আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যার দূষণে ভেসে উঠা মাছ ধরার হিড়িক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শ্রীপুর ( গাজীপুর ) প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যার দূষণে ভেসে উঠা মাছ ধরতে নদীর পাড়ে সাধারণ মানুষের ভীড়। শিল্পকারখানার দূষণে বর্তমানে শীতলক্ষ্যা নদীটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পবর্জ্য নিয়মিত ফেলা হচ্ছে । তাই স্বচ্ছ জলের শীতলক্ষ্যা ঐতিহ্য নিয়ে বেঁচে থাকা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

স্বচ্ছ জলের পরিবর্তে কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে শীতলক্ষ্যা নদী। শান্ত ও স্বচ্ছ জলের শীতলক্ষ্যার আগের  রূপ আর এখন নেই। দূষণে সে হারিয়েছে তার স্বকিয়তা। এখন হারানোর পথে তার বুকে নিরাপদে বসতি স্থাপন করা জলজ প্রাণিগুলো। গত কয়েকদিন ধরে শীতলক্ষ্যার বুকে ভেসে উঠছে মাছসহ জলজপ্রাণি। এ খবরে স্থানীয়দের মধ্যে মৎস্য আহরণের যেন উৎসব শুরু হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেলেও স্থানীয়দের মধ্যে দেশীয় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের এ চিত্রে হতাশাও তৈরি হয়েছে।  গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী শীতলক্ষ্যাকে শিল্পকারখানার দূষণ থেকে বাঁচাতে জরুরিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও বানার নদী থেকে গাজীপুরে শীতলক্ষ্যার উৎপত্তি। জেলার শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে এই নদী। আবহমান কাল থেকে শীতলক্ষ্যা গাজীপুরের অন্যতম প্রাণের স্পন্দন। এ নদী ঘিরেই এলাকার কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্য ও গ্রামীণ অর্থনীতি পরিচালিত হচ্ছে।

দেশীয় মাছের অন্যতম ভাণ্ডার ছিল এই শীতলক্ষ্যা নদী। বেশ কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার শিল্পকারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্য ক্ষিরু ও মাটিকাটা নদীর মাধ্যমে বানার ও শীতলক্ষ্যা দূষিত হচ্ছে।

বরমী সোসাইটির এডমিন সোহাগ মোড়ল  বলেন , ভালুকার শিল্পকারখানার রাসায়নিক পানি এই নদীতে প্রতি বছরই ছেড়ে দেয়, যার কারণে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাই বিলুপ্তির পথে।

সোহাগ বলেন, পানি দূষিত হয়ে যাওয়ার কারণে, নদীর মাছ সব একটু শুদ্ধ শ্বাস নেওয়ার জন্য তীরে চলে আসছে, সাধারণ জনগণ মাছ ধরার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে।

গাজীপুর জেলা মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্য মতে, দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎস ছিল এই নদী। এই নদীকে ঘিরে প্রায় এক হাজার জেলে পরিবার জীবিকা চালাত। সরকারি হিসাবে এই নদীর গাজীপুর অংশ থেকে প্রতিবছর ৫০০ মেট্রিক টন মাছের সরবরাহ পাওয়া যেত।

গাজীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শিল্পকারখানার দূষণে বর্তমানে শীতলক্ষ্যা নদীটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পবর্জ্য এর জন্য দায়ী। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাছের দুর্দশা দেখেছি। এভাবে চলতে থাকলে শীতলক্ষ্যায় ঐতিহ্য নিয়ে বেঁচে থাকা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: শীতলক্ষ্যা নদী

আরও খবর



বোনের প্রেমিককে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুজনের ফাঁসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় মো. ফয়সল (২২) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া (২০)।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, নিহত ফয়সালের সাঙ্গে একই উপজেলার ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিকা মেহেদী আক্তারের ভাই শামীম। পরে শামীম ফয়সালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সাল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে শামীম ফোন করে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ফয়সাল কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই স্থানে যান। এক পর্যায়ে তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে ফয়সালের মরদেহ ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পুঁতে রাখেন শামীম ও দুলাল।

ওইদিন রাতে ফয়সাল বাসায় না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন স্বজনরা। পরদিন নিহত ফয়সালের বাবা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। সেটি তদন্তের দায়িত্ব পান হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম সরকার। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফয়সালের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করেন। এ সময় শামীমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন শামীম।

পরে শামীমের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামীমের এ কাজে দুলাল সহযোগিতা করেন বলে জানালে পুলিশ দুলালকেও আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে শামীমকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আটক শামীম ও দুলালকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে উভয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসাঙ্গে প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় উভয় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।


আরও খবর



পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য হলেন ড. মজিবুর রহমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. মজিবুর রহমান পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (জীববিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। সদস্য পদে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি কমিশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর National Liaison Officer (NLO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ড. রহমান দেশের ৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইনষ্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস (ইনমাস) স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ২০১৭-২০২৩ পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. মো. মজিবুর রহমান ২০০৩ সালে Catholic University of Leuven, Belgium থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৮ সালে Friedrich-Schiller-University of Jena,  Germany তে Alexander von Humboldt Foundation (AvH) - এর Research Fellow হিসেবে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষনা সম্পন্ন করেন।

এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে তার ৫০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি দাপ্তরিক কাজে বেলজিয়াম, জার্মানি, অষ্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট, পানামা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড সহ প্রায় ২০টির অধিক দেশ সফর করেন।

ড. রহমান ১৯৬৬ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার পানিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার সহধর্মিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

ড. মজিবুর রহমান, বাংলদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের পর পর দুবার (২০১৪-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৮) নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কমিশন তথা বিজ্ঞানীদের কল্যানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।


আরও খবর



ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবোল-তাবোল বলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি। তাই এখন তারা আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে।

জিয়াউর রহমান যে প্রকৃতপক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ এনে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে প্রতিদিন চোর, ডাকাত, পকেটমার, হাইজাকারসহ তিন-চার হাজার আসামি ধরা পড়ে। ওসব আসামিকে বিএনপির মহাসচিব বিএনপিকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে চান কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তিনি এখন অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন অথচ তার পিতা মুমিন খান '৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন; তিনি (মুমিন খান) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খাদ্যভর্তি জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ লাগাতে সহায়তা করেছেন। পরবর্তীতে তাকে জিয়াউর রহমান উপদেষ্টা নিযুক্ত করে সেই পুরস্কার দিয়েছিল।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকাই সবচেয়ে বড় বিজয়: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকায় সবচেয়ে বড় বিজয়। কখনও পরাজিত মনোভাব নিবেন না কারণ দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে। একদিন এই মানুষই প্রতিরোধ করে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে  সদর উপজেলার রুহিয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি তৈমুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: কায়েস প্রমুখ।

তিনি বলেন, সারাদেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে সাধারণ মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই। গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। সংগ্রাম করে আমরা বেঁচে আছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একদিন এই সরকারকে বিতারিত করতে সক্ষম হবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, পৃথিবীতে কোন স্বৈরাচারী শক্তি বেশিদিন টিকতে পারেনি। হিটলার ও নমরুদ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষের পক্ষে না থাকলে বা তার কল্যাণে কাজ না করলে টিকে থাকা যায় না। এ সরকারও বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রশাসন আপনাদের নির্যাতন করছে। আপনারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় আপনাদের আদালতে হাজিরা দিতে হয়। তারপরও আপনারা মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছেন।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েন্ডি ক্যারোলাইনা মোরালেস আরবিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা, তার স্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে সমর্থন দেয়ায় তার ভূমিকার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মোরালেস আরবিনা বিরোধী কণ্ঠকে নীরব করে দিয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩০০ নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। নির্বাসনে থাকা জেলপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায়ও সমর্থন দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কমপক্ষে আড়াইশ গ্রুপসহ কমপক্ষে ৩৫০০ নাগরিক সমাজের সংগঠনকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য দায়ী আরবিনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠীর ভিত্তিহীন অভিযোগে আক্রমণের অংশ মোরালেস আরবিনা। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে। নিকারাগুয়ান সরকার এবং তার সহযোগীদের জঘন্য আচরণের জন্য জবাবদিহিতা উন্নীত করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।


আরও খবর