সংকটে জর্জরিত
শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরসিংহে সতর্ক করে বলেছেন, শিগগিরই যদি
স্থিতিশীল সরকার গঠন না করা হয় তাহলে গোটা দেশ শাটডাউন হতে পারে। এর অর্থ হলো দেশটি
যেটুকু সচল রয়েছে সেটিও ভেঙে পড়বে। তার এখন সীমাহীন অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিবিসির নিউজ
নাইট প্রোগ্রামে এসব কথা বলেন তিনি।
চলতি বছর এপ্রিল
মাসে তিনি লংকান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার কথা হলো- স্থিতিশীল প্রশাসন
ছাড়া কীভাবে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করা যায়, সেই পথ তিনি দেখতে পাননি। তিনি আরও
বলেন, আমরা সম্ভবত এই মাসের শেষনাগাদ ডিজেলের অন্তত তিনটি চালান এবং পেট্রলের একটি
বা দুটি চালানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারব। কিন্তু এর বাইরেও অপরিহার্য পণ্য আমদানি
করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে পারব কি না, তা নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি আরও
বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন একজন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিপরিষদ যারা সিদ্ধান্ত
নিতে পারবেন আর তা যদি না হয় গোটা দেশ বন্ধ হয়ে যাবে। সব মানুষের জন্য তা হবে সীমাহীন
কষ্ট। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
শাটডাউনের আভিধানিক
অর্থ হচ্ছে কোনো কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া। এ ছাড়া বিবিসির পৃথক এক প্রতিবেদনে কোনো রাষ্ট্র
শাটডাউনের অর্থ ওই দেশের সরকারি কর্মকাণ্ডে- অচলাবস্থা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল
লংকান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
আগামী ২০ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে জনরোষের মুখে দেশ
ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। ওই পরিবারের অপর দুই ভাই মাহিন্দ
ও বাসিল রাজাপাকসের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, চলমান সীমাহীন
সংকটের পেছনে রাজাপাকসে পরিবারের হাত রয়েছে। তাদের দুর্নীতি ও অদূরদর্শিতার কারণেই
দেশের মানুষ আজ মহাসংকটে রয়েছে।