সৌদি আরবের একটি ভবনের চাদ থেকে পড়ে মারা যায় ইউসুফ (২৫)। প্রায় পৌনে চারমাস আগে দেশটির আভা শহরে একটি ভবনের সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে দুঘটনার শিকার হন তিনি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার দুই মাস আগে ভাগ্যের অন্বেষণে দেশটিতে পাড়ি জমান তিনি৷
নির্দিষ্ট সময়ের পর স্বাভাবিক নিয়মে ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে আসতে পারলো না ইউসুফ। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে কফিনবন্ধী হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে।
ইউসুফের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দী ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামে। তার বাবার নাম মো. ইব্রাহীম। চার ভাইয়ের মধ্যে পরিবারের সবার ছোট সন্তান ছিল ইউসুফ।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) সকালে ইউসুফের জানাযা শেষে তাকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগের দিন সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় সৌদি আরব থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মৃতদেহের কফিন আসে। পরিবারের লোকজন জীবিত ইউসুফকে গ্রহণ করার বদলে তার কফিন বন্দী মৃতদেহ গ্রহণ করতে হয়েছে।
দেশে থাকাকালীন ইউসুফের মোবাইল মেরামতের ব্যবসা ছিল। সেটা ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। ইউসুফকে হারিয়ে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশি ও বন্ধুদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইউসুফের ভাই আমিনুল ইসলাম রুবেল বলেন, ভাইকে জীবিত পাইনি, বিমানবন্দর থেকে তার মৃতদেহের কফিন এনেছি। এরচেয়ে বেদনা আর কি হতে পারে?
জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর সৌদি আরবের আভা শহরে একটি তিন তলা ভবনের উঁচুতে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মারা যায় ইউসুফ।
পরিবারের লোকজন জানায়, ঘটনার মাত্র ২ মাস আগে সৌদি আরবে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে গিয়েছিলেন তিনি। ভবনে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ করতো সে। ঘটনার সময় একটি ভবনের সাইনবোর্ড লাগাতে ৩ তলার ছাদে ওঠে। এসময় বাতাসের তোড়ে সে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তার।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলেও সেদেশের কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন সহযোগীতা করা হয়নি। উল্টো পরিচিতজনদের আর্থিক সহায়তায় মৃতদেহ দেশে আনতে পেরেছে তার পরিবার।
বাড়িতে তার বাবা-মা, তিন ভাই এবং স্ত্রী ও আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।