আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শরীরের মেদ ঝেড়ে ফেলতে ৭ খাবারের সংমিশ্রণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিভিন্ন পন্থা রয়েছে। খাবার খেয়েও ওজন কমানো যায়। তাই যখন শরীরের মেদ ঝেড়ে ফেলতে চাইবেন, তখন বিশেষ কিছু খাদ্য উপাদান বেছে নিতে হবে।

কোনো নির্দিষ্ট খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে এটি অনেকটাই ভুল ধারণা। মজার তথ্য হচ্ছে প্রায় সব খাবারেই ওজন কমানোর জন্য উপকারী উপাদান থাকে। একাধিক খাবারের মিশ্রণে দ্রুত ওজন কমতে পারে। কিছু খাবারের মিশ্রণ বাড়াতে পারে খাবারের তৃপ্তি ও দ্রুত বার্ন করতে পারে ক্যালোরি।

১. ভাত ও মসুর ডাল

আমরা সবাই বাড়িতে ডাল-ভাত খেয়ে থাকি। কিন্তু এটি আমাদের অনেকেরই জানা নেই যে অতিপরিচিত এ খাদ্য মিশ্রণটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে।  যদিও মসুর ডাল প্রোটিনসমৃদ্ধ এবং এটি তৃপ্তি অর্জনে সহায়তা করে। কিন্তু এর সঙ্গে চাল যোগ করা হলে তা একটি ভালো শক্তি-সরবরাহকারী কার্ব উত্স তৈরি করতে পারে। প্রতিদিন এটি খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

২. ওটসের সঙ্গে বাদাম ও বীজের মিশ্রণ

ওটস মিল হচ্ছে ওজন হ্রাসকারী খাবারগুলোর মাঝে সর্বোত্তম। তবে ওটস মিলটি সঠিক উপায়ে ও মানসম্পন্ন উপাদানের খাওয়া ও চিনি ছাড়া গ্রহণ করলে তা আরও বেশি কার্যকরী। এর সঙ্গে আপনি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বাদাম ও বীজ যেমন, বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ যুক্ত করা যেতে পারে।

৩. গ্রিন টি ও লেবু

গ্রিন টি হচ্ছে ক্যাটচিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এক পানীয়। এটি আপনাকে উত্সাহিত করার জন্য একটি ভালো ডিটক্সাইফায়ার এবং কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয় হতে পারে। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি আপনার রক্তচাপকে স্থিতিশীল করতে ও ওজন কমাতে আশ্চর্যভাবে কাজ করতে পারে। সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে নিলে এর পুষ্টিগুলো আরও বাড়াতে এবং আরও স্বাদ তৈরি করতে সহায়তা করে।

৪. পনির ও মুরগি মাংসের সঙ্গে শাকসবজি

প্রতিদিনের খাবারে স্বাস্থ্যকর শাকসবজি রাখা কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি ওজন কমানোর জন্যও দুর্দান্ত। তবে শাকসবজির সঙ্গে কোনো পুষ্টি সমৃদ্ধ প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন, পনির, মুরগি রাখতে হবে। এটি হবে একটি পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি একটি ওজন হ্রাসকারী দুর্দান্ত খাবারের মিশ্রণ।

৫. কফির সঙ্গে দারুচিনি

কফি হচ্ছে লো-ক্যালোরি যুক্ত অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয়। তবে এ পানীয়টি চিনি ছাড়া খেলে উপকার পাওয়া যায় বেশি। চিনির বিকল্প হিসেবে এর সঙ্গে দারুচিনির টুকরো মিশিয়ে খেলে তা অনেক ভালো কাজে দেয়। এটির মিশ্রণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয় এবং এতে প্রদাহ-হ্রাসকারী বৈশিষ্ট্য থাকে, যা ওজন কমাতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৬. আলুর সঙ্গে গোলমরিচ

আলু একটি শর্করাযুক্ত খাবার হওয়ায় তা মোটা হতে সাহায্য করে এ কথাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ওটস মিল বা বাদামি চালের চেয়েও আলু বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ। গোলমরিচের সিজনিংয়ের সঙ্গে আলু আপনার ওজন হ্রাস মিশনেও গতি বাড়াতে পারে।  গোলমরিচে একটি অপরিহার্য এক্সট্রাক্ট, পাইপেরিন থাকায় তা কোলেস্টেরল কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৭. নারিকেল তেলের সঙ্গে ডিম

ডিম হচ্ছে অন্যতম ওজন হ্রাসকারী খাবার এবং একই সঙ্গে এতে থাকে প্রোটিন, ওমেগা এবং বিভিন্ন মাল্টিভিটামিন। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি নিয়ে চিন্তিত থাকলে আপনি নারিকেল তেলে ডিম প্রস্তুত করে খেতে পারেন। নারিকেল তেলে এমসিটি থাকে (মাঝারি চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস), যা কোলেস্টেরল বৃদ্ধি রোধ করে এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য কমাতে সাহায্য করে।

নিউজ ট্যাগ: দ্রুত ওজন কমায়

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, দূরের যাত্রায় যাত্রীদের ব্যয় কত?

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনে ভাড়ার ক্ষেত্রে রেয়াতি ব্যবস্থা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে করে দূরের গন্তব্যের ট্রেনের ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তনশীল থাকবে।

রেয়াতি সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। যদিও এটাকে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে বলে মানতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলের দাবি, শুধু একটা সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না।

রেলওয়ের রেয়াতি ব্যবস্থায় ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে মেলে ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এটাকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বানানো হচ্ছে এমনটা বলা ঠিক হবে না। এত দিন কিলোমিটারের ওপর যে ছাড় দেওয়া হতো সেই সুবিধাটা বাতিল করা হচ্ছে। এতে করে নতুন ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু এর মধ্যে সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা সম্ভব না-ও হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আরও কয়েক দিন পেছানো হবে। সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা শেষে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। আর ২০১৬ সালে সর্বশেষ ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল সরকার।

যদিও সম্প্রতি রেলভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন, রেল লোকসানে রয়েছে। কিভাবে লোকসান থেকে বেরিয়ে আসা যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। অনেক দিন ধরে ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ছে না। প্রয়োজনে নতুন ভাড়া সমন্বয়ের কথা হতে পারে। কিন্তু সেটা এখনই করা হবে না। যদি ভাড়া বাড়ে তাহলে আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের জানিয়ে ভাড়া বাড়ানো হবে।


আরও খবর



বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার হরিপুর গ্রামে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ৭১তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও দৈনিক কালের কণ্ঠর প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন সরকার, হোমনা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, জুনিয়র অফিসার শাহজাহান, মোহাম্মদ বাছির প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই। শুধু বসুন্ধরাই মানবতার কল্যাণে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত এই ঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে। বসুন্ধরার লক্ষ্য এই ঋণ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন এবং ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন। বসুন্ধরার ঋণ এবং আপনাদের প্রচেষ্টায় একদিন আপনাদের অভাব মোচন হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সরাসরি তত্তাবধানে সর্বপ্রথম ২০০৫ সাল থেকে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই ঋণের আওতায় প্রায় ৩০ হাজার হতদরিদ্র ও গরিব মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই ঋণ বিতরণ ও আদায়ের দিক দিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। যার একটি টাকাও এখনো অনাদায়ী থাকেনি। আমরা আপনাদের নিয়ে কাজ করছি, আরো কাজ করব। বসুন্ধরা সব সময় আপনাদের পাশে আছে। বসুন্ধরা চাচ্ছে গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষগুলোর অর্থনীতির চিত্র পাল্টে দিতে।

তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণের টাকা কোনো অবৈধ কাজে বিনিয়োগ করা যাবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্রান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।তিনি আরো বলেন, আজ ২০০ হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোকের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ পেয়ে ৩৩টি স্কিমের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে ঋণগ্রহীতারা।

হোমনা নগরীরচর কান্দাপাড়ার ঋণগ্রহীতা মার্জিয়া আক্তার (৩৫) বলেন, আমি দেখতে বাউন্না (খুব খাটো), যার জন্য কোনো কাজ দেয় না। এই টেহা দিয়া মেশিন কিন্না কাপড় সেলাইমু। রোজার মাসে বেশি সেলাই কইরা বেশি টেহা পামু। আল্লাহর কাছে বসুন্ধরার মালিকের লাইগা দোয়া করি।দরিচর গ্রামের ঋণগ্রহীতা রোজিনা আক্তার (৩০) বলেন, এই টেহা নিয়া কৃষি কামে লাগামু। এমন সময় টেহাডি পাইছি যখন ধানক্ষেতে সার ও পানি দিতাম পারমু। বেশি ধান হইলে ঘরে ভাতের অভাব থাকবে না। আল্লাহর কাছে কমু টেহা যারা দিছে বসুন্ধরার মালিকদের তুমি ভালা রাইক্ষ (রেখো)।বাগমারা গ্রামের ঋণগ্রহীতা অঞ্জনা দাস (৩০) বলেন, আমার স্বামী কয়ডা কয়ডা (সামান্য কিছু) মাছ কিন্না বেচে। এই টেহাগুলি লাইজ্জার কামে লাগবে। ভগবানের কছে বসুন্ধরা মালিকগ লাগি প্রার্থনা করি।

নিউজ ট্যাগ: বসুন্ধরা গ্রুপ

আরও খবর



ডেমরায় আগুন লাগা ভবন যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় কাপড়ের গুদামে আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার পর ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। ভবনটিতে স্টোরেজ (গুদাম) নীতিমালা মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আর নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ভবনে পানির রিজার্ভ ট্যাংক নেই, সিঁড়িও বেশ সংকীর্ণ। আশপাশে পানি না থাকায় ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকা ওয়াসাও পানি দিচ্ছে। ভবনটির পূর্ব ও পশ্চিম দুপাশে লাগোয়া আরও ভবন থাকায় ভেতরে ঢুকতেও সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই। এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের কাঠামোগত শক্তি কমে গেছে। কয়েক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

রেজাউল করিম বলেন, পানির সোর্স না থাকায় সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগতে পারে। পুরো ভবনে দাহ্য পদার্থ আছে, খেলাধুলার সামগ্রী বেশি। প্লাস্টিকের পরিমাণও অনেক। সব ফ্লোরেই আগুন আছে।

তবে এখন পর্যন্ত ভবন বা গুদামের মালিকপক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মালিকদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটের দিকে ভবনের তিনতলায় গোডাউনে আগুন লাগে। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। প্রাথমিকভাবে আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে ৭ দিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ঈদের আগের তিন দিন ও ঈদের পরের তিন দিন মোট সাত দিন এই নৌরুটে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের সভায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রুটে ফেরি, লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত এবং ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এ সভা হয়। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় এই সাত দিন জরুরি ও পচনশীল পণ্য ছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে অন্য ট্রাক পারাপার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও নৌপথটিতে দুর্ঘটনা এড়াতে ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন নদীপথে মালবাহী নৌযান, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলও বন্ধ থাকবে বলে জানা যায়।

কথা হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় যানবাহন পারাপারে থাকবে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি।


আরও খবর



পিটার হাসের সঙ্গে জিএম কাদেরের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বারিধারাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যান জি এম কাদের। পরে বিকেল ৪টায় দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

এসময় জিএম কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাশরুর মওলা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

মাশরুর মওলা বলেন, নির্বাচনের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়েও কিছু আলোচনা হয়েছে।

দলের অন্তর্কোন্দলে দুটি অংশে বিভক্ত জাতীয় পার্টি। একটি অংশে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই জি এম কাদের। যারা বিরোধী দল হিসেবে সংসদে বসেছেন। আরেকটি অংশে রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী ও সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন রওশন।

এ অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর পিটার হাসের সঙ্গে প্রথম দেখা করলেন জি এম কাদের। তবে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।


আরও খবর