আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর (২০২৪) হজ পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় এ চুক্তি হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত চুক্তিতে সই করেন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মঞ্জুরুল হক এ তথ্য জানান। চুক্তি অনুযায়ী এ বছরও এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন বলেও জানান যুগ্ম সচিব।

বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে এরই মধ্যে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর হজের নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথম দফায় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু নিবন্ধনে সাড়া না মেলায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।

সৌদির সঙ্গে বৈঠকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

সৌদি আরব সফরে যাওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম, হজ কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

চুক্তির সময় ধর্ম সচিব হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় এবং হজযাত্রীদের সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

হাব সভাপতি জানিয়েছেন, হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে অন্যান্য বছরের মতো সব এজেন্সিকে রেখে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সৌদি উপমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে আগের মতো রাখা হলে হজযাত্রীদের সেবা দিতে সুবিধা হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি বয়োবৃদ্ধসহ সকল হজযাত্রীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমানোর পক্ষে বিস্তারিত যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। সৌদি উপমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

এছাড়া হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মিনা আরাফায় তাঁবু ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও হজের দশদিন আগে এজেন্সিকে তাবু বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে উপমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




এক দিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। এক দিনের ব্যবধানে ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা। যা ৭ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।


আরও খবর



কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজীদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ  দুদফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ এর সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।

পুনরায় কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

তবে শান্তি আলোচনা, সমঝোতা হওয়ার পরেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত না রেখে একের পর এক হামলা, চাঁদাবাজি, গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

যশোরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) যশোরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দুপুর ২টাই যশোরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল শতকরা ২২ ভাগ। যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

এই মৌসুমে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সেটি আজ ছাড়িয়ে যশোরে সর্বোচ্চ পারদ উঠল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে।

তাপদাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সেদিন রাতেই যশোরসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে জাতীয়ভাবে হিট অ্যালার্ট তিনদিন বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।


আরও খবর



ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড আজ সোমবার ভাঙার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকম।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ওয়েবসাইটটির পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত, দাবদাহসহ আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তুলে ধরেছে তারা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল হলেও গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই চলছে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ। এর আগে ২০১৯ সালে একটানা সর্বোচ্চ ২৩ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে সিলেট বিভাগের ওপর মাঝারি থেকে ভারি এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এ মেঘ থেকে আজ সন্ধ্যার পূর্বে শুধু সিলেট বিভাগে জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম বা নাই বললেই চলে। ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের সকাল ৯টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মেঘ বাষ্পীভূত হয়ে আকাশ মেঘমুক্ত থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া ডটকমের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার দেশের সাতটি বিভাগের আকাশ মেঘমুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল ছয়টার মধ্যে। দেশব্যাপী চলমান এই তাপপ্রবাহ মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ওপরে অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, চলমান তাপপ্রবাহের সময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে আগামীকাল ৩০ এপ্রিলের থেকে ধীরে ধীরে তাপ-প্রবাহের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

জেলাভিত্তিক তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় সর্বকালের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে।

কোন জেলায় তাপমাত্রা কেমন হতে পারে :

অতি তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস: যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলা।

তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ঢাকা শহরসহ ঢাকা শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সব জেলা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া) ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া)।

মধ্যম তাপপ্রবাহ: ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও ঢাকা বিভাগের উত্তর দিকের সব জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী।

মৃদু তাপপ্রবাহ: ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: রংপুর বিভাগের জেলাগুলো, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।

৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: সিলেট বিভাগের জেলাগুলো।

উল্লেখ্য, দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র দুইটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখি হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর