শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বাক বিতন্ডায় দোকানে হামলা এবং দোকান মালিকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার টানা চারদিন ঢাকা বারডেম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ শরীর নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করলেন দগ্ধ আরিফ হোসেন (৩০)।
সোমবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরিফের।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন।
নিহত আরিফ হোসেন (৩০) শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় বিবিএস কেবলসে চাকুরির পাশাপাশি বিবিএস কোম্পানির সামনে ব্যবসা করতো।
এ ঘটনায় মো. তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার গোদারচালা গ্রামের ফালু সরকারের ছেলে তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার, মোফাজ্জল সরকার এবং তাইজু সরকার।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার(২২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নিয়ে দোকানদার সাখাওয়াতের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দোকানদারের বাবা জজ মিয়াকে মারধর করে। এর আধা ঘণ্টা পরে তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার তার লোকজন নিয়ে ওই দোকানে ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এসময় হামলাকারীরা ভাংচুর এবং লুটপাট করে ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি সাধন করে।
এ ঘটনায় আহত ছয়জনের মধ্যে আরিফ, সজিব ও রুবেল নামের তিনজনের শরীর পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। যার মধ্যে আরিফের অবস্থা আশংকাজনক।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।