আশির দশক থেকে আনোয়ারা-বাঁশখালী উপজেলার মধ্যবর্তী শঙ্খ নদীতে তৈলারদ্বীপ-চাঁনপুর নৌরুটে ফেরিই ছিল একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। ২০০৬ সালে তৈলারদ্বীপ সেতু উদ্বোধনের পর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলায় প্রায় দুই কোটি টাকার এই ফেরি দুইটির এখন অস্তিত্ব বিলিন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণের অভাবে ফেরি দুইটিতে মরিচা পড়ে ক্ষয় হয়ে এবং রাতের আঁধারে ফেরির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরির ফলে এখন কয়েকটি লোহার টুকরো ছাড়া আর কিছুই নেই সেখানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুরি হতে হতে দুইটি ফেরির মধ্যে কয়েক টুকরো লোহা পড়ে আছে। কিছু লোহার টুকরো নদীতে পড়ে আছে। দেখলে বুঝা যাবেনা এখানে বিশাল আকৃতির দুইটি ফেরি ছিল!
সূত্র জানা যায়, আশির দশকে তৈলারদ্বীপ-চাঁনপুর পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। পরে ২০০১ সালে ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় তৈলারদ্বীপ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট আনোয়ারা-বাঁশখালী উপজেলার মধ্যবর্তী শঙ্খ নদীর ওপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতু উদ্বোধন করা হয়। সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা মুল্যের উন্নতমানের এই ফেরি দুইটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ওই সময় ফেরিগুলোর পাহারায় সওজের তিন কর্মীও ছিল।
ওই সময় ফেরি গুলো সরাতে সওজের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ করা হয়। এতেও কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া মেলেনি। দীর্ঘদিন ফেরি দুইটি পড়ে থাকায় এগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। এছাড়া রাতের আঁধারে ফেরির বিভিন্ন অংশ কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। এতে কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে সরকারের প্রায় দুই কোটি টাকার সম্পদ হাওয়া হয়ে যায়। বর্তমানে ফেরির খন্ড খন্ড অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সওজের কর্মচারীদের যোগসাজসে ফেরি দুই কেটে নিয়ে যায় চোরের দল। এ বিষয়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, ফেরি দুইটি যেখানে যে অবস্থায় আছে সেভাবে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে। নিলামের প্রক্রিয়া চলছে।