আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সপ্তমীর নবপত্রিকায় কার রূপ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শারদ সকালের সপ্তমী। স্কুলের পড়ায় মনে নেই।মুখস্ত হচ্ছে না নামতা। তবে মণ্ডপে দুর্গাঠাকুরের চারপাশে কে কে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আর কষ্ট করে মুখস্থ করতে হয়নি। এমনিতেই মুখস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে মনের মধ্যে।

এদিকে মণ্ডপের ঢাকঢোলে, ভাণ্ড সানাইয়ে মুখর বাংলাভূমি। মুখর আমাদের চারপাশ। মুখর বাঙালির মন।

সাথে ধুপের গন্ধে শিশিরভেজা সকালটা হয়ে উঠছে স্নিগ্ধ আর মায়াময় উৎসবের। চণ্ডীপাঠ শুনতে শুনতে শৈশবে যে ছবিটা মনে দাঁড়িয়ে যায় সেই ছবিটি আর কোনোদিন বদলে যায়নি।

২.সিংহের পিঠে চড়ে দেবী মহিষের রূপধারণ করা এক অসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।

এখন এই ছবিটি আরো স্পষ্ট। আকাশের তারার মধ্যে মহিষাসুর বধের দৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখেছেন, রক্তবর্ণ বৃষের চোখ। মুখোমুখি এক বিশাল আকারের সিংহ আর এক নারীমূর্তি। যার হাতের কাছাকাছি নানা অস্ত্র।

বিজ্ঞান খুঁজে পেয়েছে, পুরাণের কথাগুলো নিছক গল্প নয়। সেই যুগের চিন্তাধারার সাথে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখেছেন, সিংহ আর মহিষদলের তারামণ্ডলী, যা দেখেই প্রাচীনকাল থেকে নানারূপে কল্পনা করা হয়েছে।

খ্রিস্টপূর্বাব্দ তিনশ সময় নাগাদ সুমেরু অঞ্চলের সিলমোহর ও একটি পাত্রের গায়ে যে ছবিটি বেশি দেখা যায়, সেটা একটি সিংহের হাতে একটি মহিষের মৃত্যু। সন্ধ্যার আকাশে শেষবারের মতো তাকালে দেখা যায়, সিংহ তারামণ্ডলী। মনে হবে এই সিংহটিই বৃষটিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মোট কথা, তারামণ্ডলীর সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, সিংহের ওপর বসে দুর্গা মহিষাসুর বধের ছবিটি।

তারামণ্ডলী থেকে এই এক অসম্ভব রূপকল্পনা!

বাঙালির দশভূজার সঙ্গে মিল পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কন্যা, সিংহ, বৃষসহ নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরমর্দিনী রূপের প্রতিচ্ছবি। কৃষিভিত্তিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো চিহ্নিত করাই ছিল পুরাণের প্রথম প্রেরণা।

৩. প্রাণে আনন্দ জেগে ওঠা সকালে পুরোহিত মহাশয় চলেছেন নদীর ঘাটে। কাঁধে নবপত্রিকা। নদী বা জলাশয়ে দেবীর প্রতীকরূপে নবপত্রিকাকে স্নান করাবেন।

এই নবপত্রিকা নামটা শুনেলেই মনে মায়া জেগে ওঠে। দুর্গাপূজা মহারম্ভের দিন, মানে সপ্তমীতে প্রকৃতির বৃক্ষ-লতার সাথে দেবী দুর্গা একাত্ম হবেন আজ। সেজন্যই নবপত্রিকা দিয়ে মহারম্ভ, যা ভেজিটেশন ডিইটি হিসেবে দেবীর প্রায়রিটি হয়ে দাঁড়ায়।

সপ্তমী হলো দুর্গাদেবীর সঙ্গে শস্যদেবীকে মিলিয়ে নেবার সচেতন প্রচেষ্টা।

তাই, নদী বা জলাশয়ে নবপত্রিকাকে স্নানের ভেতর দিয়ে দেবীকে জাগ্রত করা হয়। যার ভেতর দিয়ে অবশেষ রচনা হয়ে যায় ষষ্ঠী আর বোধনের।

৪. নবপত্র বা নবপত্রিকা মানে নয়টি গাছের পাতা।

তবে পূজার নবপত্রিকা নয়টি পাতা নয়, নয়টি উদ্ভিদ। নয়টি উদ্ভিদ দেবীর নয়টি বিশেষ রূপের প্রতীক। আবার নবপত্রিকা নয়জন প্রভাবশালী দেব-দেবীকেও চিহ্নিত করে, বোঝায়। 

কলা, কচু, মানকচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক ও ধান। এই নয়টির মধ্যে প্রধান উদ্ভিদ কলাগাছ, যা ফার্টিলিটি আর ভেজিটেশনের প্রতীক। দেবীর সঙ্গে একাত্মতায় কলা গাছ বাঙালি মায়ের কোটি কোটি সন্তানের মা-প্রতীক হয়ে যান।

অন্য আটটি উদ্ভিদের সঙ্গে কচু। এটা মুখী কচু। ফলন হয় ভাদ্রের শেষে আশ্বিনের শুরুতে। দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায় কচুতে। আরেকটি মানকচু। বর্ষার পরে শরতের রোদে এটাও সুস্বাদু। ফলের মধ্যে আছে বেল আর দাড়িম্ব।

বেলগাছ ও বেলপাতা শিব ও পার্বতীর প্রিয়তম। স্বয়ং ব্রহ্মা দেবীর বোধন করেছিলেন বেলতলায়।

সেই প্রথা এখনো চলমান। যোগিনীতন্ত্রের কাহিনীতে বলা হয়েছে, নারায়ণের অনেক স্ত্রীর মধ্যে থেকে প্রিয়তমা হওয়ার ইচ্ছায় বেলতলায় শিবের আরাধনা করে শিবের সন্তুষ্টিতে নারায়ণের বক্ষলগ্না হয়েছিলেন লক্ষ্মী। তাই, শিবের অধিষ্ঠান ক্ষেত্র এই বেলতলা। বেলের তিনপত্রের মধ্যে উপপত স্বয়ং শিবরূপে বন্দিত। সেজন্যই শিব বেলপাতার পূজায় খুশি হন। বেলতলা শিবের প্রিয় হওয়ার কারণে শিবজায়া শিবানীরও খুব প্রিয় এই স্থান। তাই, বেলতলায় দেবীদুর্গার বোধন।

আরো একটি কারণ মনে করিয়ে দেব।

বৈদিক যুগে কাঠে কাঠ ঘষে আগুন জ্বালানো হতো, বলা হতো অরণী। শমী ও অশত্থ বৃক্ষের কাঠ ব্যবহার হতো অরণী রূপে। বাংলাভূমিতে শমীকাঠ ছিল অত্যন্ত বিরল। এই কাঠের অভাব পূরণ করে বেল। মানে বেলকাঠে আগুনের অবস্থান। দেবী দুর্গা যেহেতু স্বয়ং অগ্নিস্বরূপা সেজন্য দুর্গা আরাধনায় বেলবৃক্ষের অতি কদর।

পরের ফলটির নাম দাড়িম্ব, মানে ডালিম। আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ফলন হয়। ফলটি শক্তি ও রক্তবর্ধক। একটা গাছে বহু জন্মায়।

পুষ্পবৃক্ষের মধ্যে আছে জয়ন্তী এবং অশোক। দুটি বৃক্ষই মহৌষধ হিসেবে পরিচিত প্রচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। জয়ন্তী বৃক্ষের নামটিই তো দেবীর নামে রাখা। দেববৃক্ষ। জয়ন্তীর বীজ বহু ওষুধের উপাদান। শক্তি ও উত্তেজনা বাড়ানোর পাশাপাশি নারীদের রোগ সারাতে জয়ন্তীর বহুগুণের কথা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ধরা আছে।

জয়ন্তীর ফলন হয় আশ্বিনের শেষে।

এবার হলুদের কথা। হরিদ্রা বা হলুদ। কাঁচা বা পাকা হলুদ খুবই দরকারি ভেষজ। সে কারণেই নবপত্রিকার অন্যতম উপকরণ হলুদ। আর, ধান হলো লক্ষ্মীর প্রতীক।

জগতের সকল ওষধি ও উদ্ভিদের মাধ্যমে সকল জীবকে আহার্য ও নিরাময় দান করেন।

নবপত্রিকা তারই প্রতীক বা প্রতিনিধি।

এই অতি দরকারি নয়টি ভেষজ এবং বৃক্ষ ভগবতী দুর্গার নয়টি রূপ। ফল-ফুল অধিষ্ঠাত্রী দুর্গাকে প্রণাম জানানো হয়, নবপত্রিকা বাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ

নবপত্রিকা অনেকের মতে কুলবৃক্ষ নামেও পরিচিত। শক্তানন্দ তরঙ্গিনী গ্রন্থ থেকে জানতে পারি, যোগিনীরা সব সময় এই কুলবৃক্ষে বাস করেন। তন্ত্রশাস্ত্রে তাই একে কল্পবৃক্ষ বলা হয়।

৫. সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে পূজারীদের ভক্তিপূর্ণ চলাচল।

ওদিকে পুরোহিত মহাশয়ের পেছনে হাঁটছেন বাদক দল। ঢাকের শব্দে মিশে যাচ্ছে একদল নারীর শঙ্খ আর উলুধ্বনি। প্রথমে নদীতে শাস্ত্রবিধির স্নান। এরপর চারা কলাগাছের সাথে আটটি সমূল সপত্র উদ্ভিদ একজোড়া বেলসহ শ্বেত অপরাজিতার লতা বেঁধে দেবেন পুরোহিত মহাশয়। এরপর জড়ানো হবে লালপাড়ের সাদা শাড়ি। এমনভাবে জড়ানো হবে, যেন চারা কলাগাছটা ঘোমটা দেওয়া বৌয়ের রূপ ধারণ করে। মানে, নবপত্রিকার হয়ে যাবে কলাবৌ।

৬. নবপত্রিকা স্নানের পর মহাস্নান।

মহাস্নান মহাষ্টমী ও মহানবমীর দিনও মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমার সামনে একটি আয়না রেখে সেই আয়নায় প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে স্নান করানো হয়।

মহাস্নানে শুদ্ধজল, নদীর জল, শঙ্খজল, গঙ্গাজল, উষ্ণ জল, সুগন্ধি জল, পঞ্চগব্য, কুশ ঘাসে ফোটানো জল, ফুল দিয়ে ফোটানো জল, ফলের জল, মধু-দুধ-নারকেলের জল, আখের রস, তিলের তেল, বিষ্ণু তেল, শিশিরের জল, রাজদ্বারের মাটি, চৌমাথার মাটি, বৃষশৃঙ্গমৃত্তিকা, গজদন্তমৃত্তিকা, বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকা, নদীর দুই তীরের মাটি, গঙ্গামাটি, সব তীর্থের মাটি, সাগরের জল, ঔষধি মেশানো জল, বৃষ্টিজল, সরস্বতী নদীর জল, পদ্মের রেণু মেশানো জল ও ঝরনার জলে দুর্গাকে স্নান করানো হয়। এই মহাস্নানের মধ্য দিয়ে সব ধরনের সম্পদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা চলে।

প্রার্থনা প্রকাশ পায় সর্বভূতে দেবীরই অধিষ্ঠান। আর, মহাস্নানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বিশ্বসংহতি ও অসাম্প্রদায়িকতার সমন্বয়বার্তায় ফুটে ওঠে সমাজের কল্যাণ।

৭ . নদীর ঘাট থেকে চলে এসেছেন পুরোহিত মহাশয়। এরইমধ্যে পৌঁছে গেছেন মণ্ডপে।

কলাবৌয়ের কপালে তেল-সিঁদুর দিয়ে প্রকট করা হয়েছ এয়োতির চিহ্ন। এবার নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে আর গণেশ ঠাকুরের বাম পাশে বসিয়ে দেন কাঠের আসনে।

তখনই গজ-নিমিলিত চোখে গণেশ ঠাকুর ভাবলেন, মায়াবতী মা নিশ্চয়ই আমার জন্যে বৌ খুঁজে এনেছেন। গণেশ ঠাকুরের এই ধারণা স্পষ্ট হয় কলাবৌকে তাঁর বাম দিকে রাখার কারণে। বাম দিকেই স্ত্রীর অবস্থান, বামাবতী

আবেগপ্রবণ বাঙালির কাছে তাই নবপত্রিকার চারাকলাগাছটি হয়ে যায় গণেশ ঠাকুরের বৌ।

তাই হয়তো নাতি-পুতির মুখ দেখার আশায় শঙ্কর-মহাদেব স্ত্রী দুর্গাকে একসময় বলেই ফেললেন, ও গণেশের মা, কলাবৌকে দাগা দিও না। ওর একটি মোচা ফললে পরে, অনেক হবে ছানাপোনা


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাফসুন নাজাহ্ ’র দুটি কবিতা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু

নাফসুন নাজাহ্

১৭ই মার্চ ১৯২০

টুঙ্গিপাড়া গ্রামে

জন্ম হলো বীর বাঙালির

খোকা নামের ছেলের।

গরিব দুঃখীর পাশে ছিল

সেই খোকাটি যে।

৭ই মার্চ ভাষণ দিতে

তর্জনী তুলল সে,

সেই খোকাটি দেশের তরে

আজ মহান নেতা,

কেউ ডাকে বঙ্গবন্ধু

কেউ বা জাতির পিতা।

মুজিব

নাফসুন নাজাহ্

মুজিব মানে স্বাধীনতা

মুজিব মানে বাংলাদেশ।

মুজিব মানে স্বাধীন দেশে

ফিরেছে নেতা বীরবেশে,

মুজিব মানে রাজপথে নামা

দামাল ছেলের দল।

লোকে বলে কারা এরা?

কাদের এত দম!

মুজিব মানে ৭ই মার্চ

তর্জনী তোলা ভাষণ,

মুজিব তুমি বাঙালির মনে

চির অম্লান ভাস্বর।

শিক্ষার্থী : পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পিরোজপুর।


আরও খবর
একুশে বইমেলার সময় বাড়লো ২ দিন

মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া আরও চারজন মারা গেছেন। মৃতরা হলেন- জহিরুল ইসলাম (৪০), মোতালেব (৪৫), শিশু সোলায়মান (৯) ও রাব্বি (১৩)। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জহিরুল ইসলাম, রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১২টার দিকে, মোতালেব আড়াইটার দিকে, সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিশু মো. সোলায়মান ও পৌনে ৭টার দিকে রাব্বি মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, জহিরুল ইসলামের ৬৫ শতাংশ, মোতালেবের ৯৫ শতাংশ, শিশু সোলায়মানের ৮০ শতাংশ, রাব্বির ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তারা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান।

ডা. তরিকুল ইসলাম আরও জানান, এ দুর্ঘটনায় এর আগে শনিবার সকালে মনসুর আলী, শুক্রবার সকালে সোলাইমান মোল্লা এবং সন্ধ্যার দিকে শিশু তায়েবা, গতকাল সকালে আরিফুল ইসলাম ও মহিদুল, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে নার্গিস খাতুন মারা যান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

উল্লেখ্য, গত বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।


আরও খবর



একীভূত হচ্ছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকটির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আপাতত বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে আমাদের সঙ্গে মার্জার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।

গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে পদ্মা ব্যাংক। অবশেষে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে এটি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে যা হবে প্রথম একীভূতকরণ।

আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে এক বৈঠকে ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত থাকবেন। এরপরই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্বল ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে মার্চে সেগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সম্প্রতি ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেড জোনে আছে পদ্মা ব্যাংক। আর ইয়েলো জোনে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মীমের পরীক্ষা দেয়াসহ যাবতীয় বিষয় দেখার আশ্বাস জবি উপাচার্যের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধ যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম। তাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এসে শিক্ষার্থী এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন, তিনি ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক।

অভিযোগের বিষয়ে গতকাল ১৮ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও সকল ডিন ওই বিভাগে চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেছে। মীম যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফারজানা মীমের প্রতিটি বিষয় আমরা দেখবো। তিনি আরও বলেন অভিযুক্ত শিক্ষক ছুটি না নিয়েও বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে দুইটি তদন্ত কমিটির তদন্তের কাজ চলমান।

এর আগে অভিযোগ দেওয়া শেষে বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাজী ফারজানা মীম বলেন, আমার বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করেছেন। অভিযোগ দিলে বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। আমার অনার্সের ফাইনালা ভাইবায় আমাকে ফেল করানো হয়।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে আবু সাহেদ ইমন তাকে যৌন হেনস্তা করেন। এ বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে তার জীবনে নেমে আসে নানা নির্যাতনের খড়গ। সম্প্রতি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানি ও নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানেই অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গও আসে। গণমাধ্যমে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।


আরও খবর



ল্যাবএইড হাসপাতালের ছাদে অবৈধ রেস্টুরেন্ট, ২ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে গ্রিনরোড সংলগ্ন ল্যাবএইড হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে হাসপাতালটির উপরে অবৈধভাবে নিজস্ব রুফটপ রেস্টুরেন্ট স্থাপন করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে পৌনে ৪টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ল্যাবএইড হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ায় অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পায় নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে হাসপাতালের ৮ম তলায় তাদের নিজস্ব রুফটপ রেস্টুরেন্ট বা কাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হয়েছে। যেটা নকশাতে ছিল না। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাতেও ত্রুটি দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেইসঙ্গে সিঁড়ির পাশে রেস্টুরেন্টটির কিচেনে ব্যবহারের জন্য বেশকয়েকটি সিলিন্ডার পাওয়া যায়। যা সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সব মিলিয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে অভিযানের শুরুতে গ্রিনরোডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল, পরে ল্যাবএইড হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ার প্রবেশ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়ার রান্নার পরিবেশসহ সার্বিক বিষয় তদারকির করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইল রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, সেই ভবনের প্রথম তলায় চায়ের চুমুক নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র এক মাস আগে ভবনটির নিচতলায় এ রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই রাজধানীর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।


আরও খবর