কোভিডের উপসর্গবিষয়ক
গবেষক অধ্যাপক টিম স্পেক্টর বলেন, তরুণদের ক্ষেত্রে ডেল্টা বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে
আক্রান্ত হওয়াটা মারাত্মকভাবে সর্দি লাগার মতোই মনে হতে পারে।
যদিও তাদের খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই, তবে তারা সংক্রামক হতে পারে এবং অন্যদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। যে কারও যদি সন্দেহ হয় যে, তিনি হয়তো কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন, তা হলে তার অবশ্যই টেস্ট করানো উচিত।
যুক্তরাজ্যের
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এনএইচএসের মতে সাধারণত কোভিডের যে উপসর্গ দেখা যায় তা হলো— কাশি, জ্বর, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া।
কিন্তু অধ্যাপক
স্পেক্টর বলছেন, এই উপসর্গগুলো এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। কোভিড আক্রান্ত হাজার হাজার
মানুষের উপসর্গভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, মে
মাসের শুরু থেকে সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গগুলো দেখা গেছে সেগুলো আগের উপসর্গগুলোর মতো
নয়।
এই পরিবর্তন ডেল্টা
ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের কারণে হয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ভারতে শনাক্ত করা হয়েছিল
এবং এর পর থেকে যুক্তরাজ্যে এখন ৯০ শতাংশ সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।
জ্বরের উপসর্গ
এখনও একই আছে। কিন্তু প্রথম ১০টির মধ্যে এখন গন্ধ না পাওয়ার উপসর্গটি আর নেই, বলেন
অধ্যাপক স্পেক্টর।
মানুষের মনে হতে
পারে যে, তারা হয়তো সাধারণ মৌসুমি ঠাণ্ডা লাগায় আক্রান্ত হয়েছে এবং এটা ভেবে তারা
বাইরে বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিচ্ছে। এভাবে তারা আরও ছয়জনের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দিতে
পারে।
আমরা মনে করি
এটা খুব বড় সমস্যার দিকে এগোচ্ছে। এখানে বার্তাটি হচ্ছে আপনি যদি তরুণ হয়ে থাকেন
তা হলে আপনার মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে।
মনে হতে পারে
যে, আপনার হয়তো বাজে ধরনের ঠাণ্ডা লেগেছে এবং আপনি হয়তো নেতিয়ে পড়ছেন; কিন্তু বাড়িতে
থাকুন ও টেস্ট করান।