আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শপথ নিলেন সাজেদাপুত্র লাবু চৌধুরী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের সাবেক উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু। তিনি ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা-কৃষ্ণপুর) আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম।

শপথ অনুষ্ঠানে সংসদে হুইপ ইকবালুর রহিম ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ৬৮ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন লাবু চৌধুরী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭৮ ভোট।

এই আসনের উপনির্বাচনে অনেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ছয়জন। কিন্তু নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসতেই কমতে থাকে প্রার্থীর সংখ্যা। সবশেষ সরে দাঁড়ান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন মিয়া। এতে করে মরহুম সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর আসনের উপ-নির্বাচনের উত্তাপ হারিয়ে যায়।

গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি হিসেবে পরিচিত সৈয়দা সাজেদা। ৮৭ বছরের জীবনে ৬৬ বছরই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।


আরও খবর



আগামী বছরে ট্রেনের ৮০০ বগি আমদানি করা হবে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশেই ট্রেনের বগি তৈরির কারখানা নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশে ৮০০ বগি আমদানি করা হবে। নতুন ইঞ্জিনও আনা হবে। রেলের আধুনিকায়নে নতুন প্রকল্প নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, রেলের বগির সংকট রয়েছে। পুরনো বগি মেরামত করে আসন্ন ঈদ পার করা হবে। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই নতুন বগি এবং কিছু ইঞ্জিন কেনা হবে।

শিগগিরই নতুন ট্রেন চালু করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন বগি এসে গেলেই পাকশী থেকে গোয়ালন্দ একটি শাটল ট্রেন চালু করা হবে। আগে যেভাবে গোয়ালন্দে ট্রেন চলাচল করত। এখন একটি ট্রেন গোয়ালন্দে চলাচল করছে। অবহেলিত সূর্যনগর রেলস্টেশনের টেন্ডার হয়েছে। অচিরেই এর কাজ শুরু হবে।

এ সময় আরও বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আলী, ফকির আব্দুল জব্বার, হেদায়েত আলী সোহরাব প্রমুখ।

এর আগে রবিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শিশু দিবসের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



ত্রিশালে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামের এনামুল হকের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২), চিকনা মনোহর এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী (থিসিস) সালমান আজাদী (২৮)।

ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) চাঁদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী সোনার ময়না পরিবহনের বাসটি যাত্রী নামিয়ে ইউটার্ন নিচ্ছিল। এমন সময় ময়মনসিংহ ছেড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু নিহত হয়। এতে আহত হয় আরও ছয়জন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ৫

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লেবাননের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। দক্ষিণ লেবাননের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী এই বিমান হামলা চালায়। পাঁচ লেবানিজ নিহত হওয়া ছাড়াও এ ঘটনায় একই পরিবারের সদস্যসহ ৯ জনের বেশি আহত হয়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের একটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৯ জন।

লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, খিরবেত সেলম এলাকায় একটি বাড়িতে চালানো ওই হামলায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাদের দুই সন্তান এবং অন্য একজন ব্যক্তি রয়েছেন। নিহত ওই মা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।’

হামলায় বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্তে ধীরে ধীরে যুদ্ধ বেড়েছে এবং লেবাননে কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াইয়ে লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর আরও ৩ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত শুক্রবার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে তিনজন যোদ্ধা মারা যাওয়ার কথা ঘোষণা করার পর হিজবুল্লাহ এখন আরও তিনজন নিহতের কথা নিশ্চিত করেছে, যারা একই পরিবারের সদস্য বলে মনে হচ্ছে।

শক্তিশালী এই সশস্ত্রগোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণকারী হাসান জাফর মারজি, ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণকারী আলী জাফর মারজি এবং ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণকারী জাফর আলী মারজি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। তারা সবাই দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদা শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

সবশেষ এই প্রাণহানির ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত লড়াইয়ে হিজবুল্লাহর সদস্যদের মৃতের সংখ্যা ২৩৯ জনে পৌঁছাল। এছাড়া শনিবার ইসরায়েলি বিভিন্ন অবস্থানে নয়টি হামলা চালানোর দাবিও করেছে হিজবুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধে গত অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সংঘাতে ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী এই গোষ্ঠীটির দুই শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে প্রায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটেছে। আর হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য এবং পাঁচ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



কলকাতায় ‍ভোটের আগে মুরগির দাম ৩০০!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচন এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্য। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বাড়ছে। দৌড়ে সবার আগে ছুটছে মুরগি।

মুরগির ট্রিপল সেঞ্চুরি!

ঘরে-বাইরে মুরগির মাংস এখন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড বা নামিদামি রেস্তোরাঁয় সবচেয়ে বেশি চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য সামগ্রীর। সেই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে নজির সৃষ্টি করেছে কলকাতায়।

সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ রুপির মধ্যেই থাকে। কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রতি কেজিতে এই দাম ২০ রুপির মতো বেশি দেখা যায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় এক কেজি মুরগির দাম ছিল ২৩০ রুপির আশপাশে। গত সাত দিনে মুরগির দাম পৌঁছে গিয়েছে তিন শতকের দোরগোড়ায়। অর্থাৎ প্রায় তিনশ রুপিতে।

গত এক সপ্তাহে ধরে প্রায় রোজই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। কলকাতার অভিজাত বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ রুপি দরে। কোথাও আবার একেবারে ৩০০ রুপি। জেলায় দাম একটু কম হলেও তা ২৫০ রুপি পার হয়েছে।

মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, ভেটকি, চিংড়িসহ নানা মাছের দাম বিয়ের মরশুম চলায় এমনিতেই চড়া। বিভিন্ন বাজারে এই মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২৫০ রুপি থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত হয়েছে।

দাম বাড়ার এই বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সন্দীপ তরফদার। তিনি বলেন, এই সময়টা মুরগিতে মড়ক লাগে। মুরগি মরে যায়। ফলে যোগান কমে। ভোট সামনে এলে আবার চাহিদা অনেকটা বাড়ে। রাজনৈতিক দলের সভা থাকলে অনেক বেশি অর্ডার আসে। এছাড়া সামনে দোলযাত্রা, সব উৎসবের মুখে দাম বাড়ে।

মুরগি পালনের খরচও বেড়েছে বলে দাবি পোল্ট্রি সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি বলেন, মুরগির খাবার হিসেবে ভুট্টার দানা লাগে। এই দানা ইথানল শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে দানার দাম বেড়েছে। এতে মুরগি পালনের খরচও বেড়ে গিয়েছে।

সবজির দাম

পশ্চিমবঙ্গের মাঠে মাঠে এখন আলু চাষিদের ফসল তোলার সময়। হিমঘরগুলোর দরজা খোলা, বাজারেও আলুর যোগান পর্যাপ্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে আলুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আলু যেখানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, তা গত কয়েকদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ রুপি।

গত মাসে রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছিল। যদিও তা এখন কমতে কমতে ২০০ রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজ, টমেটো ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাক সবজির দাম অবশ্য নাগালের মধ্যে আছে।

এই দামের উল্লেখ করে ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, গত মাসে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি যাতে, এই দামও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজারে নতুন ওঠা সবজি যেমন ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই প্রবণতা গ্রীষ্মের মুখে স্বাভাবিক বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, যোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

ভোটের থাবা

প্রতি নির্বাচনের আগেই জিনিসপত্রের দামে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও এই দাম বাড়ার পিছনে অন্যান্য কারণও থাকে।

ফোরাম ফর ইনডিজেনাস এগ্রিকালচারাল মুভমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনো একটি জায়গায় এলে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কোনো বাজারে দাম বৃদ্ধি হতে পারে।’ এর সঙ্গে থাকে মজুতদারির মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য মজুত করেন।

চিন্ময় বলেন, এখন পণ্য মজুত করার ফলে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়। এর ফলে দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মজুত করে রাখেন ভোটের পরে বিক্রি করবেন বলে। সেই সময় বেশি দাম পাওয়া যায়।


আরও খবর



‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, নির্বাচনে আমি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা যেভাবেই হোক আমি তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সংসদ সদস্য আজাদকে এমন বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। ভিডিওটি গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দেইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দেইনি। আমার ৫ বছরের বেতন-ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি যেভাবেই হোক তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

তিনি বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নেই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব। আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিয়েছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেবো, অসুবিধা নেই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেবো।’

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি তো তা বলিনি। আমি বলেছি, মানুষের তো নির্বাচনে খরচ হয়। সেই খরচের কথা এমনিতে যুক্তি হিসেবে বলেছি। আমি মানুষের উন্নয়নে ও কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি।’


আরও খবর