অভিনয় যে শুধু বিনোদন জগতের মানুষরাই করেন তা কিন্তু নয়। প্রয়োজন এলে অভিনয়ের আশ্রয় নিতে পারেন যে কেউ। যেমনটা, শ্রীলঙ্কার ম্যাচে চোট পাওয়ার ভং ধরেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান!
ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার সাইমন ডুল চোট নিয়ে প্রশ্ন করেন রিজওয়ানকে। তখনই মাঝেমধ্যে অভিনয় করার কথা স্বীকার করে নেন পাকিস্তান কিপার-ব্যাটসম্যান। হাসতে হাসতে বলেন ‘কখনো পেশির টান ছিল, আবার কখনো আমার অভিনয় ছিল।’
হায়দ্রবাদে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কানদের বিপক্ষে রান তাড়ায় বেশ কয়েকবার পেশির টান ও পিঠ ব্যথার কারণে রিজওয়ানকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। প্রতিবারই যে তিনি সত্যিকার অর্থে ব্যথা পেয়েছেন এমনটা নয়। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিশ্রাম নেওয়ার সুবিধার্থেই অভিনয়ও করেছেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। যেন ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেন। আর তাতে সফলও হয়েছেন তিনি।
৩৪৫ রানের লক্ষ্যে ৩৭ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত টানেন রিজওয়ান। ১৩১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আবদুল্লাহ শফিককে নিয়ে গড়েন ১৭৬ রানের জুটি। বিশ্বকাপ অভিষেকে ১১৩ রান করেন ওপেনার শফিক। পাওয়ার প্লেতে ইমাম উল হক ও বাবর আজমকে হারানোর পর পাকিস্তানকে নিয়ে বাজি ধরার লোক ছিল না তেমন কেউ।
তবে রিজওয়ান বলেছেন, ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস ছিল দলের ক্রিকেটারদের, ‘ড্রেসিংরুমের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস ছিল আমরা রান তাড়া করতে পারব কারণ, ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট ছিল। আর হিসেব করে ইনিংস খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। আমার পরিকল্পনায় আমি অটল ছিলাম এবং আবদুল্লাহ শফিককে ইনিংস লম্বা করার কথা বলছিলাম। ক্রিকেট দলীয় খেলা এবং দলের জন্য জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
পাকিস্তান শুধু লঙ্কানদের হারায়নি, গড়েছে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও। আগের রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের, ২০১১ আসরে ৩২৮ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।