আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৭ বাংলাদেশির অবস্থাও গুরুতর। সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ১৩ বাংলাদেশিসহ এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।

নিহত বাংলাদেশির হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের ইস্কান্দারের ছেলে রনি, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন ও চাঁদপুরের তুষার মজুমদার।

আহত বাংলাদেশিরা হলেন সালাহউদ্দিন, আল আমিন, মিনহাজ, জুয়েল, আফ্রিদি মোল্লা, মো. রিয়াজ, আব্দুল হাই, রানা, মো. সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী, কুদ্দুস, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ইয়ার হোসাইন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসাইন।


আরও খবর



হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

গতকাল বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছিল, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি জমেছিল। সেটার চিকিৎসার জন্যই গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে।


আরও খবর



সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর



রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৪ মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে রুমা থানায় তিনটি এবং থানচি থানায় একটি মামলা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মামলাগুলো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘটে যাওয়া সোনালী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা থানায় ৫০-৬০ জন নাম না জানা ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে। এছাড়া, গত বুধবার দুপুরে থানচি কৃষি ব্যাংকে টাকা লুটের ঘটনায় থানচি থানায় ৩০-৪০ জনকে নাম না জানা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।

থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, আজ শুক্রবার রুমা কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার হ্লা শৈ থোয়াই মারমা বাদী হয়ে ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে মামলা করতে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি মামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর