শ্রীপুর ( গাজীপুর) প্রতিনিধি
কাঁঠালের রাজধানী নামে পরিচিত গাজীপুর। গাজীপুরের শ্রীপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। প্রতিটি বাগানের কাঁঠাল গাছের গোড়া থেকে ডালপালা পর্যন্ত কাঁঠালে ভরে গেছে, তবে কাঁঠাল বাগানের মালিকের মনে হতাশা করোনা মহামারী মধ্যে কাঁঠালের উপযুক্ত দাম পাবে কিনা। শ্রীপুরে রয়েছে অসংখ্য কাঁঠালের বাগান। যেদিকে দুই চোখ যায় শুধু চোখে পড়ে কাঁঠাল বাগান। উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে বর্তমানে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে হাজার হাজার কাঁঠাল। রাস্তার দুপাশে সারিসারি কাঁঠাল গাছ। গাছে গাছে ঝুলছে কাঁঠাল। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে শ্রীপুরের বাড়ির আঙ্গিনাসহ মাঠ ও পথ প্রান্তরে। জাতীয় ফল কাঁঠালের ফলন গাজীপুরে বেশি হয়ে থাকে, তাই গাজীপুরের শ্রীপুর কে কাঁঠালের রাজধানী বলা হয়ে থাকে।
কাঁঠাল সুস্বাদু, মিষ্টি একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা খাওয়া যায়। শ্রীপুরে অনেক কাঁঠাল বাগান রয়েছে। সারিসারি বাগানে ঝুলছে কাঁঠাল। কাঁঠাল বাগান বেপারিদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে। মধুমাস জৈষ্ঠ্যর শুরু থেকে কাঁঠাল পাকা শুরু হয়।
উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার বাগান মালিক সবুজ জানান, তার একটি বাগানে ৪০টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রত্যেকটি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। বর্তমানে বাগানের দাম হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০হাজার টাকা।
টেপিরবাড়ী ( ছাতির বাজার ) গ্রামের কাঁঠাল বাগান মালিক তাইজুদ্দিন বলেন, তার কাঁঠালের দুটি বাগান রয়েছে। প্রতি বছর তিনি প্রায় ৩ লাখ টাকার কাঁঠাল বাগান বিক্রি করেন। ফলন ভালো হওয়ায় এবার গত বছরের চেয়ে এবার বেশি দাম পাওয়ার আশা করছেন, কিন্তু করোনার কারণে মাথায় দুশ্চিন্তাও হচ্ছে।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আরেক বাগান মালিক খলিলুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাগানে অনেক বেশি কাঁঠাল ধরেছে। তিনি প্রতি বছর প্রায় লাখ খানেক টাকার কাঁঠাল বাগান বিক্রি করেন। এ বছরও ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনাকালে কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে তিনি।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা এএসএম ময়ূীদুল হাসান বলেন, শ্রীপুরে ২ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাঁঠালের ফলন বেশ ভালো হয়েছে।