ম্যাগনেমিয়াম
শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে এই খনিজটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও শরীরে এর অভাব প্রায়ই দেখা যায়। সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা
বজায় রাখার জন্য শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হয়েছে কীনা তা সনাক্ত করা প্রয়োজন। শরীরে
ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে কয়েকটি রখ্ষণ দেখা দেয়। যেমন-
পেশি ক্র্যাম্প
: পেশির সক্রিয়তা এবং সংকোচনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে এর
ঘাটতি হলে পেশিতে ক্র্যাম্প দেখা দেয়। ঘন ঘন পেশিতে ক্রাম্প হলে বুঝতে হবে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের
ঘাটতি হয়েছে।
ক্লান্তি এবং
দুর্বলতা : শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দেয়। আপনি যদি
প্রায়ই অলস বোধ করেন বা প্রতিদিনের কাজকর্ম করা কঠিন মনে করেন তাহলে তা ম্যাগনেশিয়ামের
অভাবে হতে পারে।
অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন
: ম্যাগনেমিয়ামের ঘাটতি হলে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হতে পারে। আপনি যদি হৃৎপিণ্ডে ধড়ফড়
বা অনিয়ম লক্ষ্য করেন, তাহলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বমি বমি ভাব
এবং ক্ষুধা হ্রাস: হজমসংক্রান্ত সমস্যা যেমন বমি বমি ভাব এবং ক্ষুধা হ্রাস ম্যাগনেশিয়ামের
অভাবে হতে পারে। এই খনিজটি পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। আপনি যদি ঘন ঘন গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যায় ভোগেন তাহলে তা ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির কারণে হতে পারে।
অস্বাভাবিক
ক্যালসিয়াম স্তর : ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা
বজায় রাখতে কাজ করে। শরীরে এই খনিজগুলির ভারসাম্যহীনতা হলে পেশির ক্র্যাম্পসহ বিভিন্ন
সমস্যা হতে পারে। শরীরের সামগ্রিক খনিজের ভারসাম্যের জন্য ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের
মাত্রা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।