পর বরই, আম, লিচুর ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ হয়।

শীতকালে কালোজিরা, জ্যৈষ্ঠ মাসে তিল ও বাদাম ফুল থেকে শেষ মধু সংগ্রহ করা হয়। ৫০টি মৌবাক্স থেকে প্রায় ১১০ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। মধু সংগ্রহ করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। বছরের প্রায় ছমাস মধু সংগ্রহ করা গেলেও আষাঢ় থেকে অগ্রহায়ণ এই ছমাস মৌমাছিকে বিকল্প খাবার দিতে হয়।

দুই ভাগ চিনি ও এক ভাগ পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করে মৌমাছির বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। ফাউল ব্রুড রোগ মৌমাছির একটি মারাত্মক ব্যাধি। এছাড়াও আরও কিছু সংক্রামক রোগ ও উপদ্রবের কারণে মৌচাক নষ্ট হয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-সহকারি পরিচালক ফরিদুর রহমান বলেন, সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহ করতে জেলায় ১৪২ জন উদ্যোক্তা কাজ করছেন। গত বছর সাড়ে ১৭ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হলেও এবার ৩০ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের ফলে ফলনও বাড়ে।

বিসিক জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম মাহফুজুর রহমান বলেন, মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিসিক বগুড়া জেলা কার্যালয় নানাভাবে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে বাজারজাতকরণে বিসিকর খাঁটি মানের নিশ্চিয়তা ও বিভিন্ন মেলাতে স্টল বরাদ্দে ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও মধু চাষে মৌমাছি প্রতিপালন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মধু উৎপাদনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ আছে। তবে খুব দ্রুতই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে আবারও সরকারিভাবে মধু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



কক্সবাজারে নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় রিনা আক্তার (৪০) নামে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানি বলেন, তিনি তারাবি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ খাটের উপর পড়ে আছে। এসময় বাড়িতে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও বাড়ির কেয়ারটেকার এবং দোতলার আরেকটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকা এক রোহিঙ্গা নারীকেও হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, যে দা দিয়ে জবাই করা হয়েছে, সেটি জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



গাজায় প্রথমবার বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবার ফেলা হয়েছে। জর্ডানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, এমন আরো সহায়তা তারা পাঠাবে গাজায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১২ জন নিহত হলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সহায়তার কাজে দ্রুতগতি আনবেন। সেদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস।

বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সব রকম প্রস্তুতি চলমান। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তা শনিবার জানান, ইসরায়েল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রায় অনেকটা গ্রহণ করেছে।

নাম পরিচয় প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্তকর্তা বলেন, গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে, যদি হামাস নির্দিষ্ট কিছু যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়...যেগুলো হলো অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দী।’

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমান আকাশ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবার ফেলেছে গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে। এতে আরো বলা হয়, এই সহায়তাগুলো গাজায় আরো বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে যোগ হবে সড়ক পথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা।’

এর আগে অন্যান্য দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিসর ও জর্ডান আকাশ থেকে গাজায় সহায়তা ফেলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা প্রথমবার করলো।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার মানবেতর পরিস্থিতির থেকে বের হয়ে আসতে এখানে আরো বেশি মানবিক সহায়তার পৌঁছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে।’

তবে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, এভাবে আকাশ থেকে সহায়তা ফেলা ত্রাণ বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়। গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মেধাত তাহের সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ত্রাণ সহায়তার এই পদ্ধতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তিনি বলেন, এটা কি একটা স্কুলের জন্য যথেষ্ট হবে? ১০ হাজার লোক কি এতে চলতে পারবে? এভাবে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলার চেয়ে বরং সীমান্ত দিয়ে সহায়তা আসা ভালো।’

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আরো বেশি মানুষ, যাদের সহায়তার দরকার সেখানে পৌঁছানোর জন্য বেশি করে ট্রাক ঢুকতে দেয় ও নতুন পথ খুলে দেয়।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সোমবার ওয়াশিংটনে যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজের সঙ্গে দেখা করবেন যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনায়।

বৃহস্পতিবার গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে এক ত্রাণের বহর ঘিরে ভিড় করলে সেখানে ১১২ জন হত্যা করা হয় এবং ৭৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে উপকূলের রাস্তা আল-রাশিদ স্ট্রিট, যা সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল, সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, সেখানে সতর্কতার জন্য শুধু ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয় এবং মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়।

গাজা সাব অফিসে হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বিষয়ক জাতিসংঘের সমন্বয়ক গিওর্গিওস পেত্রোপোলস বিবিসিকে বলেন, তিনি ও তার দল আল-শিফা হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর গুলিবিদ্ধ মানুষ দেখতে পেয়েছেন।

এদিকে হামাস বলছে, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে শনিবারও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শিবিরে ১১ জন মারা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এই হামলাকে জঘন্য’ বলে নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা সেখানে ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একটা সুপরিকল্পিত ও নির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজায় একটা দুর্ভিক্ষ অতি অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে, সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে খুবই সামান্য সহায়তা যাচ্ছে এবং সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষের ভাগ্যে খুব সামান্যই খাবার ও বিশুদ্ধ পানি জুটছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীদের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫৩ জনকে বন্দি করে নেওয়ার পর গাজায় এক তীব্র মাত্রার আকাশ ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৩০ হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার মধ্যে ২১ হাজারই নারী ও শিশু। এর বাইরেও এখনো প্রায় সাত হাজার মানুষ নিখোঁজ এবং ৭০ হাজারের ওপর আহত হয়েছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের দণ্ড (কনভিকশন) স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৮ মার্চ) এ রায় দেন। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালে মামলা করেছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ মামলার রায় দেন।

রায়ে ড. ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন বিচারক। তাদের প্রত্যেককে শ্রম আইনের ৩০৩ ও ৩০৭ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে সেদিন তাদের জেলে যেতে হয়নি। রায় ঘোষণার পর পরই জামিন আবেদন করা হলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাদের এক মাসের জামিন দেন বিচারক। গত ৩১ জানুয়ারি এ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ দণ্ডিতরা।

গত ২৮ জানুয়ারি ইউনূসসহ দণ্ডিতদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেন। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দণ্ড স্থগিতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

এ আবেদনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চূড়ান্ত শুনানির পর রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

আদালতে রুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার মানে হচ্ছে, তৃতীয় শ্রম আদালতের দণ্ড স্থগিত করে গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করা হয়েছে।’

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রায়ে হাইকোর্ট চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন- এক. তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া দণ্ড (কনভিটশন) চলমান থাকবে। দুই. আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা (৬ মাসের কারাদণ্ড) স্থগিত থাকবে। তিন. শ্রম আদালতের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও স্থগিত থাকবে। চার. যত দ্রুত সম্ভব আপিল নিষ্পত্তি করবেন আপিল ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিতরা দেশের বাইরে গেলে সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানাতে হবে।’

গত ১১ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। এখন তিনি বিদেশে আছেন বলে জানান এ আইনজীবী।


আরও খবর



আজকের বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।

শনিবার (০২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী যোগ্য হয়ে উঠুক, সেটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও তারা অবদান রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক, স্মার্ট ও যোগ্য বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।


আরও খবর